শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫ হিজরী

খেলাধুলা

পারলো না হ্যান্ডবলের মেয়েরা

প্রকাশের সময় : ১৬ ফেব্রুয়ারি, ২০১৬, ১২:০০ এএম

জাহেদ খোকন, গৌহাটি, ভারত থেকে : গৌহাটি-শিলং সাউথ এশিয়ান (এসএ) গেমসে স্বর্ণপদক জিততে পারলো না বাংলাদেশ মহিলা হ্যান্ডবল দল। আশা জাগিয়েও তারা রূপা নিয়েই সন্তুষ্ট থেকেছে। গতকাল গৌহাটির এলএনআইপিই ইনডোর স্টেডিয়ামে ভারত ৪৫-২৫ গোলে বাংলাদেশকে হারিয়ে স্বর্ণ জিতে নেয়। প্রথমার্ধে বিজয়ীরা ২৪-১৩ গোলে এগিয়ে ছিলো। ফাইনালে লাল-সবুজদের নিয়মিত গোলরক্ষক শিলা রায় খেলেছেন। গত শুক্রবার তার মা মারা গেলে তিনি দেশে ফিরে গিয়েছিলেন। কিন্তু যখন শুনলেন দল ফাইনালে উঠেছে, তখন আর থাকতে পারলেন না। মা হারানোর কষ্ট এক নিমিশে ভুলে গেলেন দেশের সাফল্যের কথা চিন্তা করে। গতকাল সকাল সাড়ে ৭টার বিমানে চড়ে দুপুর ১২টায় গৌহাটি এসে পৌঁছান শিলা। যদিও সকাল ১১টায় তার পৌঁছার কথা ছিলো। কিন্তু জেড এয়ারলাইন্সের বিমানটি নির্দিষ্ট সময়ের একঘন্টা পর ছাড়ায় এই বিলম্ব হয়। দল ফাইনালে হেরে গেলেও ম্যাচে খেলতে পেরে খুশী শিলা। তাই তো ম্যাচ শেষে এভাবেই নিজ অনুভুতি জানান তিনি, ‘বাংলাদেশের খেলা। ফাইনালে উঠেছে আমার দেশ। আমি তাই নিজ থেকেই চলে এসেছি। বাড়িতে বসে থাকতে পারিনি।’ লাল-সবুজ হ্যান্ডবলের গোলবারের অতন্দ্রপ্রহরী শিলা বলেন, ‘দেশের হয়ে খেলতে পারছি এজন্য ভালো লাগছে। আজ (কাল) খেলার সময় আমার মায়ের কথা বেশি মনে পড়ছিল। কারণ খেলার সময় আমি সব সময় মায়ের কাছ থেকে আশীর্বাদ নিতাম। মাকে বলতাম মা আমি খেলতে যাচ্ছি তুমি আশীর্বাদ করো। মা সব সময় বলতো মা হয়ে তোমাকে আশীর্বাদ করছি। তুমি জিতবে। কিন্তু আজ আমি মায়ের আশীর্বাদ আনতে পারিনি (কান্না), ‘মা যদি না হতো তাহলে বলা যেত না। কিন্তু মা হওয়াতে এটা আসলে অনেক কষ্টের। আমি সব সময় মাকে মিস করি। আজকে আমাদের পুজা। পুজাতেও থাকতে পারিনি। আমার মা সব সময় বলতেন শিলা পুজাতে আয়। আমি পুজাতে গিয়েছি। কিন্তু আজ আমার সঙ্গে কথা বলেনি। হয়তো বা মা আমার সঙ্গে রাগ করে চলে গেছে।’ গত ১২ ফেব্রæয়ারি শিলার মা মারা গেলে পরের দিন দেশে ফিরে যান তিনি। কিন্তু রোববার যখন বাংলাদেশের মেয়েরা এসএ গেমস হ্যান্ডবলের ফাইনালে জায়গা পায় তখনই শিলা সিদ্ধান্ত নেন গৌহাটি আসার।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন