নির্বাচন কমিশন আগামী আগস্ট মাস থেকে রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সংলাপ করবে বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আওয়াল। তিনি বলেন, আমরা ইভিএমের অন্ধ গ্রাহক ছিলাম না। সব আলোচনা লিপিবদ্ধ করেছি। আমাদের সামর্থ্য কতগুলো তা দেখবো। এরপর সিদ্ধান্ত নেবো। সম্পূর্ণ বা ফিফটি-ফিফটি করবো কিনা, সে সিদ্ধান্ত নেবো। বেশির ভাগ দল ইভিএমের বিরুদ্ধে মতামত দিয়েছে। আগস্ট থেকে আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে বৈঠক করবো, তখন সব আলোচনা করবো। আমরা কিন্তু কোনও বাজে মতলব নিয়ে আসিনি। গতকাল মঙ্গলবার রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে ইভিএম সংক্রান্ত বৈঠকে তিনি একথা বলেন। সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়ালের সভাপতিত্বে এই মতবিনিময় সভা শুরু হয়। আমন্ত্রিত ১৩টি দলের মধ্যে ১০টি দলের প্রতিনিধি সভায় অংশ নেন। এর মধ্যে ৪টি দল ইভিএমের পক্ষে মতামত দেয়।
সিইসি বলেন, ইভিএমে ইন্টারনেটের কোনও সম্পর্ক নেই বিধায় হ্যাকিংয়ের কোনও সম্ভাবনা নেই। যে সংশয়টা, আমি নিজেও কিন্তু গুজবে বিশ্বাসী। গুজব শুনতে খুব ভালো লেগেছে। আমার জীবনও ওভাবে কেটেছে। এখন যখন আমাকে নিয়ে কথা শুনি, সেগুলো কিন্তু সত্য না। অথচ আমি আগে এভাবেই গুজবে বিশ্বাস করতাম। আসলে মানুষের স্বভাবটাই হচ্ছে গুজবটা খুব শুনতে ভালো লাগে।
ইসির ওপর কোনো রাজনৈতিক দলের চাপ নেয়ই জানিয়ে সিইসি বলেন, কোনও রাজনৈতিক চাপ আমাদের ওপর নেই। প্রধানমন্ত্রীও বলেছেন, সেই সময় সরকার থাকবে, কিন্তু আওয়ামী লীগ থাকবে না। সরকার আর আওয়ামী লীগ এক না। আমরা সরকারের কাছে হেল্প নেবো। আওয়ামী লীগের কাছ থেকে কোনও হেল্প নেবো না। প্রশ্নই আসে না। কাজেই আমরা বিশ্বাস করি, সরকার এবং আওয়ামী লীগের মধ্যে যে বিভাজনটা আছে, সেই বিভাজনটা প্রধানমন্ত্রীকে আমি উচ্চারণ করতে শুনেছি— উনি এ ব্যাপারে খুবই স্পষ্ট, সরকারের তরফ থেকে আমাদেরে সহায়তা দেওয়া হবে।
সিইসি বলেন, আমরা সেই সহায়তা পাওয়ার অধিকারী। সেই সহয়তা আমরা আদায় করে নেবো। যেই সহায়তা আমরা প্রাপ্য সেই সহায়তা আমাদের দিতে হবে। সেই সহায়তা যদি দেওয়া না হয়, আপনারা যদি আশা করেন যে, সুন্দর ইলেকশন হবে, সুন্দর ইলেকশন হয়তো হবে না। আরেকটা জিনিস হলো আমরা আপনাদের মাঝে ঐক্য চাচ্ছি, নির্বাচন মাঠে সবাই থাকবেন এবং বিভিন্ন পার্টির উপস্থিতি কিন্তু এক ধরনের ভারসাম্য সৃষ্টি করে নির্বাচনের মাঠে। এছাড়া আইন-শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীকে মোতায়েনের বিষয় থাকে। যেহেতু আমরা একদিনেই নির্বাচন করবো, বা সবাই যদি চান চার দিনের ইলেকশন করার, কারণ আমরা একটা সংকট দেখি সেন্টারে। কিন্তু আমরা পর্যাপ্ত ফোর্স দিতে পারছি না। সেই ফোর্সটা লাগতো না যদি সবগুলো দল নির্বাচনের কেন্দ্রে এসে দাঁড়াতো, তাহলে ওরাই ফোর্স হয়ে যেতো।
ওবায়দুল কাদেরকে উদ্দেশ করে তিনি বলেন, ‘আমরা আশা করবো স্যার, আপনারা সরকারে থেকে আমাদেরকে সরকারি সাহায্য সহায়তা দেবেন। আমরা যে সহায়তা চাইবো তা সাগ্রহে প্রদান করবেন। যাক আপনি বলেছেন, (ওয়াবদুল কাদের হ্যাঁ বলেন) এজন্য আমরা আশ্বস্ত বোধ করছি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন