শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

সাংবাদিক তুলির ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১৪ জুলাই, ২০২২, ১২:০১ এএম

অনলাইন নিউজ পোর্টাল বাংলা ট্রিবিউনের সাবেক সাংবাদিক সোহানা তুলির (৩৮) ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। রাজধানীর রায়েরবাজারে ভাড়া বাসা থেকে বুধবার লাশ উদ্ধার করা হয়। তবে পুলিশ কর্মকর্তারা বলছেন, এটি আত্মহত্যা হতে পারে। তবে তদন্তের আগে বিস্তারিত কিছুই বলা যাচ্ছে না। তুলির বাড়ি যশোর সদরের বটতলা এলাকায়। তিনি রায়েরবাজারের শেরেবাংলানগর রোডের বাসায় ২০১৮ সাল থেকে ভাড়ায় থাকতেন।
হাজারীবাগ থানার ওসি মোক্তারুজ্জামান বলেন, ঘটনাস্থল রায়ের বাজারের শেরেবাংলা নগর রোডের ২৯৯/৫ বাসার দ্বিতীয় তলা। সিআইডির ক্রাইম সিন ইউনিট আলামত জব্দ করেছে।
পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, সোহানা তুলি সাংবাদিকতা ছেড়ে মনোহর নামে একটি অনলাইন শপ খুলে সেখানে মসলা জাতীয় পণ্য বিক্রি করতেন। এই ব্যবসা নিয়ে কোনো ঘটনাও ঘটে থাকতে পারে বলে পরিবারের ধারণা।
পুলিশের একজন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে ইনকিলাবকে বলেন, সোহানা তুলির লাশ দেখে মনে হচ্ছে এটি আত্মহত্যা হতে পারে না। হয়ত কেউ তাকে হত্যা করে লাশ ঝুলিয়ে রাখতে পারেন। কারণ তুলির লাশ হাঁটুগেড়ে ঝুলে ছিল। তবে লাশের পাশে একটি টুলও পাওয়া যায়।
তুলির ছোটভাই মোহাইমিনুল ইসলাম বলেন, গত মঙ্গলবার যশোর থেকে ঢাকায় এসে আমি এক বন্ধুর বাসায় উঠি। দুপুরে আপুর সঙ্গে কথা হয়েছিল। এরপর আর কথা হয়নি। বুধবার সকালে ঘুম থেকে উঠে আমি খিলক্ষেত গিয়েছিলাম। খিলক্ষেতে থাকা অবস্থায় আব্বু ফোন করে আমাকে ঘটনাটি জানান। এরপর আপুর বাসায় চলে আসি।
তিনি আরো বলেন, নন্দিতা নামে তুলির এক বান্ধবী বাসায় এসে নক করে তুলির সাড়া পাচ্ছিল না। বিষয়টি নিয়ে সন্দেহ হলে পরে কেয়ারটেকারসহ আশেপাশের বাসিন্দারা এসে দেখেন নিজ কক্ষের ভেতর তুলি ঝুলে আছেন। এরপর হাজারীবাগ থানা পুলিশকে ফোন করে বিষয়টি জানানো হয়। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের প্রাক্তন শিক্ষার্থী সোহানা তুলি। পড়াশোনা শেষে করে সাংবাদিকতা শুরু করেন তিনি।
সর্বশেষ গত মঙ্গলবার দুপুরে সোহানার সঙ্গে কথা হয়েছিল জানিয়ে তার বন্ধু রোকসানা মিলি বলেন, স্বাভাবিকভাবেই তার সঙ্গে কথা হয়েছিল। অস্বাভাবিক কিছু মনে হয়নি। পরে আর তার সঙ্গে কথা হয়নি। অন্য এক বন্ধু গত রাত থেকে সোহানার সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করছিলেন। যোগাযোগ করতে না পেরে বেলা আড়াইটার দিকে ওই বন্ধু বাসায় এসে দেখেন, ভেতর থেকে দরজা বন্ধ। পরে দরজা ভেঙে দেখা যায়, সোহানা পারভীন বৈদ্যুতিক পাখার সঙ্গে ঝুলে আছেন।

 

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন