করোনার চতুর্থ ঢেউয়ের আশঙ্কার মধ্যেই নতুন করে উদ্বেগ তৈরি করল ব্রিটেনের অজানা রোগ। এই নতুন রোগের নমুনায় পোলিওর লক্ষণ পাওয়া গিয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। ব্রিটেনের ইতিহাসে ৪০ বছরের মধ্যে এই প্রথম এমন ঘটনা ঘটল। বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, এখনই এই অজানা রোগ নিয়ন্ত্রণ করতে না পারলে, করোনার মতো বিশ্বের অন্য দেশেও ছড়িয়ে পড়তে পারে এই অজানা রোগ।
ব্রিটেনের একটি ওয়েবসাইট জানিয়েছে, গত ৬ মাসে দেশে করোনার পাশাপাশি কলেরা, হাম এবং মাঙ্কিপক্সের মতো রোগের প্রাদপর্ভাব বেড়েছে। আর এই সংক্রমণে আক্রান্তদের সমধ্যে পোলিওর লক্ষণ পাওয়া গিয়েছে। যা যথেষ্ট উদ্বেগের কারণ বলে ওয়েবসাইটটিতে জানানো হয়েছে। চল্লিশ বছর আগে শেষবার পোলিও রোগীর সন্ধান পাওয়া গিয়েছিল ব্রিটেনে। এত বছর পর ফের পোলিওর লক্ষণ দেখা দেওয়ায়, সংক্রমণ রুখতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার উপর জোর দেওয়ার কথা বলা হয়েছে।
ওয়েবসাইটের প্রতিবেদনে চিকিৎসকরা এই অজানা রোগের নাম দিয়েছেন ডিজিজ এক্স। শিশুদের মধ্যে এই রোগ বেশি সংক্রমিত হতে পারে। করোনাভাইরাসের মতো এটিও অত্যন্ত সংক্রামক বলে মনে করছেন তারা। সবচেয়ে আশঙ্কার কারণ, রোগের কারণ এবং কী ভাবে ছড়ায়, এ ব্যাপারে চিকিৎসকরা এখনও পর্যন্ত অন্ধকারে। যতক্ষণ না পর্যন্ত এই রোগের গবেষণার পর ওষুধ না পাওয়া যাচ্ছে, ততক্ষণ পর্যন্ত শিশুদের পোলিও টিকা দেওয়া যাতে বন্ধ না হয়, সেই পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। টিকাই এখন এই রোগ প্রতিরোধের একমাত্র উপায় বলে মনে করছেন চিকিৎসকরা।
গত দুই বছরের করোনা মহামারিতে বিপর্যস্ত ব্রিটেন। সংক্রমণের পাশাপাশি প্রাণ কেড়েছে বহু মানুষের। তার প্রভাব পড়েছে ব্রিটিশ অর্থনীতিতে। করোনা প্রকোপ কমতেই নতুন করে ব্রিটেনে দোসর হয়েছে মাঙ্কিপক্স। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে লাসা ফিভারে আক্রান্ত হয়ে ব্রিটেনে তিন জনের মৃত্যু হয়। ব্রিটেনের স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তাদের মতে, লাসা ফিভার মহামারীর আকার ধারণ করতে পারে। তবে, ১৯৮০ থেকে ২০০৯ পর্যন্ত ব্রিটেনে এই রোগের হদিস পাওয়া গিয়েছিল।
বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, পশুদের মাধ্যমে সংক্রমিত হয় লাসা ফিভার। আর এই রোগের মূল লক্ষণ শরীর থেকে রক্তক্ষরণ। তারই মধ্যে অজানা রোগ ডিজিজ এক্স নতুন করে ব্রিট্রিশদের মধ্যে তৈরি করেছে আতঙ্ক। সূত্র: টিওআই।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন