মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১, ১৩ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

ওষুধের কাঁচামালের আড়ালে আফিম

রুট আফগানিস্তান-ভারত-বাংলাদেশ তিন কেজি আফিমসহ গ্রেফতার দুই মাদক কারবারি

বিশেষ সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ৩ জুলাই, ২০২২, ১২:০৩ এএম

রাজধানীর পল্টন ও বনশ্রী থেকে তিন কেজি আফিমসহ দু’জনকে গ্রেফতার করেছে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর (ডিএনসি)। গ্রেপ্তারকৃত আবুল মোতালেব ও জাহাঙ্গীর সিদ্দিক ভূঁইয়া ওষুধের কাঁচামালের আড়ালে দীর্ঘদিন যাবত মাদক ব্যবসা করে আসছিলো। মোতালেব জনশক্তি রপ্তানির ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত ও জাহাঙ্গীর একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন। আফিমের চালানটি আফগানিস্তান থেকে ভারত হয়ে বাংলাদেশে এসেছে। শনিবার তেজগাঁও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের ঢাকা মেট্রো (উত্তর) কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান ঢাকা বিভাগীয় কার্যালয়ের অতিরিক্ত পরিচালক জাফরুল্লাহ কাজল।
তিনি বলেন, বেশ কিছুদিন আগে আমাদের কাছে গোয়েন্দা তথ্য আসে যে, একটি চক্র আফিমের বড় চালান ঢাকায় এনে বাজারজাত করার চেষ্টা করছে। এরপর আমরা গোয়েন্দা নজরদারি জোরদার করি ও বিভিন্ন তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করে বিশ্লেষণ করতে থাকি। পরে গত শুক্রবার প্রথমে পুরানা পল্টন লেন (ভিআইপি রোড) থেকে দুই কেজি আফিমসহ মো. আবুল মোতালেব (৪৬) নামে একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে বনশ্রী আবাসিক এলাকা থেকে জাহাঙ্গীর সিদ্দিক ভূঁইয়া (৪৪) নামে আরেকজনকে আরও এক কেজি আফিমসহ গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তার হওয়া মো. আবুল মোতালেবের বাড়ি নোয়াখালীতে। তিনি দীর্ঘদিন যাবত জনশক্তি ব্যবসায় জড়িত। তবে এর আড়ালে তিনি মাদক কারবারের সঙ্গে জড়িত।
জাহাঙ্গীর সিদ্দিক ভূঁইয়ার বাড়ি জামালপুরে। তিনি দীর্ঘদিন যাবত একটি বেসরকারি গ্রুপ অব কোম্পানির প্রজেক্ট ম্যানেজার হিসেবে কর্মরত। এর আড়ালে তিনি মাদক কারবারের সঙ্গে জড়িত বলে তথ্য পাওয়া গেছে।
কীভাবে আফিমের চালান জব্দ করা হলো-সে সম্পর্কে অতিরিক্ত পরিচালক জাফরুল্লাহ কাজল বলেন, শপিং ব্যাগের ভেতরে একটি প্লাস্টিকের বয়ামের মধ্যে পলিথিনে মোড়ানো ছিল দুই কেজি আফিম। অপর এক কেজি আফিমও পলিথিনে মোড়ানো ছিল। আফিম একটি ‹ক› শ্রেণির মাদক। উদ্ধারকৃত তিন কেজি আফিমের বাজারমূল্য পৌনে তিন কোটি টাকা।
আফিমের এ চালান কোন রুটে ও কীভাবে কারা নিয়ে আসছে-জানতে চাইলে তিনি বলেন, গ্রেপ্তারদের জিজ্ঞাসাবাদে আমরা জানতে পেরেছি, ভারত থেকে এ চালান বাংলাদেশে এসেছে। বিশ্বের সবচেয়ে বড় মাদকের হাব হচ্ছে আফগানিস্তান। আফগানিস্তান থেকেই এ আফিমের সরবরাহ। আফিমের চালান ঢাকায় আনা হয় ওষুধের কাঁচামাল হিসেবে। উদ্ধারকৃত আফিমের চালানটি ফেনী থেকে ঢাকায় পাঠানো হয়। গ্রেপ্তাররা আফিম নতুন করে ঢাকায় সরবরাহের চেষ্টা করে আসছিল।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমাদের দেশে আফিমের ব্যবহার দুভাবে হয়ে থাকে। এক আফিম সরাসরি সেবন এবং দুই আফিম দিয়ে কেমিক্যালের সাহায্যে হেরোইন, ইয়াবা ও ফেনসিডিলের মতো ভয়ংকর মাদক তৈরি। আফগানিস্তান ছাড়াও পাকিস্তান ও ইরানে এর চাষাবাদ হয়ে থাকে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন