আশাশুনি উপজেলার বুধহাটা টু কালিবাড়ী প্রায় ৪ কি.মি. কার্পেটিং সড়ক খানাখন্দে পরিনত হয়েছে। রাস্তাটি দ্রুত মেরামত না হলে যানবাহন চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়বে।
বুধহাটা ইউনিয়নের পাইথালি গ্রাম থেকে শোভনালী ইউনিয়নের কালিবাড়ি বাজার পর্যন্ত ভারি যানবাহনের চাপে সড়কটির বিভিন্ন স্থানে পিচ ও খোয়া উঠে বড়বড় খানাখন্দের সৃষ্টি হয়েছে। সামান্য বৃষ্টিতেই এসব খানাখন্দে পানি জমে সব ধরণের যানবাহন চলাচল বিপজ্জনক হয়ে উঠছে। প্রতিদিনই সড়কটিতে যানবাহন দুর্ঘটনায় গাড়ি বিকল হয়ে পড়ার পাশাপাশি যাত্রীরা শারীরিক ও অর্থনৈতিক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
স্থানীয় ইউপি সদস্য মতিয়ার রহমান জানান, পাইথালী বাজার থেকে কালিবাড়িগামী সড়কের পাইথালী গ্রামের হাফিজুল ইসলাম, নৈকাটি গ্রামের প্রভাষক মোখলেছুর রহমান ময়নার বাড়ির সামনে ও শোভনালী ব্রিজের দক্ষিণ দিকে কালভার্টের পর থেকে সড়কের বিভিন্নস্থানে বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। কয়েকটি ইট ভাটার ইটসহ বিভিন্ন পণ্যবোঝাই ভারি যানবাহন চলাচলের কারণে শুকনো মৌসুমে ধুলোবালি আর বর্ষা মৌসুমে কাদাপানিতে যানবাহনের চাকা আটকে ঘণ্টার পর ঘণ্টা যান চলাচল ব্যাহত হয়ে থাকে।
গত মঙ্গলবার সকালে এ সড়কে একটি ইজিবাইক উল্টে চাম্পাফুল ইউনিয়নের একই পরিবারের ৫ সদস্য আহত হয়েছে। দুর্ঘটনার সময় তাদের কাছে থাকা দুটি দামি স্মার্টফোন সড়কের গর্তের পানিতে পড়ে নষ্ট হয়ে যায়।
পথচারী লিংকন আসলাম জানান, ব্যস্ততম এ সড়কের পিচ খোয়া উঠে বড় গর্তের সৃষ্টি হওয়ায় যাত্রীদের চলাচল ব্যাপক ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে। শোভনালীর কামালকাটি ব্রিজ ভেঙে পড়ায় বা আশাশুনির মরিচ্চাপ ব্রিজে যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকলে এ সড়কটি আরো ব্যস্ততম হয়ে পড়ে। এছাড়া সাতক্ষীরা থেকে কালিগঞ্জগামী বিভিন্ন ভারি যানবাহন শর্টকাট পথ হিসেবে এ সড়কটি বেছে নেয়। ঝুঁকিপূর্ণ এ সড়কে একবার গাড়ির চাকা বসে গেলে ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করা ছাড়া কোন উপায় থাকে না।
আশাশুনি সরকারি কলেজের প্রভাষক শাহাদাৎ হোসেন টিটল জানান, অনতিবিলম্বে সংস্কার করা না হলে বর্ষা মৌসুমে ক্ষতিগ্রস্ত এ সড়কটিতে ছোটবড় কোন যানবাহনই চলাচল করতে পারবে না। সড়কটি দ্রুত মেরামত করে যানবাহন চলাচলের উপযোগী করা প্রয়োজন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন