চট্টগ্রাম বন্দরের বর্হিনোঙরে সিঙ্গাপুরের পতাকাবাহী কন্টেইনার জাহাজ এমভি কোটা রঞ্চক থেকে মালয়েশিয়া ভিত্তিক নিরাপত্তা পর্যবেক্ষক সংস্থা ইন্টারন্যাশনাল মেরিটাইম ব্যুরো-আইএমবিএ বরাবরে অভিযোগ করা হয় জাহাজে দস্যুতার ঘটনা ঘটেছে। অথচ গত ২৮ জুনের কথিত ওই ঘটনার বিষয়ে জাহাজটির মাষ্টার বা কোনো নাবিক চট্টগ্রাম বন্দরের পোর্ট কন্ট্রোল বা কোষ্ট গার্ডকে অবহিত করেনি।
আইএমবিএ থেকে কোষ্টগার্ড বরাবরে প্রেরিত ই-মেইল পাওয়ার পর বন্দরের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল এম শাহজাহানের অনুরোধে কোষ্ট গার্ড পূর্ব জোনের একটি চৌকস দল জাহাজটিতে যায়। তারা তদন্ত করে নিশ্চিত হয়, জাহাজে কোন দস্যুতার ঘটনা ঘটেনি। বরং জাহাজের নাবিকদের যোগসাজশে স্থানীয় ভেন্ডরের কাছে জাহাজ থেকে কিছু রশি এবং তেল বিক্রি করা হয়। কোষ্টগার্ড চিরুনি অভিযান পরিচালনা করে বিক্রি করা পণ্যসমূহ উদ্ধার করে জাহাজের নাবিক ও ভেন্ডরদের জিজ্ঞাসাবাদ করে। জিজ্ঞাসাবাদে তারা স্বীকার করেন ডলারের বিনিময়ে জাহাজ থেকে পণ্যসমূহ নামানো হয়। এ অপরাধ গোপন করতে তারা নিজেরাই দস্যুতার মিথ্যা রিপোর্ট করে। এরপর আন্তর্জাতিক জাহাজ ও বন্দর নিরাপত্তা কোড (আইএসপিএস) এর ৯ নং ধারা অনুযায়ী কোষ্টগার্ড, বন্দর কর্তৃপক্ষ ও নৌ বাণিজ্য অধিদফতরের প্রতিনিধির সমন্বয়ে গঠিত একটি টিম জাহাজটি পরিদর্শন করে। তখন জাহাজের মাষ্টার আইএমবিএতে দাখিলকৃত অভিযোগটি ভুল মর্মে স্বীকার করেন এবং তা প্রত্যাহার করে নেন। আর তাতে দস্যুতার অপবাদ থেকে দেশের প্রধান সমুদ্র বন্দর এবং দেশ রক্ষা পায়। উল্লেখ ২০১৯-২০২১ পর্যন্ত চট্টগ্রাম বন্দর সীমায় কোনো চুরি, ডাকাতি, দস্যুতার ঘটনা ঘটেনি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন