জামালপুরের ইসলামপুর উপজেলার ৭নং পার্থশী ইউনিয়নের শশারিয়াবাড়ি খানপাড়া বীরঙ্গণা মুক্তিযোদ্ধা রাবেয়া বেগম মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় কর্তৃক বীর নিবাস ঘর থেকে বঞ্চিত শিরোনামে দৈনিক ইনকিলাব পত্রিকায় নিউজ প্রকাশিত হলে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নজরে আসে। তদন্ত সাপেক্ষে পুনরায় বীরঙ্গণা রাবেয়া বেগমের ঘরটি অবশেষে বরাদ্দ পেয়েছে।
জানা যায়, স্বাধীনতা যুদ্ধে পাক-বাহিনীর খোঁজ খবর মুক্তিযোদ্ধাদের নিকট পৌছে দেয়ার সময় ধরে পড়েন ও পাক বাহিনীদের দ্বারা নির্যাতিত হন রাবেয়া। ইসলামপুরের এমন ৫ বীরঙ্গণা মুক্তিযোদ্ধা ২০১৭ সালে মুক্তিযোদ্ধাবিষয়ক মন্ত্রণালয় ১৫ জুন জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল আইনে ৪৪ তম সভার সিদ্ধান্তক্রমে গেজেট প্রকাশিত হয়। বীরঙ্গনা মুক্তিযোদ্ধা রাবেয়ার গেজেট নং ১৮২। সারাদেশে ১৫ জন বীরঙ্গনার মধ্যে ৫ জনই ইসলামপুরের।
রাবেয়া বেগম ক্রন্দনরত অবস্থায় বলেন, আমার বাড়িতে আমাকে আটকে রেখে দিনের পর দিন পাক-বাহিনীর এদেশের দোসরা আমার প্রতি অমানুষিক ও শারীকি নির্যাতন করেছে। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর আমার বিয়ে হয়। অনেক যন্ত্রনা বুকে নিয়ে বেঁচে আছি কালের স্বাক্ষী হয়ে। তাই বর্তমান সরকার সকল মুক্তিযোদ্ধাদের বিভিন্ন সুবিধাদী দিয়ে আসছে। ইসলামপুরে আমাকে নিয়ে ৫ বীরঙ্গনা মুক্তিযোদ্ধাসহ ৬ জনকে বীর নিবাস ঘর বরাদ্দ করেছে সরকার। পরবর্তীতে উপর থেকে অফিসার এসে আমার ঘর বাতিল করে দেয়।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বিভাগীয় উপ-সহকারী প্রকৌশলী ময়মনসিংহ অঞ্চল আক্তারুজ্জামানকে মোবাইল ফোনে জিজ্ঞেস করলে তিনি জানান, দেশের সকল বীরঙ্গনা বীর মুক্তিযোদ্ধারা সরকারের সকল সুবিধা ভোগ করুক আমরা সবাই চাই।
তবে রাবেয়া বেগমের জমির সমস্যা থাকায় আপাতত কাজ বন্ধ রয়েছে। উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মেহেদী হাসান টিটু জানান, মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে রাবেয়া বেগমসহ সকল বীর নিবাসদের জায়গা জমি পরিদর্শন করলে রাবেয়া বেগমের জমির নিকট গর্ত থাকায় কাজ বন্ধ করে করা হয়েছিল। এ বিষয়ে দৈনিক ইনকিলাব পত্রিকায় খবর প্রকাশিত হওয়ায় বীর মুক্তিযোদ্ধা বীরঙ্গনা রাবেয়া বেগমের ঘরের কাজ মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয় থেকে পুনরায় ঘর নির্মাণ করার আদেশ প্রদান করলে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান রাজিব এন্ড ব্রাদার্স-এর স্বত্বাধিকারী খায়রুল বাসার রাজীব জানান, বীরঙ্গনা রাবেয়া বেগমের ঘরের কাজ ধরেছি। সঠিক সময়ের মধ্যে ঘরের কাজ শেষ করা হবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন