শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

মহানগর

সকাল-সন্ধ্যা মশক নিধন কার্যক্রম তদারকি করা হবে : তাপস

অনলাইন ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১৭ জুলাই, ২০২২, ৩:২০ পিএম

নিয়ন্ত্রণ কক্ষের মাধ্যমে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এলাকায় ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে পরিচালিত কার্যক্রম সকাল-সন্ধ্যা তদারকি করা হবে বলে জানিয়েছেন মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস। রোববার (১৭ জুলাই) নিয়ন্ত্রণ কক্ষের কার্যক্রম উদ্বোধন শেষে এ কথা জানান তিনি।

এ সময় মেয়র ব্যারিস্টার শেখ তাপস স্বাস্থ্য অধিদপ্তর কর্তৃক সরবরাহকৃত ডেঙ্গু রোগীর তালিকা অনুযায়ী সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের কাউন্সিলর, আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের এডিস মশার প্রজনন স্থল ধ্বংস এবং ডেঙ্গু রোগীর বাড়ির ছাদ হতে আঙিনা ও তৎসংলগ্ন এলাকায় বিশেষভাবে লার্ভিসাইডিং ও অ্যাডাল্টিসাইডিং কার্যক্রম পরিচালনার নির্দেশ দেন এবং নিয়ন্ত্রণ কক্ষ থেকে সংযুক্ত হয়ে সরাসরি ফেসবুক লাইভে নির্দেশিত কার্যক্রম মনিটরিং করেন।

ব্যারিস্টার শেখ তাপস বলেন, ডেঙ্গু রোগ ও এডিস মশার বিস্তার প্রতিরোধ করার জন্য আজ থেকে আমরা কেন্দ্রীয় নিয়ন্ত্রণ কক্ষ চালু করলাম এবং এই নিয়ন্ত্রণ কক্ষের মাধ্যমে সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত আমাদের মশক নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রম আমরা সরাসরি তদারকি করব।

প্রত্যেকটি ওয়ার্ডে কাউন্সিলর ও আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তাদের নেতৃত্বে মশক সুপারভাইজার ও মশক কর্মীরা নিয়োজিত আছেন উল্লেখ করে মেয়র বলেন, প্রত্যেকটি রোগীর ঠিকানা চিহ্নিত করে সেই বাসাবাড়ি এবং স্থাপনার উপর থেকে নিচ পর্যন্ত কোথাও যদি পানির উৎস, এডিস মশার উৎস থাকে সেটা নির্মূল করা হবে। সেই এলাকা সকালবেলা লার্ভিসাইডিং করা এবং বিকেল আবার সেই এলাকাটা যথাযথভাবে ফগিং (এডাল্টিসাইডিং) করে আমরা সম্পূর্ণভাবে মশক বিস্তার নির্মূল এবং নিয়ন্ত্রণ করার কার্যক্রম নিয়েছি।

আগামী দুই মাস এই কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে জানিয়ে শেখ তাপস আরও বলেন, আমরা আশাবাদী যে, তাতে ডেঙ্গু প্রতিরোধ এবং এডিস মশার বিস্তার নিয়ন্ত্রণে রাখতে সক্ষম হব। আমাদের সকল কাউন্সিলর এরই মাঝে কাজে নেমে গেছে। সকাল থেকেই আমরা কার্যক্রম শুরু করেছি। আজ আমরা ১৩টি ঠিকানায় বিভিন্ন ওয়ার্ডে ১৩ জন রোগীকে শনাক্ত করতে পেরেছি। এছাড়াও আমাদের নিয়মিত কার্যক্রম সেটাও আমরা নিয়ন্ত্রণ কক্ষ থেকেই সরাসরি তদারকি করব।

এ সময় অন্যান্যের মধ্যে করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ফরিদ আহম্মদ, সচিব আকরামুজ্জামান, প্রধান প্রকৌশলী সালেহ আহম্মেদ, ভারপ্রাপ্ত প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. ফজলে শামসুল কবির, প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা রাসেল সাবরিন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন