বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ১৭ রমজান ১৪৪৫ হিজরী

খেলাধুলা

মেয়ার্সকে দেখে শিখতে বললেন ডমিঙ্গো

স্পোর্টস রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৭ জুন, ২০২২, ১২:০০ এএম

সাম্প্রতিক সময়ে ব্যাটিং ব্যর্থতার ধারা থেকে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরেও বের হতে পারেনি বাংলাদেশ। প্রথম টেস্টে দুই ইনিংসে বাংলাদেশের রান ছিল ১০৩ ও ২৪৫। দ্বিতীয় টেস্টে প্রথম ইনিংস শেষ ২৩৪ রানে। দ্বিতীয় টেস্টের দ্বিতীয় দিনে এক পর্যায়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ছিল বিপাকে। ১০০ রানের উদ্বোধনী জুটির পর তারা ৩২ রানের মধ্যে হারায় ৪ উইকেট। কিন্তু কাইল মেয়ার্স দারুণ সেঞ্চুরি করে উদ্ধার করেন দলকে। দিন শেষে মেয়ার্স অপরাজিত ১২৬ রানে। ওয়েস্ট ইন্ডিজের রান ৫ উইকেটে ৩৪০।

গত বছর বাংলাদেশ সফরে যে ইতিহাস গড়েছিলেন এই মেয়ার্স, এদেশের ক্রিকেটে তাকে সবসময় মনে রাখার জন্য যথেষ্ট ছিল ওটুকুই। টেস্ট অভিষেকে চতুর্থ ইনিংসে ডাবল সেঞ্চুরি করে তিনি হারিয়ে দিয়েছিলেন বাংলাদেশকে। কিন্তু তার ‘বাংলাদেশ-প্রীতি’ শেষ হয়নি ওখানেই। এবার সেন্ট লুসিয়া টেস্টে আরেকটি অপরাজিত সেঞ্চুরিতে দলকে টেনে তুললেন বিপর্যয় থেকে। তার এমন ইনিংস দেখে রাসেল ডমিঙ্গোর কণ্ঠে খেদ, তার দলের ব্যাটসমানরা এমন বড় ইনিংস খেলতে পারছেন না! দ্বিতীয় দিনের খেলা শেষে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে বাংলাদেশ কোচ বোলিং নিয়ে হতাশার কথা তো বললেনই, তার কণ্ঠে উঠে এলো দলের ব্যাটিং নিয়ে হতাশাও, ‘ব্যাটিং ও বোলিংয়ে এই মুহূর্তে গুরুতর জিজ্ঞাসা আছে আমাদের। কারণ এটা কোনোভাবেই আড়াইশ রানের উইকেট নয়। শেষের ওই ৩০ রানের জুটি না হলে ১৯০ রানে অলআউট হতাম আমরা। ব্যাট হাতে যথেষ্ট ভালো পারফরম্যান্স আমরা দেখাতে পাচ্ছি না এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজ দেখিয়ে দিচ্ছে, কেন তারা আমাদের চেয়ে ভালো। ওদের একজন সেঞ্চুরি করেছে, ওরা বড় স্কোর করছে। বোলিংয়ে ওরা জুটি গড়ে বোলিং করেছে, ব্যাটিংয়েও জুটি গড়ে লম্বা সময় উইকেটে থেকেছে।’
বাংলাদেশের কয়েকজন ব্যাটসম্যান নিজেকে হারিয়ে খুঁজছেন। ফর্মে নেই তারা বেশ কিছুদিন ধরেই। যারা ভালো শুরু করছেন, তারা বড় ইনিংস খেলতে পারছেন না। তামিম ইকবালের মতো অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান আউট হয়েছেন ২২, ২৯ ও ৪৬ রানে, অথচ থিতু হওয়ার পর তার কাছে দলের দাবি থাকে বড় ইনিংস। সাকিব আল হাসান, লিটন দাসরা ফিফটি পেলেও বড় করতে পারেননি ইনিংস। ডমিঙ্গো এখানেই বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের বললেন, কাইল মেয়ার্সকে দেখে বড় ইনিংস খেলা শিখতে, ‘আমাদের বেশ কজন ক্রিকেটার এখন ফর্ম ও ছন্দ খুঁজে ফিরছে। এখান থেকে বের হওয়ার একমাত্র উপায় লম্বা সময় ব্যাট করা। ৩০-৪০ রানের ইনিংস অনেক হচ্ছে, দু-একটা ফিফটি হচ্ছে। কিন্তু কাইল মেয়ার্স যেমন ১২০ ছাড়িয়ে যাচ্ছে, তেমন বড় ইনিংস কেউ খেলতে পারছে না। দলের রান ২৩০ আর ৪০০ হওয়ার মধ্যে মূল পার্থক্য এখানেই। মেয়ার্সের মতো ১২০ রানের ইনিংস খেলতে হবে আমাদের কারও। গত বছর ওরা আমাদের বিপক্ষে ৪০০ রান তাড়া করেছে চট্টগ্রামে, মেয়ার্স তখন ডাবল সেঞ্চুরি করেছে। আমাদের কেউ এখন তেমন বড় ইনিংস খেলতে পারছে না। মেয়ার্সকে দেখে শিক্ষা নিতে হবে। টেস্ট ম্যাচ অনেক কঠিন। এরকম ভালো ব্যাটিং করতে না পারলে ভালো দলগুলি শাস্তি দেবে এবং আমাদেরকে এখন সেই শাস্তি পেতে হচ্ছে।’

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন