লক্ষ্মীপুরে ব্যবসায়িক অংশীদারিত্বের ৩২ লাখ টাকা আত্মসাতের মামলায় ইউপি চেয়ারম্যান আবু ইউছুফ ছৈয়ালকে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত। গতকাল সোমবার দুপুরে অতিরিক্ত চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক শামছুল আরেফিন এ নির্দেশ দেন।
বাদীর আইনজীবী রাসেল মাহমুদ ভূঁইয়া মান্না বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, ইউনুছ হাওলাদার রূপম অভিযুক্ত ইউছুফ ছৈয়ালের কাছে ৩২ লাখ টাকা পাওনা। এ নিয়ে কয়েকবার বৈঠকে বসলেও তিনি টাকাগুলো দেননি। গতকাল সোমবার আদালতে হাজিরা ছিল। বাদীর টাকা না দেওয়ায় আদালত ইউছুফকে গ্রেফতার দেখিয়ে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেয়। ইউছুফ ছৈয়াল সদর উপজেলার চররমনী মোহন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান। বাদী রূপম সদর উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম-আহ্বায়ক।
রূপম জানান, ২০২০ সালে রূপম মেঘনা নদীর মজুচৌধুরীরহাট লঞ্চঘাট ইজারার জন্য ২৫ লাখ টাকার পে-অর্ডার নেন। ঘাটটি চেয়ারম্যান ইউছুফ ছৈয়ালের চররমনী মোহন ইউনিয়নে। এতে তিনি রূপমের সঙ্গে অংশীদার হয়ে কাজ করবেন ও তার নামেই ঘাট ইজারা নেওয়ার জন্য অনুরোধ করেন। রূপম তাতে রাজি হয়। রূপম তখন ২৫ লাখ টাকার পে-অর্ডার ও আরো ১০ লাখ টাকা দেয়। এতে রূপম ও ইউছুফ ছৈয়াল চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয় থেকে টেন্ডারের মাধ্যমে ঘাটটি ইজারা পায়। কিন্তু কাগজপত্রে ইউছুফ ছৈয়ালের পরিবর্তে তার ভাতিজা বাবুল ছৈয়ালের নাম দেখা যায়। কারণ জানতে চাইলে ইউছুফ তখন রূপমকে জানান, চেয়ারম্যান হওয়ার কারণে নিজ নামে তিনি ইজারা নিতে পারবে না। এর কিছুদিন পরে রূপমের অংশীদারিত্বের কথা তিনি অস্বীকার করেন। টাকা চাইলেও দেবেন না বলে জানান। এতে বাধ্য হয়ে রূপম লক্ষ্মীপুর আদালতে ইউছুফ ছৈয়ালের বিরুদ্ধে ৩৩ লাখ টাকা পাওনা উল্লেখ করে মামলা দায়ের করেন।
এদিকে ঘটনাটি মীমাংসার জন্য একাধিকবার ইউছুফ ও রূপম সদর মডেল থানায় লোকজন নিয়ে বৈঠকে বসেন। বারবারই তিনি টাকা দেবেন বলে জানান। সর্বশেষ গত ইউপি নির্বাচনের আগ মূহুর্তে আদালতে মামলাটির হাজিরা ছিল।
তখন বৈঠকের মাধ্যমে তিনি ঘটনাটি মীমাংসার কথা বললে জামিন পান। কিন্তু এরপরও তিনি টাকা ফেরত দেননি। আদালতে রূপম ৩২ লাখ টাকা পাওনা বলে প্রমাণিত হয়। ওই টাকা না দেওয়ায় আদালত তাকে গ্রেফতার করার নির্দশ দেয়।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন