বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

রাবিতে ৩৮ হাজার আসন ফাঁকা রেখেই হতে যাচ্ছে ভর্তি পরীক্ষা

রাবি সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ৩০ জুন, ২০২২, ১:৪৩ পিএম

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষার চূড়ান্ত আবেদন শেষ হয়েছে। তিনটি ইউনিটে থেকে ৭২ হাজার করে মোট ২ লাখ ১৬ হাজার শিক্ষার্থীর ভর্তি পরীক্ষায় বসার কথা থাকলেও চূড়ান্ত আবেদন জমা পড়েছে ১ লাখ ৭৮ হাজার ২৬৮ টি। সেই হিসেবে কোনো ইউনিটেই ৭২ হাজার পূর্ণ হয়নি। যার ফলে প্রায় ৩৮ হাজার আসন ফাঁকা রেখেই অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয়ের (২০২১-২২) শিক্ষাবর্ষের স্নাতক প্রথম বর্ষের ভর্তি পরিক্ষা।

এ ঘটনায় এরইমধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের সমালোচনার মুখে পড়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

শিক্ষার্থীরা বলছেন, সিলেকশন পদ্ধতির বেড়াজালে পড়ে এতগুলো শিক্ষার্থীর পরিক্ষা দেয়ার অধিকার নষ্ট করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। জিপিএ কখনো একজন শিক্ষার্থীর মেধা যাচাইয়ের মানদণ্ড হতে পারে না। সবাইকেই তার মেধা ও যোগ্যতার০০ যাচাই করার সুযোগ দেওয়া উচিত। যাদের জিপিএ একটু কম তারা এখানে আবেদন করার সাহসই করে নি বলে অভিযোগ তাদের।

বিশ্ববিদ্যালয়ের আইসিটি সেন্টার সূত্রে জানা যায়, এবারের ভর্তি পরীক্ষায় তিন ইউনিটে (এ, বি, সি) ৭২ হাজার করে মোট ২ লাখ ১৬ হাজার শিক্ষার্থীর পরীক্ষা দেয়ার সুযোগ থাকলেও কোনো ইউনিটে তা (৭২ হাজার) পূর্ণ হয়নি। তিনটি ইউনিটের মধ্যে এ ইউনিটে আবেদন করেছে ৬৭ হাজার ২৩৭ জন, বি ইউনিটে ৩৮ হাজার ৬২১ এবং সি ইউনিটে ৭১ হাজার ৪১০ জন ভর্তিচ্ছু। সেই হিসেবে আবেদন করেছে মোট ১ লাখ ৭৮ হাজার ২৬৮ জন শিক্ষার্থী। যার ফলে প্রায় ৩৮ হাজার আসন ফাঁকা রেখেই চূড়ান্ত আবেদন শেষ করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

রিয়াজ হোসেন নামের এক ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থী এ ইউনিটে প্রাথমিক আবেদন করেছিলেন। তিনি বলছেন, এ ইউনিটে ৪.৪২ দ্বিতীয় ও তৃতীয় ধাপে দেখিয়েছে কিন্তু সমপরিমাণ রেজাল্ট নিয়েও আমি চূড়ান্ত আবেদন করতে পারেনি। বিষয়টি দুঃখজনক।

সিলেকশন পদ্ধতির সমালোচনা করে বিশ্ববিদ্যালয় ফিশারিজ বিভাগের অধ্যাপক ড.মো মাহবুবুর রহমান বলেন, নির্ধারিত জিপিএ দারী সকল আবেদনকারীকে ভর্তি পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ করতে দিলেই সবচেয়ে উত্তম সিদ্ধান্ত হতো। প্রাথমিক বাছাই করে অনেক শিক্ষার্থীদের সু্যোগ নষ্ট না করলে ভালো হতো ! প্রতিযোগিতার জগতে সুযোগ সংকোচন কোনোভাবেই আমি সমর্থন করি না ! কর্তৃপক্ষ আগামীতে আরো সময়পোযোগী সিদ্ধান্ত নিবেন এমনটি প্রত্যাশা করেন এই অধ্যাপক।

এবিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয় আইসিটি সেন্টারের পরিচালক অধ্যাপক বাবুল ইসলাম বলেন, রাবির ভর্তি পরীক্ষায় এ পর্যন্ত তিন ধাপে চূড়ান্ত আবেদন প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে। যেখানে জিপিএ ও নম্বরের ভিত্তিতে নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের আবেদন সুযোগ পেয়েছে। তারমধ্যে ব্যবসা বিভাগ তথা বি ইউনিটে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক আবেদন পড়েনি। ফলে যারা প্রাথমিকে করা সকলই চূড়ান্ত আবেদনের সুযোগ পেয়েছে। তাছাড়া নির্ধারিত সময়ে আবেদন সম্পন্ন না করাই এ ইউনিটেও কিছু আবেদন পড়েনি।

পরবর্তী ধাপে আবার আবেদন গ্রহণের সুযোগ আছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, আবেদনের আর কোন সুযোগ নেই। সকলে যাতে যোগ্যতার ভিত্তিতে আবেদনের সুযোগ পায়, সেজন্য তিন ধাপে আবেদন নেয়া হয়েছে। এভাবে আর আবেদন গ্রহণের সুযোগ নেই। ভর্তি পরীক্ষাকে সামনে রেখে আনুসাঙ্গিক অন্যান্য কার্যক্রম এগিয়ে নেয়া হচ্ছে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।

উল্লেখ, রাবির ভর্তি পরীক্ষা আগামী ২৫-২৭ জুলাই অনুষ্ঠিত হবে। ২৫ জুলাই ‘সি’ ইউনিট (বিজ্ঞান), ২৬ জুলাই ‘এ’ ইউনিট (মানবিক), ২৭ জুলাই ‘বি’ ইউনিট (বাণিজ্য) ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। প্রতিদিন চারটি শিফটে ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। শিফট অনুযায়ী প্রতিদিন গ্রুপ-১: সকাল ৯টা থেকে ১০টা, গ্রুপ-২: ১১টা থেকে ১২টা, গ্রুপ-৩: দুপুর ১টা থেকে ২টা। এছাড়াও গ্রুপ-৪: বিকাল সাড়ে ৩টা থেকে সাড়ে ৪টা পর্যন্ত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। প্রতিটি শিফটে ১৮ হাজার করে শিক্ষার্থী পরীক্ষা দেবে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন