পেটের চোটের কারণে উইম্বলডনের সেমি ফাইনালের আগে সরে দাড়াতে বাধ্য হলেন স্প্যানিশ কিংবদন্তি রাফায়েল নাদাল। কোয়ার্টার ফাইনালে টেলর ফ্রিটজের সাথে ম্যাচ চলাকালীনই এই যন্ত্রনায় কাবু হয়েছিলেন বারবার। খেলার মাঝেই নিতে হয়েছিল মেডিক্যাল ব্রেক। তারপরও দাঁতে দাঁত চেপে সেই ম্যাচে জয় তুলে নিয়েছিলেন। আশা বাঁচিয়ে রেখেছিলেন ক্যালেন্ডার গ্র্যান্ড স্ল্যামের। তবে ম্যাচ শেষে জানিয়েছিলেন আরো একদিন অপেক্ষা করে সেমিতে খেলার সিদ্ধান্ত জানাবেন। গত বৃহস্পতিবার ৩৬ বছর বয়সী এই তারকা অনুশীলনে নামলে ব্যাথা অনুভব করেন এবং দুঃখী হৃদয়ে উইম্বলডন থেকে সরে দাড়ানোর সিদ্ধান্ত জানান। রেকর্ড ২২ গ্র্যান্ড স্ল্যামের মালিক সংবাদ সম্মেলনে জানান, ‘পেটের পেশির যন্ত্রনার কারণে আমি টুর্নামেন্ট থেকে সরে দারানোর সিধান্ত নিয়েছি। এই অবস্থায় আমি টানা দুই ম্যাচ জয়ের কথা ভাবতে পারছি না। শিরোপার চেয়ে নিজের স্বাচ্ছন্দ্যটাই বেশি জরুরী। আপনারা সবাই জানেন আমি কতখানি চেষ্টা চালিয়ে গিয়েছিলাম। তবে দুই-তিন মাস খেলার বাহিরে থাকার ঝুঁকি নিতে চাচ্ছি না। আমার মন খুবই খারাপদ। রাফা কি জানেন যে তার জন্য গোটা টেনিস বিশ্বেরই মন খারাপ? এই স্পেনিশ না খেলায় ওয়াকওভার পেয়ে ফাইনালে চলে গেলেন অস্ট্রেলিয়ার নিক কিরিয়স।
রাফা যেহেতু নিজেকে সরিয়ে নিয়েছে, তাই আলোচনাতে এখন নোভাক জোকোভিচ। ঘাসের কোর্টে শেষ চারের যুদ্ধে তার প্রতিপক্ষ ঘরের ছেলে ক্যামেরুন নুরি। গত বছরে দু’জনের শেষ মুখোমুখি লড়াইয়ে সরাসরি সেটে ম্যাচ জিতেছিলেন সার্বিয়ান তারকা। তবে এই ম্যাচের আগে খুব জোর দিয়ে বলতে পারছেন না যে তিনিই জিতবেন। কারণ অ্যান্ডি মারের পরে আবারও আরেকজন বৃটিশ উইম্বলডনের সেমিতে। তাই শতবর্ষী সেন্টার কোর্টের সকল সমর্থনই যে নুরিই পাচ্ছেন সেটা জোকার জানেন।
নারী এককে উইম্বলডনের এবারের আসরে দেখা মিলবে নতুন চ্যাম্পিয়নের। আজ (শনিবার) শিরোপা ছোঁয়ার লড়াইয়ে আরবকন্যা ওনস জাবিরের মুখোমুখি হচ্ছে এলেনা র্যাবাকিনা। ২০১৯ সালের উইম্বলডন চ্যাম্পিয়ন সিমোনা হালেপকে সরাসরি ৬-৩, ৬-৩ সেটে হারিয়ে প্রথমবারের মতন উঠে এসেছেন কোন গ্র্যান্ড স্ল্যামের ফাইনালে। কিন্তু মাঠের টেনিস বাদ দিয়ে সাংবাদিকরা তাকে অতিষ্ট করে ছাড়ছে রাশিয়ার সাথে তার নাড়ির টানের খোঁজে। মস্কোতে জন্ম ও বেড়ে ওঠা এই ২৩ বছর বয়সী টেনিস তারকা ২০১৮ সালে ক্যারিয়ার ভিন্ন ভাবে সাজানোর জন্য কাজাকিস্তানের নাগরিকত্ব গ্রহণ করেন। কিন্তু ইউক্রেনের প্রতি সংহতি প্রকাশ করতে উইম্বলডন এবারের আসরে রাশিয়া ও বেলারুশের প্লেয়ারদের ব্যান করে। র্যাবাকিনার জন্মস্থানের ব্যাপারে প্রশ্ন উঠলে তিনি গণমাধ্যমকে জানান, ‘আমি দীর্ঘদিন ধরে কাজাখস্তানের হয়ে খেলছি। আমি সত্যিই গর্বিত কাজখস্তানের প্রতিনিধিত্ব করে। তারা আমার উপর বিশ্বাস রেখেছিল। কাজাখ প্লেয়ার হিসেবে আমার যাত্রাতো দীর্ঘদিনের। অলেম্পিক ও ফেড কাপে আমি তাদের প্রতিনিধি ছিলাম।’ কিন্তু নাগরিকত্ব বদলের পরও তিনি স্থায়ীভাবে রাশিয়াতেই থাকেন এবং অনুশীলন করেন কিনা জানতে চাইলে ২৩ বছর বয়সী এই প্লেয়ার খুবই চাতুরতার সঙ্গে এই প্রশ্নের উত্তর দেন। তিনি বলেন, ‘আমার মনে হয় আমি টুর্নামেন্টের উপর নির্ভর করে ভ্রমণ করতে থাকি। আমি আসরগুলোর মাঝে স্লােভাকিয়ায় অনুশীলন করি। মাঝে একবার দুবাইয়েও ক্যাম্প করেছিলাম। সুতরাং আমি কোথাও স্থায়ী ভাবে বসবাস করি না।’ ২৩তম বাছাই র্যাবাকিনা কাজাখস্তানের ইতিহাসের প্রথম প্লেয়ার যে কোন গ্র্যান্ড সø্যামের ফাইনালে খেলছেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন