মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ ২০২৪, ০৫ চৈত্র ১৪৩০, ০৮ রমজান ১৪৪৫ হিজরী

খেলাধুলা

তবুও প্রাপ্তিযোগ দেখছেন ডমিঙ্গো

যেখানে বিজয়ের ‘জয়’

স্পোর্টস রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৪ জুলাই, ২০২২, ১২:০০ এএম

ম্যাচটা পরিত্যক্ত না হলে আরেকটি হতাশাই সঙ্গী হতে পারত বাংলাদেশের। আগে ব্যাটিং পেয়ে দুজন ছাড়া বাকিদের ব্যর্থতায় চলে উইকেট পতনের মিছিল। বাংলাদেশের প্রধান কোচ রাসেল ডমিঙ্গো বলছেন, অনুশীলন ঘাটতি একটা বড় কারণ। তবে টি-টোয়েন্টির আবহে ফেরায় পরের ম্যাচ থেকেই উন্নতির আশায় তিনি।
গতপরশু রাতে ডমিনিকায় দফায় দফায় বৃষ্টি বাধায় পড়ে বাংলাদেশ-ওয়েস্ট ইন্ডিজের প্রথম টি-টোয়েন্টি। ১৬ ওভারে খেলা নির্ধারিত হলেও বৃষ্টি বাধায় তা নেমে আসে ১৪ ওভারে। বাংলাদেশ ১৩ ওভারে ৮ উইকেটে ১০৫ রান তোলার পর আবার নামে বৃষ্টি। এরপর বৃষ্টি সরে গেলেও ম্যাচের সময় পেরিয়ে যায়। ওয়েস্ট ইন্ডিজ আর ব্যাট করতেই নামতে পারেনি।
ম্যাচ পরিত্যক্ত হলেও পারফরম্যান্সগুলো আড়াল হচ্ছে না। সাকিব-সোহান ছাড়া আর কেউ সেভাবে ঝলক দেখাতে পারেননি। ম্যাচ শেষে গণমাধ্যমে কথা বলতে এসে ডমিঙ্গো জানান, অনুশীলন ঘাটতিতে জড়তা ছিল তাদের তবে এটাকে অজুহাত করতেও চাননি তিনি, ‘দীর্ঘ নৌ ভ্রমণ করে এখানে এসেছে সবাই। গত কাল বৃষ্টির কারণে অনুশীলন করা যায়নি। তবে কোন অজুহাত দেব না। কারণ ওয়েস্ট ইন্ডিজেরও একই অভিজ্ঞতা হয়েছে। ওরাও আমাদের মতো একই ফেরিতে ছিল, ওরাও অনুশীলন করতে পারেনি। কয়েক সপ্তাহ ম্যাচ না খেলায় আমাদের কয়েকজনের জড়তা ছিল। রিয়াদ-আফিফ ম্যাচে ছিল না বেশ কিছুদিন। আজ তাদের অনুশীলন হলো। রিয়াদ ও আফিফ সবশেষ ম্যাচ খেলেছে দক্ষিণ আফ্রিকায় দুই মাস আগে। কাজেই সিরিজ যত সামনে যাবে তারা ছন্দে ফিরবে।’
ম্যাচ পরিত্যক্ত হওয়ায় একদিক থেকে বেশ স্বস্তি বাংলাদেশের। কিছুটা অনুশীলনের সুযোগ তো মিলল। প্রতিপক্ষ ৫ ওভার ব্যাট করার জন্য পেলে ডিএল/এস মেথডে লক্ষ্যটা হয়ে যেত সহজ। সেসব কিছু হয়নি। অনুশীলন ঘাটতি পুষিয়ে নিয়ে দ্বিতীয় ম্যাচেই ইতিবাচক আভাস পাচ্ছেন ডমিঙ্গো, ‘আজকে কিছুটা খেলার সুযোগ পেলাম। ১৩ ওভার ব্যাট করলাম। টি-টোয়েন্টির আবহে ফিরতে পেরেছি। দ্বিতীয় ম্যাচেই উন্নতি দেখবেন, আমি নিশ্চিত। এই কন্ডিশনে আগে বল করতে পারলে ভাল হত। টসটা পক্ষে আসেনি। একটা সময় ২ উইকেটে ৪৫ ছিল। ভালই ছিল। এরপর বাজে ক্রিকেট খেলেছি আমরা। তবে পরের ম্যাচে ভাল করব। ব্যাটিং ইতিবাচক। সাকিব ভুল সময়ে আউট হয়েছে, এটা সে নিজেও বুঝে। কারো কাছ থেকে বড় রান দরকার। এই সংস্করণে দরকার ভাল জুটি। আজকে জুটি তৈরি হতে হতেই উইকেট পড়েছে।’
এদিকে, দেশের ক্রিকেটারদের মধ্যে সবচেয়ে লম্বা বিরতিতে দিয়ে টেস্ট খেলার রেকর্ড গড়ার পর টি-টোয়েন্টিতেও একই রেকর্ড গড়েছেন এনামুল হক বিজয়। টেস্টে ফিরেছিলেন প্রায় ৮ বছর পর, টি-টোয়েন্টিতে ফেরেন সাত বছর পর। ফিরে একটি টেস্ট ও একটি টি-টোয়েন্টিতে খুব বড় রান করা হয়নি তার। তবে তিনি শুরুটা যেভাবে করেছেন তাতে বেশ রোমাঞ্চিত প্রধান কোচ।
ইয়াসির আলি রাব্বির চোটে যোগ দিয়ে সেন্ট লুসিয়ায় দ্বিতীয় টেস্টে নেমে সাবলীল খেলে ২৩ রান করে আউট হয়ে যান। পরের ইনিংসে করেন কেবল ৪ রান। ডমিনিকায় পরিত্যক্ত হওয়া প্রথম টি-টোয়েন্টিতে মুনিম শাহরিয়ারের সঙ্গে ওপেন করতে নেমে ১০ বলে ১৬ করে আউট হয়ে যান তিনি। ঘরোয়া ক্রিকেটের অভিজ্ঞ এই পারফর্মারকে কতটা দেখলেন কোচ? প্রথম ম্যাচের পর এমন প্রশ্নের জবাবে বিজয়ের জন্য আশার বানী শোনালেন তিনি, ‘সে টেস্টের পর টি-টোয়েন্টি খেলল। যা দেখলাম তাতে সত্যিই ভালো লেগেছে। টেকনিক ভালো, রান করার কথা ভাবে। মাঠে তার উপস্থিতি ইতিবাচক। গুরুত্বপ‚র্ণ দিক হলো সে ভালো ফিল্ডার। এরকম অভিজ্ঞ ও ছন্দে থাকা একজনকে পাওয়া দারুণ ব্যাপার।’ বিজয়ের মাঠের উপস্থিতি, ব্যাট করার সময় শরীরী ভাষায় ইতিবাচক আমেজ পাচ্ছেন কোচ। তবে এসব দিয়েই তো চলবে না। বিজয়কে জায়গা পাকা করতে রান করার তাগিদও দিয়ে রাখলেন তিনি, ‘তবে তাকে কিন্তু রান করতে হবে। দুই ম্যাচে (টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি) ভালো শুরু পেয়েছে কিন্তু... সব মিলিয়ে দুই সপ্তাহ তাকে যা দেখলাম তাতে আমি রোমাঞ্চিত।’

 

 

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন