বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

কুড়িগ্রামে আবারও বন্যার আশঙ্কা, বিপদসীমা ওপরে ধরলার পানি

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৯ জুন, ২০২২, ৮:১৪ পিএম

কুড়িগ্রামে বন্যার রেশ কাটতে না কাটতে আবারও ধরলা,তিস্তা,দুধকুমার ও ব্রহ্মপুত্রসহ সবকটি নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। যার ফলে বন্যার শঙ্কায় নদী তীরবর্তী মানুষজন।

এদিকে টানা ১২ দিন পানি বন্দি থেকে যখন আশ্রয়ের জন্য ঘরবাড়ি মেরামতের কাজ শুরু করছে সেই মুহুর্তে বন্যার পূর্বাভাসে বিচলিত হয়ে পড়েছেন চরাঞ্চলবাসী। এছাড়া কৃষি ও মৎস্য খাতে অপরিসীম ক্ষতির মুখে পড়া কৃষকদের চোখে বন্যার জল দারুন ভাবে শঙ্কিত করেছে।

বুধবার (২৯ জুন) বিকেলে পানি উন্নয়ন বোর্ড অফিস সুত্রে জানা গেছে, গত ১২ ঘন্টায় ১৬ সেন্টিমিটার পানি বৃদ্ধি পেয়ে ধরলা নদীর পানি সেতু পয়েন্টে বিপদসীমা ১ সেন্টিমিটার, ব্রহ্মপুত্রের পানি নুনখাওয়া পয়েন্টে ২০ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে ৬৭ সেন্টিমিটার, ব্রহ্মপুত্রের পানি চিলমারী পয়েন্টে ১৬ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে ৪৯ সেন্টিমিটার ও তিস্তার পানি ২০ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে ২৩ সেন্টিমিটার বিপদসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

তবে ধরলার পানি শিমুল বাড়ি পয়েন্টে ৪২ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমার ২৩ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। যেকোনো সময় ধরলার পানি সদর পয়েন্ট বিপদসীমা অতিক্রম করতে পারে।

জেলার সবকটি নদ নদীতে পানি বৃদ্ধি পেয়েলেও। বড় ধরনের বন্যার সৃষ্টির আশঙ্কা না থাকলেও নদীর তীরবর্তী অঞ্চলের মানুষেরা আবারও দূর্ভোগে পড়তে পারে।

সদরের পাঁচগাছী ইউনিয়নের চর আরাজী কদমতলা গ্রামের শহিদুল ইসলাম বলেন, কিছুদিন আগে বন্যার কবলে পড়ে আমার ঘরবাড়ি ও পটলের ক্ষেতের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। পটলের ক্ষেত ভেঙে বীজ তলা করেছি সেটিও বুঝি আর থাকবে না। যে হারে ধরলার পানি বাড়ছে গত বন্যার চেয়ে বড় ধরনের বন্যা হতে পারে।

সদরের যাত্রাপুর ইউনিয়নের চর যাত্রাপুর এলাকার আলী হোসেন বলেন, দুই সপ্তাহ ধরে পানি বন্দি থেকে একটু রক্ষা পেলাম। আবারো নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। এবার যে কি হবে আল্লাহ জানে।

কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবোর) নির্বাহী প্রকৌশলী আবদুল্লাহ আল মামুন জানান, উজানে ভারি বৃষ্টিপাতের ফলে কুড়িগ্রামের ধরলা,তিস্তা ও ব্রহ্মপুত্রসহ সবকটি নদীর পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। এর ফলে এসব নদ-নদী তীরবর্তী এলাকায় বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে। এছাড়াও আগামী ২৪-৪৮ ঘন্টা এই নদীগুলোর পানি বৃদ্ধি পেতে পারে বলে আমারা বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীরণ কেন্দ্র থেকে জানতে পেরেছি।

কুড়িগ্রামের জেলা প্রশাসক মোঃ রেজাউল করিম জানান,বন্যা কবলিত মানুষের জন্য যথেষ্ট ত্রান ব্যবস্থা রয়েছে। বানভাসি মানুষের প্রতি সরকারের সুদৃষ্টি রয়েছে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন