পঙ্কজ চন্দ্র শীল নামে এক নরসুন্দরকে হত্যার ঘটনায় পুলিশ তাঁর স্ত্রী সোনালিশীলসহ তিনজনকে গ্রেফতার করেছে। গত রোববার গভীর রাতে ঝালকাঠির নলছিটির বারইকরণ গ্রাম থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে পুলিশের কাছে তারা হত্যাকান্ডের কথা স্বীকার করেছে। পুলিশ জানায়, গত ১২ জুন রাতে জগন্নাথপুর গ্রামের পোনাবালিয়া বাজারের পাশের খাল থেকে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় নরসুন্দর পঙ্কজ চন্দ্র শীলের (৩২) ভাসমান লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় পরের দিন পঙ্কজের বাবা নরেন্দ্রনাথ শীল বাদী হয়ে অজ্ঞাত আসামি করে নলছিটি থানায় মামলা করেন। পুলিশের ধারণা তাকে হত্যা করে লাশ খালে ফেলে দেয়া হয়। এরই সূত্রধরে পুলিশ তদন্ত শুরু করে। রবিবার রাতে পুলিশ পঙ্কজ শীলের স্ত্রী সোনালীকে (৩২) বারইকরণ গ্রামে বাবার বাড়ি থেকে গ্রেফতার করে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদে হত্যাকান্ডের সঙ্গে জড়িত সোনালির চাচাতো দুই ভাইয়ের ছেলে বিশ্বজিত চন্দ্র শীল (২২) ও শুভ শীলকে (২০) গ্রেফতার করে। তাদের থানায় এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে প্রাথমিকভাবে পুলিশের কাছে হত্যাকান্ডের ঘটনা স্বীকার করে। নিহত পঙ্কজ চন্দ্র শীল ঝালকাঠি শহরের ফায়ার সার্ভিস মোড়ে একটি সেলুনে কাজ করতেন। সে শহরের বাহের রোড এলাকার নরেন্দ্রনাথ শীলের ছেলে। তিনি বারইকরণ শ্বশুর বাড়িতেই থাকতেন। মাদকাসক্ত হওয়ার কারণে স্ত্রীসহ শ্বশুর বাড়ির লোকজনের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক ভালো ছিল না বলেও জানায় পুলিশ। নলছিটি থানার ওসি মো. আতাউর রহমান বলেন, মাত্র সাত দিনের মাথায় ক্লুলেস হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটন করা হয়েছে। পঙ্কজ শীল হত্যাকান্ডের সঙ্গে জড়িত স্ত্রীসহ তিনজনকে গ্রেফতার করে জিজ্ঞাবাসাদ করা হয়েছে। তারা আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিতে রাজি হয়েছেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন