জোসেন স্কুয়েৎজ নাৎসিদের সাচসেনহাউসেন বন্দি শিবিরের রক্ষী ছিলেন। এই অপরাধে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হল ১০১ বছরের জোসেনকে। এর আগে শতায়ু কারও যুদ্ধপরাধের বিচার চলেনি।
জার্মানির বার্লিনের উত্তরে ওরানিয়েনবার্গে ছিল সাচসেনহাউসেন কনসেনট্রেশন ক্যাম্প। সেখানে ১৯৪২ থেকে ১৯৪৫ সাল পর্যন্ত রক্ষী ছিলেন জোসেন স্কুয়েৎজ। ওই সময় তার বয়স ছিল ২১ বছর। বর্তমানে ব্র্যান্ডেনবার্গ স্টেটে থাকেন। পেনশনে সংসার চালান। গত ২৭ জুন ছিল বিচারের শেষ দিন। শুনানিতে এসে জোসেনের দাবি, ‘আমি নিরপরাধ। কিছুই করিনি। কেন আমি এখানে, জানি না।’
সরকারি কৌঁসুলির অভিযোগ, ‘সব জেনেবুঝে ও স্বেচ্ছায় তিন হাজার ৫১৮ বন্দির হত্যায় অংশ নিয়েছিলেন জোসেফ। ১৯৪২ সালে ফায়ারিং স্কোয়াডের সামনে বন্দিদের দাঁড় করিয়ে তাদের হত্যায় সাহায্য করেন। কিছু বন্দিকে বিষাক্ত জাইকলন বি গ্যাস ছড়িয়ে হত্যায় প্ররোচনা দেন।’
১৯৩৬ থেকে ১৯৪৫ সালে সাচসেনহাউসেন শিবিরে দুই লাখ ইহুদি, হিটলার-বিরোধী, সমকামীদের বন্দি করা হয়। তাদের মধ্যে অন্তত ১০ হাজার জন মারা গেছেন। কেউ রোগে, অনাহারে ও অত্যধিক পরিশ্রম করে মারা যান। বন্দিদের কেউ কেউ চিকিৎসাশাস্ত্রে পরীক্ষার কাজে ব্যবহৃত হন। অবশেষে রুশ বাহিনি এসে শিবির থেকে বাকিদের উদ্ধার করে।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শেষে জোসেফকে রাশিয়ার বন্দি শিবিরে পাঠানো হয়। পরে জার্মানি ফিরে তিনি কৃষকের কাজ করেন। ২০২১ থেকে শুনানি শুরু হলেও তার অসুস্থতার কারণে বারবার পিছিয়েছে। বয়সের কারণে সম্ভবত জেলে পাঠানো হবে না জোসেফকে। সূত্র : ডিডব্লিউ, ইন্ডিপেনডেন্ট ইউকে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন