বুধবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৪, ০৪ বৈশাখ ১৪৩১, ০৭ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

কুয়াকাটায় সাগরে বিলীন হওয়ার আতঙ্কে ধর্মীয় স্থাপনা

কলাপাড়া (পটুয়াখালী) উপজেলা সংবাদদাতা : | প্রকাশের সময় : ৫ জুলাই, ২০২২, ১২:০২ এএম

কুয়াকাটায় দুই যুগের বেশি সময় ধরে সম্প্রীতির বন্ধনে সমুদ্র সৈকতের মুখোমুখি দাঁড়িয়ে থাকা দু’টি ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান হুমকির মুখে, যে কোন সময় সাগরে চলে যেতে পারে। সামনের জোঁতে সাগর সৈকত জামে মসজিদ ও শ্রী শ্রী রাধা কৃষ্ণ মন্দির যা একইস্থানে স্বাক্ষী হয়ে প্রায় দুই যুগ ধরে দাঁড়িয়ে আছে যা আগামী জোঁতে সাগর গর্ভে বিলীন হওয়ারা সম্ভাবনা রয়েছে। দ্রুত কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে পদক্ষেপ না নিলে কুয়াকাটার সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির যে আলো রয়েছে তা নিভে যাবে এমনটাই জানান দিচ্ছে।

সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, কুয়াকাটা জিরো পয়েন্ট গিয়ে সৈকতে নামার সময় পূর্ব পাশে একই রাস্তায় একই জায়গায় পাশাপাশি গাঁ ঘেষে দাড়িয়ে আছে সম্প্রীতির বন্ধন প্রথমে মুসলিমদের দোতলা একটি জামে মসজিদ ও মাদরাসা, এরপরেই রয়েছে হিন্দু ধর্মালম্বীদের বিশাল বাউন্ডারীর মধ্যে ৩টি ভবনে ৪টি মন্দির। যেখানে গত বছর শেষ দিকে পাউবো নামেমাত্র জিও ব্যাগ ও টিউব দিয়ে কোন রকম রক্ষা করার জন্য কাজ করেছিল তা এই বছর সাগরে চলে গেছে। এই ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান দুইটিতে আগত ভ্রমণ পিপাসুরা কুয়াকাটার একদম সৈকত জুড়ে থাকায় আনন্দ বিনোদনে পাশাপাশি খুব সহজে যে যার ধর্ম করতে পারত। অনেক কষ্ট করে স্থানীয়রা সৈকতের পাশে এই ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান দুটি গড়ে তুলে।
ওই মসজিদের সাবেক খতিব ক্বারী নজরুল ইসলাম বলেন, ২০০৮ থেকে ২০১৯ পর্যন্ত ওই মসজিদে আমি ইমামতি করেছি। অনেক স্মৃতি বিজড়িত আছে তখন সাগর ছিলো অনেক দূরে, এখন একেবারেই কাছে এসে গেছে। সাগর পাড়ে নামলেই মসজিদ আর সাগরের ঢেউ দেখলেই কান্না আসে, কখন জানি বিলীন হয়ে যায়। তাই মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে আমাদের জোড় দাবি দ্রুত বড় কোন প্রকল্প দিয়ে এই মসজিদসহ এলাকাকে রক্ষা করুন।
শ্রী শ্রী রাধা কৃষ্ণ মন্দিরের সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার নিহার রঞ্জন মন্ডল বলেন, সামনের জোঁতে মন্দিরের বাউন্ডারি দেয়াল পরে যাবে। তাই প্রতিবারই এই সময় পাউবো অস্থায়ীভাবে জিও টিউব দিয়ে রক্ষা করার চেষ্ঠা চালায়। তবে এ নিয়ে খুব আতঙ্কে আছি কখন বড় কোন দুর্ঘটনা ঘটে যায়।
এ ব্যাপারে কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী প্রকৌশলী (পাউবো) আরিফ হোসেন জানান, মন্দির ও মসজিদ রক্ষা করার জন্য মাঝখানে একটি টেন্ডার ডাকা হয়েছিল সেখানে ঠিকাদাররা অনীহা প্রকাশ করে, তাই এখন জরুরি ভিত্তিতে কাজ করার চেষ্টা চলছে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন