শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

টোল প্লাজার যানজটে ভুগছেন দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ঢাকায় ফেরা মানুষ

অনলাইন ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১২ জুলাই, ২০২২, ২:২৫ পিএম

ঈদের ছুটি শেষে সোমবার থেকেই বেশিরভাগ মানুষ ঢাকায় ফিরতে শুরু করেছেন। কেউ দিনে দিনে এসেছেন। কারো আবার ঢাকায় ফিরতে রাত হয়েছে। ঈদ শেষে ঢাকায় ফেরা লোকজনকে গ্রামে যাওয়ার সময়ের মতো পদ্মা সেতু, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এক্সপ্রেসওয়েতে যানজটে নাকাল হতে হয়েছে।

বিশেষ করে এক্সপ্রেসওয়ের টোল আদায়ের পয়েন্টে ঘণ্টার পর ঘণ্টা কেটে গেছে দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলের ঢাকায় ফেরা মানুষের। সোমবার রাতে দুর্ভোগ বেশি হলেও মঙ্গলবার কিছুটা স্বস্তিতে ফেরা গেছে বলে জানা গেছে।

অনেকে ক্ষোভ প্রকাশ করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছবিসহ কষ্টের কথা লিখেছেন। কেউ আবার এজন্য পদ্মা সেতু দেখতে উৎসুক মানুষের উপস্থিতিকে দায়ী করছেন।

জানা গেছে, গতকাল সোমবার থেকে ফিরতি পথের গাড়ির চাপ বাড়ার কারণে লম্বা লাইন হয়ে যায় সড়কে। দুর্ভোগে পড়া যাত্রীরা বলছেন, কোথাও কোথাও যানজট ৪-৫ কিলোমিটারও ছাড়িয়ে গেছে।

বেসরকারি ব্যাংক কর্মকর্তা আসাদুল্লাহিল গালিব ফেসবুকে গুগল ম্যাপে দেখানো যানজটের ছবি পোস্ট করে লিখেছেন, উৎসুক দর্শনার্থী না কমলে পদ্মাসেতু দিয়ে চলাচলকারী যাত্রীদের দুর্ভোগের অন্ত নেই। টোলেই কেটে গেলো পুরো এক ঘণ্টারও বেশি। হায়রে।

সোমবার মধ্যরাতের দিকে ফেরার পথের দুর্ভোগের কথা জানিয়ে ঢাকা মেইলকে তিনি বলেন, পদ্মাসেতুর টোলে ১ ঘণ্টা লেগেছে। পোস্তগোলার বুড়িগঙ্গার সেতুতে উঠতে লেগেছে ২৫ মিনিট। পরে সায়দাবাদের ফ্লাইওভারের টোলে ৩০ মিনিট। এবারের যাত্রায় পদ্মাসেতু মাটি।

শুধু ফেরার পথেই নয় সোমবার থেকে মাঝেমধ্যেই ঢাকা থেকে পদ্মা সেতুতে ওঠার সময়ও যানজটে পড়েছেন অনেকে।

ফাহাদ ভুঁইয়া নামের আরেকজন জানিয়েছেন সোমবার রাতে তার এক স্বজন ঢাকায় ফেরার পথে লম্বা সময় যানজটে আটকে ছিলেন।

তবে মঙ্গলবার এই সড়কে যানবাহনের কিছুটা চাপ কম বলে জানা গেছে। যদিও পদ্মা সেতু পার হয়ে দক্ষিণাঞ্চলের দিকে যাওয়ার মানুষের চাপ তুলনামূলক বেশি আছে। কারণ এখনো কিছু মানুষ ঢাকা ছাড়ছেন। যাদের বেশিরভাগ নিম্নআয়ের মানুষ। কেউ আবার পদ্মা সেতু ঘুরে দেখতেও যাচ্ছেন।

এই পথে ঢাকায় ফেরা যাত্রীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সড়কে তারা বাসের চেয়ে ব্যক্তিগত গাড়ি বেশি দেখেছেন। ছয় লেনের সেতুর টোল প্লাজার দুটিতে বাস আর বাকি চারটিতে ব্যক্তিগত গাড়ি দেখা দেখা গেছে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন