কুমিল্লার দাউদকান্দি উপজেলার শহিদনগর থেকে জুরানপুর রাস্তাটি একটি জনগুরুত্বপূর্ণ রাস্তা। এ রাস্তা দিয়ে জুরানপুর আদর্শ কলেজের শত শত ছাত্র-ছাত্রীসহ কয়েকটি বাজার ও কয়টি ইউনিয়নের এলাকার কয়েক হাজার মানুষ চলাচল করে। অব্যবস্থাপনা ও পানিবদ্ধতার কারণে চলাচলের অযোগ্য হয়ে পরেছে। শহিদনগর থেকে জুরানপুর পর্যন্ত এ রাস্তাটি অত্র এলাকার একটি গুরুত্বপূর্ণ সড়ক। সংস্কার ও যথাযথ ব্যবস্থাপনা নেই এই সড়কে। সড়কটি দশপাড়া ও ষোলপাড়া, ভাগলপুর অংশে রাস্তার বেহাল দশা সড়কের বিভিন্ন স্থানে খানাখন্দ, খোয়া বের হয়ে অনেক স্থানে গর্ত হয়ে আছে। বৃষ্টি না হলেও সড়কের অনেক স্থানে আশপাশের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ও বাড়ি থেকে আসা পানি টানা জমে থাকে অনেকদিন এসব স্থানে সড়কের গর্ত কাদা-পানিতে একাকার। পায়ে হেটে চলাচল একেবারেই অনুপযোগী। একমাত্র যানবাহন সিএনজি ও অটোরিকশা যা চলাচলের রয়েছে ঝুকি। গর্তে অনেক সময় সিএনজি আটোরিক্সা উল্টো যাওয়া চিত্রও দেখা গেছে। তবে এই রাস্তার পাশের বাড়িগুলো উচু হওয়ায় রাস্তার ওপর দিয়ে বাড়ির পানি নামার কারণে রাস্তার বিটুমিন নষ্ট হয়ে খানাখন্দের সৃষ্টি হয়। এলাকার জনগণ বলেন, এই রাস্তার দিয়ে চলাচল করতে অনেক কষ্ট হয় মুমূর্ষু রোগীদের হসপিটালে নিতে অনেক সমস্যা সৃষ্টি হচ্ছে। এছাড়া ওই রাস্তা দিয়ে স্কুল-কলেজ, মাদরাসার ছাত্রছাত্রী যাতায়াত করতে অনেক কষ্ট হচ্ছে। এ ব্যাপারে সুন্দলপুর গ্রামের সুরুজ ভূইয়া জানান, এ রাস্তার কারণে দীর্ঘদিন স্কুল-কলেজের ছাত্ররা দুর্ভোগ পোহাচ্ছে।
এ ব্যাপারে সুন্দুলপুর মডেল ইউনিয়নের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান আসলাম মিয়াজী জানান, আমি পাঁচ মাস হলো চেয়ারম্যানের দায়িত্ব গ্রহন করেছি। দায়িত্ব পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই এই রাস্তার বেহাল দশা দেখে রাস্তা সংস্কারে দ্রুত টেন্ডার আহবানের উদ্যোগ নেয়া হবে।
এ ব্যাপারে উপজেলা প্রকৌশলী মো. আফছার হোসেন খন্দকার ইনকিলাবকে জানান, এ সড়ক সংস্কার চট্টগ্রাম প্রজেক্টে ডিপিপিতে অন্তর ভূক্ত হয়েছে। চিঠি পেলে কার্যক্রম শুরু হবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন