শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫ হিজরী

ইসলামী বিশ্ব

ইসলামের জন্য জীবন উৎসর্গ করেছেন তিনি

তুরস্কের ধর্মীয় নেতা শায়খ মাহমুদ এফেন্দির জানাজায় এরদোগান

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২৬ জুন, ২০২২, ১২:০১ এএম

বিশ্ববরেণ্য আলেম ও তুরস্কের ধর্মীয় নেতা শায়খ মাহমুদ এফেন্দির জানাজায় অংশ নিলেন দেশটির প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়েব এরদোগান। ইস্তাম্বুলের ইয়াভুজ সুলতান সেলিম মসজিদে শুক্রবার জুমার নামাজ শেষে বিশ্ববরেণ্য এ আলেমের জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। খবর হুরিয়াতের। স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার ৯৩ বছর বয়সে তিনি ইন্তেকাল করেন এফেন্দি। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন। শায়খ মাহমুদ এফেন্দি বেশ কিছু দিন ধরে কিডনির সমস্যায় ভুগছিলেন। এরই মধ্যে চিকিৎসাধীন তিনি মারা যান। শুক্রবার ইস্তাম্বুলের ইউরোপীয় অংশে অবস্থিত ওই মসজিদে জানাজা শেষে মহান এই মনীষীকে দাফন করা হয়। এদিকে প্রিয় আলেম ও বিশ্বনন্দিত ইসলামি ব্যক্তিত্ব শায়খ মাহমুদ এফেন্দির ইন্তেকালে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন তুর্কি প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়েব এরদোগান। এক টুইটবার্তায় তিনি বলেন, আমাদের দেশের একজন আধ্যাত্মিক পথপ্রদর্শক মাহমুদ এফেন্দিকে আল্লাহ রহম করুন। তিনি ইসলামের জন্য তার জীবন উৎসর্গ করেছেন। উল্লেখ্য, ইসলামের জন্য অনেক ত্যাগ স্বীকার করেছেন শায়খ মাহমদু এফেন্দি। কামাল আতাতুর্কের আধুনিক তুরস্ক শাসনের সময় ধর্মকে মানুষের মধ্যে বাঁচিয়ে রাখতে অক্লান্ত প্রচেষ্টা ছিল তার। বিভিন্ন বিষয়ে ইসলামের প্রভাব নিয়ে অসংখ্য বই লিখেছেন এই ইসলামিক ব্যক্তিত্ব। কামাল আতাতুর্কের তুরস্কে যখন মসজিদগুলো মিউজিয়াম হয়ে যায়। মাদ্রাসাগুলোর যাবতীয় সম্পত্তি সরকার ক্রোক করে নেয়। ধর্মীয় শিক্ষা নিষিদ্ধ করা হয়। রাষ্ট্রীয় ও সামাজিক জীবনে ধর্ম-চর্চা নিষিদ্ধ করা হয়। সেই সময়ে তুর্কি আলেমরা শহর ছেড়ে চলে যান প্রত্যন্ত অঞ্চলে। মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা করেন অজপাড়া গাঁয়ে। গাছের নিচে বাচ্চাদের কুরআন শেখানোর কাজ শুরু করেন। সরকারি নিষেধাজ্ঞার খড়গ নিয়ে নিজেদের যারা ইসলামের জন্য সঁপে দিয়েছিলেন, তাদের একজন মাহমুদ এফেন্দি। তিনি যেভাবে কষ্ট করে দ্বীনি ইলম অর্জন করেছেন, তেমনিভাবে নিজেও গ্রামগঞ্জে এভাবে ছাত্রদের শিখিয়েছেন। নিষেধাজ্ঞার সময় শায়খ মাহমুদ আফেন্দি ছাত্রদের আঙুলের ইশারায় সারফ-নাহু শেখাতেন ও হাতের ইশারায় মাসআলা মাসায়িল বলতেন। এখনো তুরস্কের কিছু জায়গায় এ পদ্ধতি চালু আছে। মাহমুদ এফেন্দি হাফিজাহুল্লাহ তুর্কি ভাষায় কুরআনে কারিমের ১৮ খণ্ডের বিশাল এক তাফসির লেখেন। যার নাম ‘রুহুল ফোরকান’। আনাদোলু।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (4)
Muhammad Nur Nobi ২৬ জুন, ২০২২, ৭:৫২ এএম says : 0
আল্লাহ তায়ালা যেন শায়েখ কে জান্নাতের উচ্চ মাকাম দান করে
Total Reply(0)
Rabbul Islam Khan ২৬ জুন, ২০২২, ৭:৫৪ এএম says : 0
মহান আল্লাহ তার খেদমত কবুল করুন। আমিন
Total Reply(0)
JAKARIA SHAIKH ২৬ জুন, ২০২২, ২:০৯ পিএম says : 0
আল্লাহ তায়ালা যেন তাকে জান্নাতের উচ্চস্থান দান করেন। আমিন।
Total Reply(0)
A.B.M.Bazlur Rahman ২৭ জুন, ২০২২, ১:৩৮ পিএম says : 0
সরকারি নিষেধাজ্ঞার খড়গ নিয়ে নিজেদের যারা ইসলামের জন্য সঁপে দিয়েছিলেন, তাদের একজন মাহমুদ এফেন্দি। মহান আল্লাহ তার খেদমত কবুল করুন। আমিন ।
Total Reply(0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন