শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সারা বাংলার খবর

পদ্মা সেতুর আনন্দে উদ্বেলিত নেটাগরিকরা

সোশ্যাল মিডিয়া ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২৫ জুন, ২০২২, ১২:২৭ পিএম

স্বপ্নের পদ্মা সেতু উদ্বোধনের আনন্দে আত্মহারা দক্ষিণাঞ্চলের মানুষজন। সেই আনন্দের ঢেউ উঠেছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। আর এই উৎসব আনন্দে সামিল হয়েছেন গোটা দেশের মানুষ। উচ্ছ্বাস আর উদ্দিপনায় ভাসছেন নেটাগরিকরা।

ফেসবুকে অনেকেই লিখেছেন, মহান আল্লাহর দয়ায় স্বপ্নের পদ্মা সেতু যেন আজ আমাদের কাছে ঈদ আনন্দ। দেশের অন্যান্য অঞ্চলের মানুষের কাছে কম আবেগের হলেও দক্ষিনাঞ্চলের প্রতিটা মানুষের কাছে এটা একটা স্বপ্ন। কয়েক ঘণ্টার কঠিন পথ এখন তারা মাত্র ছয় মিনিটেই পাড়ি দিতে পারবেন।

সেতু উদ্বোধন উপলক্ষ্যে আজ ভোরের আলো ফুটতে না ফুটতেই মানুষের পদচারণে মুখর হয়ে ওঠে মাদারীপুরের শিবচর উপজেলার কাঁঠালবাড়ি সেতু এলাকা। উৎসবমুখর পরিবেশের সেই সব ছবি-ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে নেট দুনিয়ায়। এখানেই উদ্বোধন উপলক্ষে বিশাল সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। বহুল আকাঙিক্ষত পদ্মাসেতুর উদ্বোধন করেন প্রধান অতিথি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

ফেসবুকে ইয়ামান রহমান লিখেছেন, ‘‘গর্বের পদ্মা সেতু। গৌরবের পদ্মা সেতু। সক্ষমতার পদ্মা সেতু। দেশি বিদেশি ষড়যন্ত্র এর বাধা পরিয়ে আমাদের এই পদ্মা সেতু। ধন্যবাদ বদলে যাওয়া বাংলাদেশের কারিগর প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনাকে। শুভকামনা সবসময় আপনার জন্য।’’

আশেক রাফসান লিখেছেন, ‘‘পদ্মা সেতু হয়েছে, ভাবতেই কলিজা জুড়িয়ে যায়। আমরা দক্ষিণ অঞ্চলের মানুষ কি পরিমাণ কষ্ট করেছি এই ফেরী ঘাটে তার কোন হিসাব নেই। বিশেষ করে, ঈদ আসলে বা টানা কোন ছুটি পড়লে ১৮-২৪ ঘন্টা অপেক্ষা করে ঢাকা থেকে খুলনা যেতাম। অতিরিক্ত সময় এবং অর্থ খরচের হিসাবে থাকতো না। আমাদের দক্ষিন অঞ্চলের মানুষের জন্য পদ্মা সেতু মহান আল্লাহ বিশেষ নিয়ামত। এই সেতু নির্মাণের সাথে জড়িত দেশি-বিদেশি সবাইকে আমার অন্তরের অন্তস্থল থেকে ধন্যবাদ জানাই। সেই সাথে কৃতজ্ঞতা জানাই মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে, আপনার দূরদর্শী সিদ্ধান্তের কারণে আমরা পেয়েছি আমাদের স্বপ্নের পদ্মা সেতু। বাংলাদেশ এগিয়ে যাক দুর্বার গতিতে।’’

মুহাম্মাদ জাহিদ লিখেছেন, ‘‘একবার দুইবার না, কতবার পদ্মাপাড়ে (মাওয়ায় আর আরিচা ঘাটে) বাসের মধ্যে রাত কাটিয়েছি পার হওয়ার জন্য তার হিসাব নেই।মনে মনে তখন চিন্তা করতাম কবে ব্রিজ হবে আজ সেই ব্রিজ কয়েক ঘন্টা পর সত্যিই চালু হতে যাচ্ছে...পদ্মা সেতু আমাদের সাহসী জাতির প্রতীক হয়ে থাকবে অনন্তকাল। ধন্যবাদ মমতাময়ী নেত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা।’’

মোঃ ওমর ফারুক লিখেছেন, ‘‘শুভ সকাল। সম্পূর্ণ নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতুর মতো স্থাপনা উদ্ধোধন হতে যাচ্ছে এই জন্য অবশ্যই আমি খুবই আনন্দিত। পদ্মা সেতু বাংলাদেশের স্বাভাবিক উন্নয়ন অগ্রযাত্রারই অংশ। এই উন্নয়ন বর্তমান সরকারের আমলে হচ্ছে এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এর ক্রেডিট অবশ্যই প্রাপ্য। তবে সেতু উদ্বোধনের ঢাক ঢোলের আওয়াজের আড়ালে বন্যা দূর্গত মানুষ,দ্রব্য মূল্যের অসহনীয় উর্ধ্বগতির লাগাম টেনে ধরার কথা যেন ভুলে না যাই!ধন্যবাদ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা।’’

উত্তম দেবনাথ লিখেছেন, ‘‘স্বপ্নের পদ্মা সেতু দক্ষিনাঞ্চলের প্রতিটি মানুষের কাছে একটি স্বপ্ন,, হয়তো আমাদের ঢাকা অঞ্চলের মানুষের কাছে আবেগ কম,,কিন্তু দক্ষিনাঞ্চলের প্রতিটা মানুষের কাছে এটা একটা স্বপ্ন। যখন ঝড় -তুফান বা অতিরিক্ত স্রোতে ফেরি বা লঞ্চ বন্ধ থাকে তখন,,এম্বুলেন্স এ প্রিয় মানুষের মৃত্যু যখন নিজ চোখে দেখে,,তখন সে বোঝে পদ্মা সেতুর অভাব,,।’’

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন