শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

আন্তর্জাতিক সংবাদ

জাহাঙ্গিরের ১২ কেজির ‘স্বর্ণমুদ্রা’র খোঁজ শুরু

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২৯ জুন, ২০২২, ৬:৩২ পিএম

ফেলুদার গল্পের সেই ‘জাহাঙ্গিরের স্বর্ণমুদ্রা’র কথা সকলেরই জানা। কিন্তু এবার সামনে এল এক সত্যিকারের তেমনই মোহরের কথা। ইতিহাসে রাজরাজড়ার ঐশ্বর্যের হিসেব ধরা থাকে প্রাচীন স্বর্ণমুদ্রায়। বিচিত্র তাদের গায়ের নকশা ও ওজন। ১০ গ্রাম কিংবা ৫০ গ্রামের স্বর্ণমুদ্রাও পাওয়া গিয়েছে। কিন্তু ভাবা যায় একটি স্বর্ণমুদ্রারই ওজন ১২ কেজি! হ্যাঁ, এমনই এক প্রচণ্ড ভারী ‘জাহাঙ্গিরের স্বর্ণমুদ্রা’ ছিল হায়দরাবাদের নিজামের কোষাগারে। গত প্রায় চার দশক আগে যেটির সন্ধান করেছিল ভারত সরকার। কিন্তু সাফল্য আসেনি।

অবশেষে ফের বিশ্বের সবচেয়ে বড় স্বর্ণমুদ্রার সন্ধান প্রক্রিয়া নতুন করে শুরু করেছে কেন্দ্র।

ইতিহাসের বিচারে এই স্বর্ণমুদ্রাটি ‘অমূল্য’। তবে ১৯৮৭ সালে এর মূল্য নির্ধারিত হয়েছিল ১৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। মুঘল সম্রাট জাহাঙ্গিরের শাসনকালে এটি তৈরি করা হয়েছিল। সেই স্বর্ণমুদ্রাই ছিল হায়দরাবাদের অষ্টম নিজামের কাছে। তাকে সেটি দিয়েছিলেন তার দাদা শেষ নিজাম মীর ওসমান আলি খান। তিনি সেটি সুইস ব্যাংকের মাধ্যমে নিলামও করতে চেয়েছিলেন।

কিন্তু কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সিবিআই একটি মামলা দায়ের করে সেটি উদ্ধারের চেষ্টা করেছিল। সাফল্য আসেনি। ১৯৮৭ সালের সেই ঘটনার পরে কেটে গিয়েছে সাড়ে তিন দশক। আজও অধরা ঐতিহাসিক অতিকায় স্বর্ণমুদ্রা। ফের সেই স্বর্ণমুদ্রার সন্ধান শুরু করেছে ভারতের সরকার।

সিবিআইয়ের প্রাক্তন যুগ্ম ডিরেক্টর শান্তনু সেন তার বইয়ে উল্লেখ করেছেন এই ঘটনার কথা। তিনি জানিয়েছেন, জাহাঙ্গির তার আমলে এরকম দু’টি স্বর্ণমুদ্রা নির্মাণ করিয়েছিলেন। যার একটি তিনি দিয়েছিলেন ইরানের রাষ্ট্রদূত ইয়াদগার আলিকে। অন্যটি দেয়া হয়েছিল হায়দরাবাদের নিজামকে। সেটিই পরে নিলাম করার চেষ্টা হয়েছিল ১৯৮৭ সালে। মুকাররাম জাহ সেটি নিলাম করতে চেয়েছিলেন। মোট দু’টি স্বর্ণমুদ্রা তিনি নিলামে তুলেছিলেন। যার একটি ১২ কেজির স্বর্ণমুদ্রাটি। তবে সেই সময়কার বহু তথ্যই এই মুহূর্তে হারিয়ে গিয়েছে। এবার নতুন করে সেই স্বর্ণমুদ্রার সন্ধান শুরু করেছে কেন্দ্র। সূত্র: টাইমস নাউ।

 

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন