বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ০৫ বৈশাখ ১৪৩১, ০৮ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

আন্তর্জাতিক সংবাদ

ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে বিস্তৃত বিভেদের দিকে যেতে পারে

জি-২০ বৈঠক

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ৮ জুলাই, ২০২২, ১২:০২ এএম

 

বিশ্বের বৃহত্তম দেশগুলোর পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা এসপ্তাহে ইন্দোনেশিয়াতে অনুষ্ঠিতব্য জি-২০ সম্মেলনে একত্রিত হয়ে ইউক্রেন যুদ্ধ এবং বৈশ্বিক জ¦ালানী ও খাদ্য নিরাপত্তার উপর এর প্রভাব মোকাবেলা করার জন্য পথ খুঁজছেন। তবে, এই আলোচনা ঐক্য আনার পরিবর্তে ইউক্রেন সঙ্ঘাত নিয়ে বিদ্যমান বিভেদকে আরও বাড়িয়ে তুলতে পারে। এই সম্মেলনকে সামনে রেখে মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্ট মঙ্গলবার ঘোষণা করেছে যে, মার্কিন পরাষ্ট্রমন্ত্রী এন্থনি ব্লিঙ্কেন চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই’র সাথে পৃথক বৈঠক করবেন। ঘোষণাটি এমন সময় এসছে যখন, মস্কোর সাথে বেইজিংয়ের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের কারণে ইতিমধ্যেই অত্যন্ত উত্তেজনাপূর্ণ মার্কিন-চীন সম্পর্কের অবনতি হয়েছে।

মার্কিন কর্মকর্তারা বলছেন যে, ওয়াংয়ের পাশাপাশি ব্লিঙ্কেন রাশিয়ার আক্রমণের বিষয়ে পশ্চিমাদের সাথে মত বিভেদ রয়েছে, এমন দেশগুলোর প্রতিনিধিদের সাথে দ্বিপাক্ষিক আলোচনা করবেন। বিশেষ করে ভারত, যা রাশিয়ার কাছ থেকে তেল কেনা বাড়িয়েছে। যদিও যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপ মস্কোর সেই রাজস্ব প্রবাহ বন্ধ করার চেষ্টা করেছে। তবে, মার্কিন সরকার বলেছে যে, রাশিয়ান পররাষ্ট্র মন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভের সাথে ব্লিঙ্কেনের কোনো আনুষ্ঠানিক বৈঠক হবে না। তারা বলেছে যে, যতক্ষণ যুদ্ধ অব্যাহত থাকবে ততক্ষণ মস্কোর সাথে কোনও স্বাভাবিক আলোচনা হতে পারে না।

চীন, ভারত, দক্ষিণ আফ্রিকা এবং ব্রাজিল সহ অন্যান্য অনেক দেশ রাশিয়ার বিরুদ্ধে মার্কিন এবং ইউরোপের পূর্ণ গলার বিরোধিতা প্রস্তাবে স্বাক্ষর করা থেকে বিরত থেকেছে। কেউ কেউ ইউক্রেন যুদ্ধের নিন্দা প্রস্তাবে যোগদানের জন্য পশ্চিমা অনুরোধগুলোকে সরাসরি প্রত্যাখ্যান করেছে, যেটিকে যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্ররা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের শেষের পর থেকে প্রচলিত আন্তর্জাতিক নিয়ম-ভিত্তিক আদেশের বিরুদ্ধে আক্রমণ হিসাবে দেখে। ফলে, ইউক্রেন সঙ্ঘাতে সৃষ্ট খাদ্য ও শক্তির প্রভাবগুলো প্রশমন করার বিষয়ে জি-২০ ঐকমত্য অর্জনে অসম্ভব হয়ে উঠতে পারে, বিশেষ করে চীন এবং রাশিয়ার কারণে।

যুক্তরাষ্ট্র দেখতে চায় যে, জি-২০ প্রধানত মধ্যপ্রাচ্য, আফ্রিকা এবং এশিয়ায় রপ্তানির জন্য প্রায় ২০ মিলিয়ন টন ইউক্রেনীয় শস্য মুক্ত করার জন্য জাতিসংঘ-সমর্থিত উদ্যোগের পিছনে তার ওজন কতুটুকু। অর্থনীতি ও বানিজ্য বিষয়ক মার্কিন সহকারী সেক্রেটারি অফ স্টেট রামিন তোলুই বলেন, ‘আমরা চাই যে জি-২০ রাশিয়াকে দায়ী করুক এবং এই উদ্যোগকে সমর্থন করার জন্য জোর দিক।’ জি-২০ এর আয়োজক ইন্দোনেশিয়া সহ বিভিন্ন দেশ কৃষ্ণ সাগরে তার অবরোধ শিথিল করার জন্য রাশিয়ার প্রতি চাপ দিচ্ছে যাতে বিশ্ব বাজারে শস্য প্রবেশ করতে পারে। তবে তারা মস্কো বেইজিংয়ে এবং তার মিত্রদের বিরোধিতা করার বিষয়েও সতর্ক।

এবং এই বিভেদটি নভেম্বরের অনুষ্ঠিতব্য জি-২০ শীর্ষ সম্মেলনে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন অংশগ্রহণ করবেন কিনা, সে সম্পর্কে প্রশ্নের আগে একটি সম্ভাব্য বিতর্কিত প্রস্তুতিমূলক বৈঠকের মঞ্চ তৈরি করেছে। যদিও যুক্তরাষ্ট্র স্পষ্ট করেছে যে, এটি পুতিনের উপস্থিতি উচিত বলে বিশ্বাস করে না, তবে রাশিয়ান নেতা অংশগ্রহণ করলে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমার জেলেনস্কিকেও আমন্ত্রণ জানাতে ইন্দোনেশিয়ার প্রতি আহ্বান জানিয়েছে। সূত্র : এপি।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন