রাশিয়া দাবি করেছে, ইউক্রেনকে দেয়া আমেরিকার হাই মবিলিটি রকেট সিস্টেম বা এইচ আই এম এ আর এস তারা ধ্বংস করেছে। রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বুধবার এই দাবি করেছে। মন্ত্রণালয়ের পক্ষে মুখপাত্র মেজর জেনারেল ইগোর কোনাশেংকভ বলেছেন, রাশিয়ার সেনারা ইউক্রেনের দুটি গোলাবারুদের ডিপোও ধ্বংস করেছে যেখানে মার্কিন ক্ষেপণাস্ত্র লঞ্চারে ব্যবহার করার জন্য বিপুল পরিমাণ রকেট মজুদ রাখা ছিল। পূর্ব ইউক্রেনের দোনেস্ক অঞ্চলের ক্রামাতোর্স্ক শহরের পাশে একটি গ্রামে ওই ডিপো ছিল। রাশিয়ার সামরিক বাহিনী ক্ষেপণাস্ত্রের মাধ্যমে সেগুলো ধ্বংস করে দিয়েছে। জেনারেল ইগোর কোনাশেংকভ জানান, ইউক্রেন পরিচালিত এস-৩০০ ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার একটি ইউনিটও রাশিয়ার সেনারা ধ্বংস করে দিয়েছে। এ বিষয়ে রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় একটি ভিডিও ফুটেজ প্রকাশ করেছে। এদিকে, ইউক্রেনের সামরিক বাহিনীর জেনারেল স্টাফ রাশিয়ার দাবি প্রত্যাখ্যান করেছেন। তিনি বলেছেন, রাশিয়ার এই দাবি মিথ্যা এবং ভুয়া। তিনি আরো বলেন, ইউক্রেনের সেনারা আমেরিকার দেয়া উন্নত এইচ আই এম এ আর এস ব্যবহার করছে যা রাশিয়ার সেনাদের জন্য বিপর্যয়ের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। রাশিয়া ইউক্রেনে মরিক অভিযান চালানোর শুরু করলে আমেরিকা ও পশ্চিমা দেশগুলো ইউক্রেনকে বিপুল পরিমাণ অস্ত্রশস্ত্র ও গোলাবারুদের সহযোগিতা করে আসছে। অপর এক খবরে বলা হয়, চীন ও ভারতের কাছে জ্বালানি বিক্রি করে মাত্র তিন মাসে ২,৪০০ কোটি ডলার আয় করেছে রাশিয়া। ইউক্রেনে অভিযান শুরুর পর তিন মাসে এ আয় করেছে দেশটি। গত মার্চ থেকে মে মাস পর্যন্ত তিন মাসে রাশিয়ার কাছ থেকে তেল, গ্যাস ও কয়লা কেনা বাবদ ১ হাজার ৮৯০ কোটি ডলার খরচ করেছে চীন, যা আগের বছরের তুলনায় দ্বিগুণ। একই সময়ে রাশিয়ার কাছ থেকে ৫১০ কোটি ডলার মূল্যের জ্বালানি পণ্য কিনেছে ভারত, যা আগের বছরের তুলনায় পাঁচ গুণের বেশি। ২০২১ সালের মার্চ থেকে মে মাসের তুলনায় চলতি বছরের একই সময়ে এ দুই দেশ থেকে রাশিয়া অতিরিক্ত ১ হাজার ৩০০ কোটি ডলার রাজস্ব পেয়েছে। আমেরিকাসহ বেশ কিছু দেশ মস্কোর ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয়ায় রাশিয়া যে ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে, তা কাটিয়ে উঠতে অতিরিক্ত এ রাজস্ব ভূমিকা রাখছে। আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলোতে বলা হচ্ছে, রাশিয়া থেকে জাহাজে করে আটলান্টিকের বাইরে যে পণ্যগুলো যাচ্ছে, তার প্রধান ক্রেতা ভারত। ইউরোপ এসব পণ্য এখন আর নিতে চায় না। অন্যদিকে, চীনের সঙ্গে রাশিয়ার দীর্ঘদিনের বাণিজ্য ও কৌশলগত সম্পর্ক রয়েছে। মূল্যহ্রাস ও স্থানীয় মুদ্রায় মূল্য পরিশোধের সুযোগ দিয়ে এ দুই দেশের সঙ্গে এ বছর বাণিজ্যপ্রবাহ আরও শক্তিশালী করেছে মস্কো। ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর রাশিয়ার কাছ থেকে ভারতের তেল ও কয়লা আমদানি বেড়েছে। একই সময়ের মধ্যে রাশিয়ার কাছ থেকে তিনটি জাহাজভর্তি তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাসও কিনেছে দিল্লি। আরটি, রয়টার্স।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন