শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫ হিজরী

মহানগর

প্রবাসী সচিবের ছেলেও সিন্ডিকেটের সাথে জড়িত

সংবাদ সম্মেলনে বায়রা নেতৃবৃন্দ

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১৮ জুন, ২০২২, ৯:১১ পিএম

সিন্ডিকেটের বাধার মুখে মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার উন্মুক্ত হচ্ছে না। প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড.আহমদ মনিরুছ সালেহীনের ছেলে রাফিত মালয়েশিয়ার কথিত ২৫ সিন্ডিকেটের সাথে জড়িত। প্রবাসী সচিবকে পদত্যাগ করতে হবে। ১৩ সোর্সকান্ট্রি থেকে যে প্রক্রিয়ায় মালয়েশিয়ায় কর্মী যায় বাংলাদেশ থেকেও একই প্রক্রিয়ায় কর্মী পাঠাতে হবে। ২৫ সিন্ডিকেটের মাধ্যমে মালয়েশিয়ায় কর্মী পাঠালে অভিবাসন ব্যয় বহুগুন বাড়বে। এতে দেশের সাধারণ কর্মীরা সর্বশান্ত হবে এবং দেশটি শ্রমবাজার আবার বন্ধ হবার সম্ভাবনা রয়েছে। আজ শনিবার রাজধানীর বনানী শেরাটন হোটেলে বায়রা সিন্ডিকেট বিরোধী মহাজোট আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে নেতৃবৃন্দ এসব কথা বলেন। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন বায়রার সাবেক মহাসচিব শামীম আহমেদ চৌধুরী নোমান।

সংবাদ সম্মেলনে আরো বক্তব্য রাখেন, বায়রার সাবেক সভাপতি মো.নূর আলী, বায়রার সাবেক সভাপতি আলহাজ আবুল বাশার, বায়রার সাবেক অর্থ সচিব মোহাম্মদ ফখরুল ইসলাম , রিক্রুটিং এজেন্সী ঐক্য পরিষদের সভাপতি এম টিপুসুলতান। এতে আরো উপস্থিত ছিলেন, রাফার সাধারণ সম্পাদক ফরিদ আহমদ, বায়রার সাবেক যুগ্ম মহাসচিব মিজানুর রহমান, রিক্রুটিং এজেন্সী ঐক্য পরিষদের মহাসচিব মো. আরিফুর রহমান। সংবাদ সম্মেলনে ভার্চুয়ালি মালয়েশিয়ার রিক্রুটিং এজেন্সির এসোসিয়েশনের মহাসচিব সুকুমার সিন্ডিকেট বিরোধী বক্তব্য তুলে ধরেন।

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, কথিত ২৫ পরিহার করে সকল বৈধ রিক্রুটিং এজেন্সির জন্য মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার উন্মুক্ত করতে হবে। ত্রুটিপূর্ণ সমঝোতা স্মারকের মাধ্যমে মালয়েশিয়ায় কর্মী প্রেরণসম্ভব নয়। মালয়েশিয়ার মানবসম্পদ মন্ত্রী সারাভানানকে ২৫ সিন্ডিকেট নির্বাচনের সুযোগ দেয়া সঠিক হয়নি। মালয়েশিয়ায় দশ লাখ অভিবাসী কর্মীর চাহিদা রয়েছে। সকল রিক্রুটিং এজেন্সির মাধ্যমে কর্মী প্রেরণের সুযোগ দেয়া হলে স্বল্প অভিবাসন ব্যয়ে এক বছরেই দশ লাখ কর্মী প্রেরণ করা সম্ভব।

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশ ব্যতীত অন্যান্য ১৩টি সোর্সকান্ট্রি থেকে সিন্ডিকেটবিহীন স্বাভাবিক নিয়মে কর্মী নিয়োগের বিপরীতে শুধুমাত্র বাংলাদেশ থেকে সিন্ডিকেটের মাধ্যমে কর্মী নিয়োগ অমর্যাদাকর। সিন্ডিকেটের মাধ্যমে উচ্চ অভিবাসন ব্যয়ে কর্মী প্রেরণ হলে আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার নিয়ম অনুযায়ী স্বচ্ছ, ন্যায্য, নিরাপদ এবং মর্যাদাপূর্ণ অভিবাসনের ব্যত্তয় ঘটবে। মালয়েশিয়ায় ৫শ’ রিক্রুটিং এজেন্সি রয়েছে। সেক্ষেত্রে বাংলাদেশের জন্য ভিন্ন নীতির প্রয়োগ অযৌক্তিক ও অনৈতিক। মালয়েশিয়ার মানবসম্পদ মন্ত্রী সারাভানান ঢাকায় বলে গেছেন জিরো কস্টে মালয়েমিয়ায় কর্মী যাবে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন