কুড়িগ্রামে নদনদীর পানি কমে বন্যা পরিস্থিতির সার্বিক উন্নতি হয়েছে।তবে বানভাসীদের কষ্ট রয়েই গেছে।বাড়িঘর থেকে পানি নেমে যেতে শুরু করলেও অনেকেই উঁচু স্থান ও আশ্রয়কেন্দ্র থেকে নিজ বাড়িতে ফিরতে পারছেন না। আরো বেশ কয়েকদিন সময় লাগতে পারে।কারন এখন কোন কোন বাড়িতে কাঁদা ও কেঁচোয় ভরপুর।আবার কোথাও কোথাও ভঙ্গুর বাড়িঘর।ফলে এসব মানুষ বাড়িতে ফিরতে দেরি করছেন।এদিকে,বন্যার পানি নেমে গেলেও দেখা দিয়েছে নানা পানিবাহিত রোগ।খাদ্য সংকট অনেক এলাকায় দেখা দিলেও সরকারি বেসরকারি পর্যায়ে যে ত্রাণ সহায়তা দেয়া হচ্ছে তা পর্যাপ্ত নয় বলে জানায় বানভাসীরা।অনেকেই একবার ত্রাণ পেলেও আরো প্রয়োজন বলে জানান।
অপরদিকে,গত এক সপ্তাহ ধরে জেলার সবকটি নদনদীতে দেখা দিয়েছে নদী ভাঙন।এ যেন মরার উপর খাঁড়ার ঘা।একদিকে বন্যার চাপ অন্যদিকে নদী ভাঙন।এতে বন্যার্ত ও নদী পাড়ের মানুষের মধ্যে মারাত্মক সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে।ভাঙনের মাত্রা তীব্র থেকে তীব্রতর হচ্ছে।সোমবার বিকেলে স্থানীয় পানি উন্নয়ন বোর্ড জানায়,তিস্তা,ধরলা,দুধকুমর ও ব্রহ্মপুত্র নদের ২২টি পয়েন্টে এখন দেখা দিয়েছে নদী ভাঙন।গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে তিস্তা নদীর তীব্র ভাঙনে রাজারহাট উপজেলার ঘড়িয়াল ডাঙা ইউনিয়নের পাড়ামৌলা,ঘড়িয়ালডাঙা ও খিতাব খাঁ এলাকায় এবং সদর উপজেলার ধরলা নদীর ভাঙনে হলোখানা ইউনিয়নের সারডোব গ্রাম এবং উলিপুরে ব্রহ্মপুত্র নদের তীব্র ভাঙনে বজরা গ্রামে দেড় শতাধিক বাড়িঘর নদীগর্ভে বিলিন হয়েছে।আরো ঘর বাড়ি,শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও অন্যান্য স্থাপনা নদী ভাঙনে হুমকিতে রয়েছে।কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান,তিস্তা ও ধরলার বেশ কয়েকটি পয়েন্টে চলছে তীব্র নদী ভাঙন। তবে ভাঙন প্রতিরোধে বিভিন্ন পয়েন্টে বালুর বস্তা ফেলে নিবারণের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে বলে জানান তিনি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন