বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

অভ্যন্তরীণ

সৈয়দপুরে ১৬ প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক নেই

সৈয়দপুর (নীলফামারী) উপজেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ১৭ জুলাই, ২০২২, ১২:০০ এএম

প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষক শূন্য পদ নিয়েই চলছে নীলফামারীর সৈয়দপুর উপজেলায় প্রাথমিক শিক্ষা কার্যক্রম। উপজেলার ১৬টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দীর্ঘদিন ধরে প্রধান শিক্ষকের পদটি শূন্য রয়েছে। দীর্ঘদিন প্রধান শিক্ষক শূন্যতায় ওইসব বিদ্যালয়গুলো অনেকটাই অভিভাবকশূন্য হয়ে পড়েছে। প্রধান শিক্ষক না থাকায় সহকারী শিক্ষকরাই এ পদের কার্যক্রম পরিচালনা করছে। এতে করে পাঠদান ও দাপ্তরিক কাজ অনেকটা ব্যাহত হচ্ছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, সৈয়দপুর উপজেলায় একটি কল্যাণ ট্রাস্ট কর্তৃক পরিচালিতসহ মোট ৭৯টি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। এসব বিদ্যালয়ে মোট ২৩টি পদ শূন্য রয়েছে যার মধ্যে প্রধান শিক্ষক ১৬ জন ও সহকারী শিক্ষক ৭ জন। ফলে দীর্ঘদিন ধরে ভারপ্রাপ্তদের দিয়েই চালানো হচ্ছে এসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। এতে প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে মানসম্মত শিক্ষা কার্যক্রম বিঘ্নিত হচ্ছে।
এ বিষয়ে উত্তরা আবাসন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক হামিম আরশাদ জানান, বিদ্যালয়টিতে মোট শিক্ষার্থী সংখ্যা ২৬৬ জন। আর ৫ জন শিক্ষকের পরিবর্তে কর্মরত রয়েছেন ৩ জন। এর মধ্যে একজন রয়েছেন পিটিআই ট্রেনিংয়ে। ফলে ২ জন শিক্ষক দিয়ে পাঠদান চরমভাবে ব্যাহত হচ্ছে।
ওই বিদ্যালয়ের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক শিক্ষার্থী জানান, শিক্ষক স্বল্পতার কারণে স্কুলের দপ্তরি দিয়েও ক্লাস নেয়া হয়।
শিশুমঙ্গল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক জাহানারা বেগম বলেন, বিগত তিন বছর ধরে বিদ্যালয়টিতে প্রধান শিক্ষকের পদ শূন্য রয়েছে। আগের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক গত বছর অবসরে যান। বর্তমানে আমি ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পালন করছি। বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীর সংখ্যা মোট ১৮০ জন। প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষক মিলে ৫টি পদ থাকলেও মাত্র তিনজন শিক্ষক দিয়ে চলছে পাঠদান। এতে করে পাঠদান ও দাপ্তরিক কাজ ব্যাহত হচ্ছে। একই অবস্থা প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষক পদে শূন্য থাকা বিদ্যালয়গুলোরও।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সৈয়দপুর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা শাহজাহান মণ্ডল বলেন, আমরা বিষয়টি সম্পর্কে অবগত আছি এবং বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবগত করেছি। আশা করা হচ্ছে খুব শিগগিরই শিক্ষক সংকটের বিষয়টি সমাধান হয়ে যাবে। তাছাড়া গত দুই বছর ধরে বদলি কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। এরপরও প্রধান শিক্ষক এবং সহকারী শিক্ষকের শূন্যপদের বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। তবে চলতি বছর থেকেই অনলাইনে বদলি কার্যক্রম শুরু হচ্ছে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন