ক্রিয়েটিভিটির পরিবর্তে টিকটক পরিণত হয়েছে সামাজিক ব্যাধিতে। সম্প্রতি কয়েকটি টিকটক দুর্ঘটনা এরই সংকেত দিচ্ছে। নোয়াখালী চাটখিলে টিকটকের মতো ফাঁসির অভিনয় করতে গিয়ে সানজিদা আক্তার (১১) নামে এক স্কুল ছাত্রীর মৃত্যু হয়েছে। আবার কুমিল্লা লাকসাম-চাঁদপুর রেলপথে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হতে টিকটকের নাচের অভিনয় করতে গিয়ে চলন্ত ট্রেনের ছাদ থেকে পা পিছলে পড়ে ছয় টুকরো হয়েছে মেহেদী হাসান (১৫) নামে এক কিশোর। এছাড়াও রাস্তায় বাইক চালানোর সময় টিকটক ভিডিও ধারণ করতে গিয়ে অসংখ্য দুর্ঘটনার চিত্র দেখা গেছে। টিকটক বানাতে গিয়ে পানিতে ঝাঁপ দিয়ে মারা গেছে মোহাম্মদ মুস্তাকিম নামের এক যুবক। বিভিন্ন সময়ে প্রাইভেট কারে টিকটক করার সময় দুর্ঘটনা, লিফটে টিকটক করার সময় মায়ের কোল থেকে পড়ে শিশুর মৃত্যু, চলন্ত ট্রেনের সামনে টিকটক করার সময় দুর্ঘটনা, উঁচু টাওয়ার থেকে পড়ে টিকটকারের মৃত্যু, চলন্ত ইঞ্জিন ট্রাকটারের উপর উঠার টিকটক বানাতে গিয়ে মৃত্যু, এমন অসংখ্য দুর্ঘটনা ঘটতে দেখা গিয়েছে। বর্তমান প্রজন্মের শিশুরা টিকটকের অনুসরণ করতে গিয়ে টিকটক প্রতিবন্ধীতে পরিণত হচ্ছে। টিকটকের মাধ্যমে অশ্লীলতার চর্চা বেড়ে গেছে। শিশু, কিশোর, যুবক, বৃদ্ধ সব বয়সে দেখা দিয়েছে সামাজিক অবক্ষয়ও। তাই টিকটক নামক সামাজিক ব্যাধি ও দুর্ঘটনা রোধে এখনই সরকারের পক্ষ থেকে কঠোর নীতিমালা প্রণয়ন করে এসব বন্ধ করা প্রয়োজন।
আফিয়া সুলতানা একা
শিক্ষার্থী, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন