পদ্মা সেতু চালু হওয়ায় দক্ষিণাঞ্চলের লঞ্চগুলোতে যাত্রী সংখ্যা কিছুটা কমবে ঈদুল আযহার উপলক্ষে বাড়তি যাত্রী পাওয়ার আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা। এদিকে মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া ঈদে বাড়তি যানবাহনের চাপ সামাল দিতে ঘাটে প্রস্তুত রাখা হয়েছে ২৭টি ফেরি। সেজন্য প্রস্তুতিও নিয়েছেন লঞ্চ মালিকরা। ইতোমধ্যে বেশিরভাগ লঞ্চকেই পরিপাটি করে তোলা হয়েছে। যাত্রীদের নিরাপদ ও স্বাচ্ছন্দে ভ্রমণের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিয়েছেন তারা। ঢাকার সদরঘাট এলাকায় বুড়িগঙ্গা নদীর দুই পাড়ে সারি সারি নোঙর করা লঞ্চ। ঈদুল আযহা সামনে রেখে যাত্রী পরিবহনের জন্য চলছে মেরামত ও সাজসজ্জার কাজ। দক্ষিণাঞ্চলে মানুষের বাড়ি ফেরার প্রধান সঙ্গী ‘লঞ্চ›। এরইমধ্যে সড়ক পথে পদ্মা সেতু চালু হওয়ায় নদীপথের যাত্রী কমেছে। তার প্রভাব ঈদযাত্রায় পড়তে পারে, এমন আশঙ্কা নিয়েও লঞ্চ মালিকরা তাদের পুরানো লঞ্চ নতুন করে তৈরি করছে, চলছে সাজসজ্জা ও ইঞ্জিনসহ নিরাপত্তা সরঞ্জাম পরীক্ষা করা। লঞ্চ মালিকরা জানান, প্রতি বছর ঈদের বেশ আগেই অগ্রিম টিকিট বিক্রি শেষ হয়ে যায়। কিন্তু এবার এখন পর্যন্ত মোট আসনের অর্ধেকেরও কম টিকেট বিক্রি হয়েছে। ভাড়া নিয়েও কোন অভিযোগ নেই। নির্ধারিত ভাড়াতেই যাত্রী বহন করছে লঞ্চ মালিকরা। তবে সদরঘাটে পৌঁছানোর পথে যানজট নিয়ে দুর্ভাবনা আছে তাদের। দক্ষিণাঞ্চলের ৪১টি রুটের প্রায় আড়াইশো লঞ্চ চলাচল করে। এ দিকে অভ্যান্তরীন নৌপথে যাত্রীবাহী লঞ্চ স্টিমারে ঈদের ৫ দিনপর পর্যন্ত মোটর সাইকেল আরোহন বা বহন নিষিদ্ধ করেছে বিআইডব্লিউটিএ।
মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া ফেরিঘাটে ঈদে ঘরমুখী মানুষের পারাপার নির্বিঘ্ন করতে বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছে জেলা প্রশাসন, পুলিশ ওবিআইডব্লিউটিসি। বাড়তি যানবাহনের চাপ সামাল দিতে ঘাটে প্রস্তুত রাখা হয়েছে ২৭টি ফেরি। যাত্রীদের নিরাপত্তায় থাকবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর এক হাজার সদস্য। থাকবে ভ্রাম্যমাণ আদালত। দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১ জেলার লাখো মানুষ পরিবারের সঙ্গে ঈদ উদযাপনে পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া হয়ে বাড়ি যান। এসময় মানুষ ও যানবাহনের চাপ বেড়ে যায় কয়েকগুণ। বাড়ে দুর্ভোগও। এবারের ঈদে এই রুটে নদী পারাপারে ছোট-বড় ২৭টি ফেরি প্রস্তুত করা হয়েছে। নেয়া হয়েছে অন্য উদ্যোগও।
মানিকগঞ্জ জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ আব্দুল লতিফ জানান, ঘাটের সার্বিক কার্যক্রম পর্যবেক্ষণের জন্য খোলা থাকবে একটি কন্ট্রোলরুম। নিয়েজিত থাকবে ভ্রাম্যমাণ আদালত। অসুস্থ যাত্রীদের হাসপাতালে নিতে প্রস্তুত থাকবে ফায়ার সার্ভিস।
মানিকগঞ্জ পুলিশ সুপার মুহাম্মদ গোলাম আজাদ খান সাংবাদিকদের বলেন, যাত্রীদের নিরাপত্তা ও যানজট নিয়ন্ত্রণে কাজ করবে পুলিশ, র্যাব ও আনসারের এক হাজার সদস্য। এছাড়া ফেরি-লঞ্চেও থাকবে বিশেষ নজরদারি। ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক যানজট মুক্ত রাখতে গুরুত্বপূর্ণ স্থানের খানাখন্দ সংস্কার শেষ হয়েছে বলে জানিয়েছে সড়ক ও জনপথ বিভাগ।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন