শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

নদীতে অবৈধ জাল, নেই মৎস্য বিভাগের তৎপরতা

গোয়ালন্দ (রাজবাড়ী) উপজেলা সংবাদদাতা : | প্রকাশের সময় : ৫ জুলাই, ২০২২, ১২:০২ এএম

রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার পদ্মা নদীতে অবৈধভাবে ভাসমান ভেসাল ও কারেন্ট জাল দিয়ে মাছ শিকার করছে জেলেরা। এতে নদীতে থাকা ছোট বড় মাছ, জলজ প্রাণী আটকা পড়ে ধ্বংস হচ্ছে। অথচ এই অবৈধ কাজ বন্ধ করার জন্য উপজেলা মৎস্য বিভাগের তেমন কোনো কার্যক্রম নেই।

বিশাল বাঁশের তৈরি ত্রির্ভূজ আকৃতির সঙ্গে চিকন সুতা দিয়ে বাঁশের তিন পাশে টাইট করে বান দেওয়া রয়েছে। বাঁশের মাঝ খানে কট চিকন সুতার জাল দিয়ে বড় একটি পকেট করা রয়েছে। নদীতে স্রোতের সাথে সাথে ভাটিয়ে যাচ্ছে মাঝে মাঝে বাঁশ ধরে ৫ জন জেলে একই সাথে চাপ দিয়ে মাছসহ জলজ প্রাণী উঠিয়ে নৌকার মধ্যে ফেলছে নৌকা থেকে মাছ তুলে নিলেও জলজ প্রাণী মারা যাচ্ছে নৌকার মধ্যেই। সারা বছর ধরে নদীতে এই ভাসমান ভেসাল ও কারেন্ট জাল দিয়ে অবাধে মাছও জলজ প্রাণী শিকার করে যাচ্ছে।
সরেজমিনে দৌলতদিয়া ও দেবগ্রাম এবং কন্নেশনায় গিয়ে দেখা যায় যে, পদ্মার বুকে বিভিন্ন স্থানে অসংখ্য ত্রিভুজ আকারে ভেসাল বাঁশের সাথে বেঁধে নদী দিয়ে ঠেলে চলে যাচ্ছে তাতে প্রচুর পরিমাণ মাছসহ জলজ প্রাণী ধরা পড়ছে। এদিকে আবার দেখা যায় নদীতে অনেক কারেন্ট জাল ফেলে স্রোতে ভাটিয়ে যাচ্ছে তাতে নদীতে নৌযান চলাচলে ব্যাহত হচ্ছে। সাধারণত এই ভেসাল ও কারেন্ট জাল নৌকার উপর দাঁড়িয়ে ব্যবহার করার কারণে এর নাম হয়েছে ভাসমান ভেসাল এবং কারেন্ট জাল নৌকায় দাঁড়িয়ে বা বসে উঠানো বা নদীতে ফেলা যায়। নদীতে ভাসমান ভেসাল বা কারেন্ট জালে প্রতিদিন নিধন হচ্ছে, বড় মাছ, ছোট মাছের পোনা, জাটকা ইলিশ, মলা, ঢেলা, পুঁটি, ট্যাংরা, কে, শিং, মাগুর ও গুলসা ইত্যাদি। এছাড়াও ব্যাঙ, সাপ, কুচিয়া, কাকরা, কচ্ছপসহ অন্যান্য জলজ প্রাণী কারেন্ট জালে আটকা পড়ে মারা যাচ্ছে।
জেলে গফুর হোসেন বলেন, ইলিশ মাছ ধরার জন্য সাধারণত আমরা কারেন্ট জাল নদীতে ফেলে থাকি। দেখা যায় ইলিশ মাছের পাশাপাশি সবধরনের মাছ আমাদের জালে ধরা পড়ে। আমরা ছাড়াও অনেকেই এই নদীতে কারেন্ট জাল দিয়ে মাছ ধরছে।
জেলে শ্রী শহর বলেন, আমরা ৫ জন পাটনারে মিলে একটি ভাসমান একটি ভেসাল জাল তৈরি করেছি। নদীতে প্রতিদিন জাল বাইলে ১০ কেজি থেকে ৩০ কেজি পর্যন্ত সবধরনের মাছ পাচ্ছি। সবদিনেই একই রকম মাছ ধরা পড়ে না। মোটামুঠি জাল বেয়ে ৫ জনের সংসার কোনো রকম চলছে।
গোয়ালন্দ উপজেলা সহকারী মৎস্য কর্মকতা মো. রেজাউল শরীফ বলেন, নদীতে নিয়মিত কার্যক্রম না থাকায় কিছু অবৈধ জাল নদীতে প্রবেশ করেছে। নদীতে ভেসাল জাল, কারেন্ট জাল, চায়না দুয়াড়ি, গণমসারি জাল এগুলো অবৈধ। আমি নদীতে থাকা অবস্থায় আটটি মোবাইল কোর্ট করছি।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন