শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫ হিজরী

আন্তর্জাতিক সংবাদ

মিশরে হাঙ্গরের আক্রমণে ‘হাত ও পা হারানোর’ পর পর্যটকের মৃত্যু

অনলাইন ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ৩ জুলাই, ২০২২, ৫:০৮ পিএম

লোহিত সাগরের তীরে অবস্থিত সাহল হাশিশের রিসোর্ট।


মিশরের একটি জনপ্রিয় সমুদ্র সৈকতে থাকাকালীন একটি হাঙরের আক্রমণে একজন মহিলার মৃত্যু হয়েছে। তার হাত এবং পা ছিঁড়ে ফেলেছিল হাঙর। স্থানীয় একটি পত্রিকার প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ৬৮ বছর বয়সী অস্ট্রিয়ান ওই নারী সাঁতার কেটে তীরে ফিরে আসতে পেরেছিলেন। তাকে একটি অ্যাম্বুলেন্সে রাখা হয়েছিল কিন্তু পরবর্তীতে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে তিনি মারা যান। হামলার ভিডিও ফুটেজে দেখা গেছে, আতঙ্কিত পর্যটকদের ছুটোছুটির মধ্যেই দেখতে দেখতে পানি রক্তে লাল হয়ে যায়। ভিডিওটিতে বেশ কয়েকজন রাশিয়ান পর্যটককে লাইফগার্ডের অভাবের অভিযোগ করতে শোনা যায়।

আক্রমণটি লোহিত সাগরে সাহল হাশিশের রিসোর্টের কাছে ঘটে, যা বাজেট-সচেতন মিশরীয় এবং ইসরায়েলি পর্যটকদের কাছে জনপ্রিয়। ‘তার সারা শরীর রক্তে ঢেকে গেছে। হাঙ্গরটি তার হাত কেটে ফেলেছে। উদ্ধারকারী দল কোথায়? সে....মরতে চলেছে,’ আতঙ্কিত রাশিয়ান পর্যটকদের বলতে শোনা যায়, সোশ্যাল মিডিয়ায় ফুটেজ ও রিপোর্ট অনুযায়ী।

একজন পুরুষকে দড়ি নিক্ষেপ করতে দেখা যায় যখন মহিলাটি সাহসের সাথে সৈকতের দিকে ফিরে আসে, যদিও কেউ তাকে সাহায্য করতে পানিতে নামেনি। যখন তিনি সমুদ্র সৈকতে পৌঁছেছিলেন, সেই মহিলা, যিনি স্থানীয় রিপোর্ট অনুসারে একজন মিশরীয় পুরুষকে বিয়ে করেছিলেন, সিপিআর পেয়েছিলেন। কিন্তু এরপর অ্যাম্বুলেন্সের মধ্যেই হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে তার মৃত্যু হয়। এরপর থেকে মিশরীয় কর্তৃপক্ষ সমুদ্র সৈকত বন্ধ করে দিয়েছে।

মিশরে হাঙরের আক্রমণ বিরল তবে লোহিত সাগরে রিফ হাঙ্গর এবং মহাসাগরীয় সাদা টিপ হাঙ্গর রয়েছে। ২০২০ সালে, রাস মোহাম্মদ রিসর্টে মিশরে হাঙ্গর দ্বারা আক্রান্ত হওয়ার পরে একটি ইউক্রেনীয় শিশু এবং তার ট্যুর গাইড তাদের অঙ্গ হারিয়ে ফেলে। ২০১০ সালে মিশরে হাঙ্গরের আক্রমণের বিষয়টিও একটি উত্তপ্ত বিতর্কে পরিণত হয়েছিল যখন কয়েক দিনে পাঁচটি হামলা হয়েছিল। ওই হামলায় তিনজন রুশ, একজন ইউক্রেনীয় এবং একজন জার্মান পর্যটক আহত হন।

এই সপ্তাহে যে, হাঙ্গরটি অস্ট্রিয়ান মহিলাকে আক্রমণ করেছিল তা কেন অগভীর পানিতে সাঁতার কেটেছিল তা স্পষ্ট নয়। ২০১০ সালের ঘটনার সময়, অনুমান করা হয়েছিল যেন উপকূলের কাছে পানিতে ফেলে দেয়া খাবার হাঙ্গরকে প্রলুব্ধ করতে পারে। বিজ্ঞানীরা বলছেন যে, হাঙ্গররা মানুষকে খাদ্যের উৎস হিসাবে বিবেচনা করে না তবে তারা যদি হুমকি বা পানিতে কোণঠাসা বোধ করে তবে আক্রমণ করতে পারে। সূত্র: দ্য টেলিগ্রাফ।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন