সাধ্যমত বন্যার্তদের খোঁজ খবর ও সহায়তা অব্যাহত রাখার আহবান জানিয়েছেন জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের নেতৃবৃন্দ। কুশিয়ারা নদীর তীরবর্তী হওয়ায় স্থানীয় পানিবন্দী মানুষেরা এখনো অবর্ণনীয় দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন। তারা বলেন বিপদে মানুষের পাশে দাঁড়ানো ইসলাম ধর্মের একটি বড় সৌন্দর্য ও আমল। এই সৌন্দর্য যত বেশি প্রদর্শিত হবে তত বেশি মানুষ ইসলামের দিকে ঝুঁকবে। ঈদের আগে আপাততঃ জমিয়তের ত্রাণ কার্যক্রম সমাপ্তকালে নেতৃবৃন্দ এসব কথা বলেন। জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এতথ্য জানানো হয়েছে। গত ৫ জুলাই থেকে হবিগঞ্জ, মৌলভীবাজার ও সিলেটের বন্যাদুর্গত এলাকায় ব্যাপক ত্রাণ কার্যক্রম চালিয়েছে জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় ত্রাণ কমিটি। হবিগঞ্জের বানিয়াচং ও আজমিরীগঞ্জে দুই শতাধিক পরিবারকে নগদ অর্থ সহায়তা দেয়া হয়েছে। মৌলভীবাজার জেলার কুলাড়ার ভূকশিমইল,জুড়ি ও বড়লেখায় ট্রাকে করে তিন শতাধিক পরিবারের মাঝে খাদ্যদ্রব্য বিতরণ করা হয়েছে। সর্বশেষ গতকাল সিলেটের গোলাপগঞ্জ, ফেন্সুগঞ্জ,দক্ষিণ সুরমা,বালাগঞ্জ,উসমানীনগর ও বিশ্বনাথ উপজেলার ১২টি স্পটে ছয় শতাধিক বন্যার্ত পরিবারকে খাদ্যসামগ্রী ও ঈদউপহার বিতরণ করা হয়। গতকাল রাত ১০টায় ঈদের আগে আপাততঃ ত্রাণ কার্যক্রমের সমাপ্তি ঘোষণা করে জমিয়ত মহাসচিব ও ত্রাণ কমিটির সদস্যসচিব মাওলানা মঞ্জুরুল ইসলাম আফেন্দী দলের সভাপতি আল্লামা শায়খ যিয়া উদ্দীন। ত্রাণ বিতরণকালে কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি মাওলানা আব্দুর রব ইউসুফী, সহ-সভাপতি ও ঢাকা মহানগর জমিয়তের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাওলানা আব্দুল কুদ্দুস কাসেমী, প্রচার সম্পদাক মাওলানা জয়নুল আবেদীন ও অফিস সম্পাদক মাওলানা আব্দুল গাফফার ছয়ঘরী উপস্থিত ছিলেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন