চট্টগ্রাম-লোহাগাড়া হাইওয়ে দিন দিন বেড়ে চলছে শিশুদের হাতে অটো চালিত রিকশা। যার ফলে প্রতিনিয়ত যানজটের সৃষ্টি হয় এবং দুর্ঘটনা নিত্যনৈমিত্তিক ব্যাপার হয়ে দাড়িয়েছে। সাধারণ মানুষ রাস্তা পারাপার হতে এসব অটো চালিত রিকশার সাথে কোন না কোনভাবে আঘাতপ্রাপ্ত হয়, মোটরসাইকেলের সাথে ধাক্কা লাগে। কারণ এসব অটোরিকশা যেভাবে দ্রুতগতিতে চলে সে অনুযায়ী ব্রেক কন্টোল নেই। মহাসড়কে অটোরিকশা চালক শিশু থেকে বয়স্করা পর্যন্ত ট্রাফিক আইন বিষয়ে তাদের কোন ধারনা নেই, যার ফলে ডানে-বামে যেখানে সেখানে মোড় ঘুরতে আগে থেকে কোন সিগনাল লাইট ব্যবহার করে না। শুধু ডানে বামে হাত লম্বা করে দেখিয়ে গাড়ি ঘুরিয়ে দেয়, এতে তারা কোন সমস্যা মনে করে না। এর ফলে হাইওয়ে বড় বড় দ্রুতগামী যান হঠাৎ ব্রেক কন্ট্রোল করতে পারে না, এতে দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে প্রতিনিয়ত।
এসব শিশু ড্রাইভারের সাথে আলাপ করে জানা যায়, এদের কারো মা নাই, কারো বাবা নাই, কারো মা-বাবা দু’জনেই নাই, কারো মা অথবা বাবা দ্বিতীয় বিয়ে করে চলে যায়, প্রথম স্ত্রীদের ছেলে মেয়ের খোঁজ খবর রাখে না, তাই বাধ্য হয়ে পেটের তাড়নায় ঝুঁকি নিয়ে মহাসড়কে অটোরিকশা চালায়। অন্য কোন কাজ করার বিষয়ে তারা বলেন, আমরা ছোট, অন্য কোন কাজ করলে আমাদের দৈনিক ১৫০-২০০ টাকা দেন। এ দিয়ে মা আর ছোট ভাইবোনকে চালাতে পারিনা। অটোরিকশা চালালে মালিকের জমা দিয়ে দৈনিক ৪০০-৫০০ টাকা পাই, এতে আমাদের কোন রকম চলে। হাইওয়ে অটোরিকশা চালালে পুলিশ কোন বাধা দেয় কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে লোহাগড়ার শিশু চালক আবদুর রহিম বলেন, বড় বড় নেতা, এমপি, মন্ত্রিরা যাতায়াতকালে পুলিশ আমাদের তাড়া করে। আবার মাঝে মধ্যে ধরে মামলা দিয়ে দেয়। পুলিশকে মাসিক কোন টাকা দিতে হয় কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে শিশু চালক আবদুল হালিম বলে এটা মালিক জানে, আমি জানিনা।
এ ব্যপারে লোহাগাড়া টিআই আজম মাহমুদকে হাইওয়ে অটোরিকশা চলার অনুমতি আছে কিনা জানতে চাইলে দৈনিক ইনকিলাব প্রতিনিধিকে জানান কোন অনুমতি নাই কোন ব্যবস্থাও নাই। অটোরিকশা থেকে কোন টাকা নেন কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে বলেন, দুঃখিত ভাই রিকশাওয়ালা থেকে টাকা নিবো এমন কাঙাল হই নাই, মামলা দিয়ে জরিমানা করি, এ টাকা ষোলশহর ২নং গেট ট্রাফিক অফিসে দিয়ে আসতে হয়। এমন অটোরিকশার সংখ্যা কত হবে জানতে চাইলে বলেন, পুরো লোহাগাড়ায় ৪-৫ হাজার হবে।
এ প্রসঙ্গে হাইওয়ে থানার ওসি মাকসুদ আহমদ বলেন, হাইওয়ে অটোরিকশা চলার কোন অনুমতি নেই, আশপাশে ভেতর রোড থেকে হঠাৎ হাইওয়ে ওঠে যায়। আমরা প্রতিদিন ধরে ধরে মামলা দিচ্ছি, আমাদের মামলা দেয়া অব্যহত থাকবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন