শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

মন্ত্রিসভা বৈঠক ফের ভার্চুয়াল পদ্ধতিতে

পঞ্চায়েত হাবিব | প্রকাশের সময় : ৩ জুলাই, ২০২২, ১২:০১ এএম

মহামারি করোনাভাইরাসের প্রকোপ বেশি থাকায় দেশে মন্ত্রিসভার বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছিল ভার্চুয়াল পদ্ধতিতে। দীর্ঘদিন পর করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসায় চলতি বছরের গত ২৮ মার্চ থেকে সশরীরে মন্ত্রিসভা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। তবে আবারও তিন মাস পর আজ রোববার অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ভার্চুয়াল পদ্ধতিতে মন্ত্রিসভা বৈঠক। গত বৃহস্পতিবার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রীদের পাঠানো এক চিঠিতে এ তথ্য জানা গেছে।
চিঠিতে বলা হয়, আজ রোববার সকাল ১০টায় মন্ত্রিসভা বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। মন্ত্রিসভা বৈঠক ভার্চুয়াল পদ্ধতিতে অনুষ্ঠিত হবে। এ সভায় অংশগ্রহণকালে সভাপতি প্রধানমন্ত্রী গণভবন এবং মন্ত্রিসভার সদস্য ও সচিবরা বাংলাদেশ সচিবালয়ের মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের ১ নম্বর ভবনের চতুর্থ তলায় অবস্থিত মন্ত্রিপরিষদ কক্ষে (কক্ষ নম্বর-৩০৪) অবস্থান করবেন। নিয়ম অনুযায়ী বৈঠক শেষে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম সংবাদিকদের ব্রিফ করবেন। আবারো ভার্চুয়াল পদ্ধতিতে মন্ত্রিসভা বৈঠক শুরু হচ্ছে।

আজ দেশে দুধ, দুধের গুঁড়া এবং দুগ্ধজাতীয় পণ্যের উৎপাদনের লক্ষ্যে এই প্রথম বাংলাদেশ ডেইরি উন্নয়ন বোর্ড করতে যাচ্ছে সরকার। আজ রোববার মন্ত্রিসভার বৈঠকে বাংলাদেশ ডেইরি উন্নয়ন বোর্ড আইন-২০২২ খসড়া উত্থাপন করা হচ্ছে বলে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ সূত্রে জানা গেছে। সুষম পুষ্টিমানসম্পন্ন খাদ্য হিসেবে ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার চাহিদা পূরণে দুধ এবং দুগ্ধজাতীয় পণ্যের উৎপাদন করা প্রয়োজন। দুধ এবং দুগ্ধজাতীয় পণ্যের উৎপাদনে সংশ্লিষ্ট বিকাশমান খামারি ও শিল্পের প্রসার এবং উন্নয়ন করা ও নিরাপদ খাদ্য হিসেবে উৎপাদিত দুধ এবং দুগ্ধজাতীয় পণ্যের মান নির্ধারণ ও প্রয়োগ এবং সরবরাহ নিশ্চিত করার বিধান যুক্ত করে এই প্রথম বাংলাদেশ ডেইরি উন্নয়ন বোর্ড আইন-২০২২ এরূপ সুবিধাদি অন্তর্ভুক্ত করে আইনের খসড়া প্রস্তাব মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে দিয়েছে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়। সেগুলো যাচাই-বাছাই করে আজ রোববার মন্ত্রিসভার বৈঠকে উত্থাপনের প্রস্তুতি নিচ্ছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ বলে জানা গেছে।
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় সচিব ড. মুহাম্মদ ইয়ামিন চৌধুরী স্বাক্ষরিত পাঠানো আইনের সারসংক্ষেপে বলা হয়, দেশের সুষম খাদ্য হিসেবে দুধ এবং দুগ্ধজাতীয় পণ্যের উৎপাদন বৃদ্ধি, মান নির্ধারণ ও নিয়ন্ত্রণ এবং বাজারজাতকরণ সংশ্লিষ্ট বিষয়াবলি ব্যবস্থাপনা ও নিয়ন্ত্রণের নিমিত্ত একটি বোর্ড প্রতিষ্ঠাকল্পে প্রয়োজন। আইনের শিরোনামে বলা হয়, এই আইন বাংলাদেশ ডেইরি উন্নয়ন বোর্ড আইন, ২০২২ নামে অবহিত হবে। এটা সরকার সরকারি গেজেট প্রজ্ঞাপন দ্বারা যে তারিখ নির্ধারণ করিবে সেই তারিখ থেকে কার্যকর হবে, যা সারাদেশের জন্য প্রযোজ্য হবে। সংজ্ঞায় বলা হয়, ডেইরি অর্থ গবাদিপশু, অর্থাৎ গরু, মহিষ, ছাগল, ভেড়া থেকে আহরিত দুধ এবং দুধ প্রক্রিয়াকরণের মাধ্যমে দুগ্ধজাত পণ্য, যা শিশুসহ সকল মানুষের নিরাপদ খাদ্য এবং তা উৎপাদন, সংরক্ষণ ও ব্যবস্থাপনাকে বোঝাবে।

বোর্ড গঠন হবে কিভাবে : এই আইন প্রবর্তনের পর, সরকার এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, সরকারি গেজেট দ্বারা, বাংলাদেশ ডেইরি উন্নয়ন বোর্ড নামে একটি বোর্ড গঠন করবে। বোর্ডের একটি সংবিধিবন্ধ সংস্থা হবে এবং স্থায়ী ধারাবাহিকতা ও একটি সাধারণ সিলমোহর থাকবে এবং স্থাবর ও অস্থাবর উভয় প্রকার সম্পত্তি অর্জন করবে। অধিকার রাখার ও হস্তান্তর করার ক্ষমতা থাকবে এবং বোর্ডের নামে মামলা করা যাবে এবং বোর্ডও মামলা করতে পারবে সেই ক্ষমতা রাখা হয়েছে।
পরিচালনা ও প্রশাসন : বোর্ডের পরিচালনা ও প্রশাসন একটি পর্ষদের অধীন ন্যস্ত থাকবে এবং বোর্ড যে কোনো ক্ষমতা প্রয়োগ করতে পারবে।

পরিচালনা পর্ষদ : এ আইনে ১৭ সদস্যবিশিষ্ট পরিচালনা পর্ষদ থাকবে। এতে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী হবেন পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান, প্রতিমন্ত্রী হবেন কো-চেয়ারম্যান, সদস্য সচিব হবেন নির্বাহী পরিচালক, বাংলাদেশ ডেইরি উন্নয়ন বোর্ড। এছাড়া সদস্যরা হবেন একজন এমপি, সচিব মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়, নিরাপদ খাদ্য কৃর্তপক্ষের চেয়ারম্যান, অর্থ বিভাগের একজন যুগ্মসচিব, কৃষি মন্ত্রণালয়, স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের একজন, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের একজন, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের একজন যুগ্ম সচিব। এছাড়া প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরে মহাপরিচালক এবং বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউট ডিজি, বিভাগীয় প্রধান ডেইরি বিজ্ঞান বিভাগ বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (পদাধিকার বলে) বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের সদস্য পরিচালক (প্রাণিসম্পদ) পদাধিকার বলে সরকার কর্তৃক নিবন্ধিত দুগ্ধ সমবায় সমিতির দুইজন তার মধ্যে একজন পুরুষ ও মহিলা হবেন।

দণ্ড : কোনো ব্যক্তি অপরাধ করলে সেই ব্যক্তি ধারা ১২-এর উপধারা (২) এবং ধারা ১৩-এর উপধারা (৪)-এ বর্ণিত অপরাধ করলে অনূর্ধ্ব ২ বছর কারাদণ্ড বা অনধিক ৫ লাখ টাকা পর্যন্ত অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ডের বিধান যুক্ত করা হয়েছে।
কোম্পানি কর্তৃক অপরাধ : কোনো কোম্পানি কর্তৃক এই আইনের অধীনে কোনো অপরাধ সংঘটিত হলে উক্ত অপরাধে কোম্পানির পরিচালক, অংশীদার, প্রধান নির্বাহী, ম্যানেজার, সচিব বা অন্য কোনো কর্মকর্তা বা প্রতিনিধি উক্ত অপরাধ সংঘটিত হয়েছে বলে গণ্য হবে। এ বিধান যুক্ত করা হয়েছে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন