বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ১৭ রমজান ১৪৪৫ হিজরী

খেলাধুলা

সিরিজ জয়ের সঙ্গে ­ভালো খেলার স্বস্তি সাবিনাদের

স্পোর্টস রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৭ জুন, ২০২২, ১২:০০ এএম

মালয়েশিয়া জাতীয় নারী দলের বিপক্ষে ফিফা আন্তর্জাতিক দ্বিতীয় প্রীতি ম্যাচে ড্র করে সিরিজ জিতলেন সাবিনা খাতুনরা। আগের ম্যাচে অতিথি দলকে ৬-০ গোলে বিধ্বস্ত করলেও গতকাল কমলাপুরস্থ বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ সিপাহী মোস্তফা কামাল স্টেডিয়ামে শেষ ম্যাচে সাবিনারা গোলশূন্য ড্র করেন। ফলে দুই ম্যাচের সিরিজ ১-০ ব্যবধানে জিতে ইতিহাস গড়ে বাংলাদেশের মেয়েরা।
প্রথম ম্যাচে ৩২ মিনিটে হয়েছিল চার গোল। এর দুটোই কর্ণার থেকে। সেট পিসই মূলত বাংলাদেশর প্রধান অস্ত্র। সাবিনা কিংবা মনিকার উচু ভলি মাথা এবং পাঁ দুটো দিয়ে গোল করার সক্ষমতা আছে আঁখি খাতুনের। সেটা তিনি সেদিন দেখিয়েও ছিলেন। যে কারণে মালয়েশিয়ানদের পরিকল্পনা জুড়ে ছিল সেট পিসে বাংলাদেশকে আটকানো। কাল প্রথমার্ধ্বে তা করে সফল অতিথি দলের মেয়েরা। ফলে ম্যাচে ১১টি কর্ণার পেয়েও কাঙ্খিত গোলের দেখা পায়নি বাংলাদেশ জাতীয় নারী দল।
গতকালের ম্যাচে মালয়েশিয়ার সেরা একাদশে চারটি পরিবর্তন আনেন কোচ। আর অপরিবর্তিত একাদশ নিয়েই মাঠে নেমে যথারীতি আক্রমনাত্মক ফুটবল উপহার দেয় লাল-সবুজরা। তবে মনিকা, মরিয়া, সানজিদা, কৃঞ্চা রানী সরকারদের বোঝাপড়াটা ঠিক প্রথম ম্যাচের মতো ছিল না। বিশেষ করে মধ্যমাঠে মারিয়া মান্ডার সেই গতির দেখা কাল মেলেনি। আর ফিনিশিং টাচেও নড়বড়ে ছিলেন মাসুরা, স্বপ্নারা। ১৭ মিনিটে সুপার মুভ। মাঝমাঠ থেকে বল পেয়ে সাবিনা মাপা শট নিলে লাফিয়ে উঠে কর্ণারের বিনিময়ে তা ফেরান মালয়েশিয়ান গোলরক্ষক নুরুল আজুরিন। মনিকা চাকমার কর্ণার আবারও ফেরান তিনি।
মালয়েশিয়ান কোচ প্রথম ম্যাচের পর রক্ষণ নিয়ে কাজ করার কথা বলেছিলেন। এর প্রতিফলন মাঠে দেখা গেছে। মালয়েশিয়া দ্বিতীয় ম্যাচে রক্ষণাত্মক কৌশল অবলম্বন করেছে। জমাট বাঁধন অনেক সময় ভাঙতে সক্ষম হয়নি বাংলাদেশ। ম্যাচের শেষ দিকে বাংলাদেশের ফুটবলারের ট্যাকেলে মালয়েশিয়ান ফুটবলার ব্যথা পান। এতে দুই দলের খেলোয়াড়দের মধ্যে খানিকটা তর্কাতর্কি হয়। ফলে ইনজুরি সময় নির্ধারিত হয় ৬ মিনিট। দ্বিতীয়ার্ধেও বেশ কিছু জোড়ালো আক্রমণে গেছেন সাবিনারা। কিন্তু গোলের মুখ আর দেখা হয়নি তাদের।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন