শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

অভ্যন্তরীণ

ক্ষতি পুষিয়ে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা

কুড়িগ্রামে বন্যায় ৮ হাজার ২৭ হেক্টর জমির ফসল নষ্ট

শফিকুল ইসলাম বেবু, কুড়িগ্রাম থেকে | প্রকাশের সময় : ২০ জুলাই, ২০২২, ১২:০২ এএম

কুড়িগ্রামে সাম্প্রতিক বন্যায় কৃষি বিভাগের ৮ হাজার ২৭ হেক্টর জমির ফসল হানি হয়েছে। এতে ক্ষতির পরিমাণ দাঁড়িয়ে প্রায় ১২৭ কোটি ৫৪ লাখ টাকা। এ ক্ষতি পুষিয়ে নিতে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় জেলায় ৭ হাজার কৃষককে আমন বীজতলা ও সার প্রণোদনা দিয়েছে। এদিকে বন্যার ক্ষতি পুষিয়ে নিতে কৃষকরা নতুন করে ঘুরে দাঁড়ানোর স্বপ্ন দেখছেন। অনেক স্থানে কৃষকরা রোপা আমন ধান লাগানোয় ব্যস্ত সময় পাড় করতে দেখা গেছে।
সংশ্লিষ্ট কুড়িগ্রাম কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, জেলার ৯টি উপজেলায় ৮০ হাজার কৃষকের আমন বীজতলা ৩১২ হেক্টর, আউশ ২ হাজার ৫শ’ হেক্টর, পাট ৩ হাজার ৮শ’ হেক্টর, তিল ১১৪ হেক্টর, শাক-সবজি ১ হাজার ৬শ’ হেক্টর, কাউন ১৮ হেক্টর, কলা ৪০ হেক্টর, ভুট্টা ৭৫ হেক্টর, মরিচ ১৫৪ হেক্টর, আদা ১৪ হেক্টর ও হলুদ ১০ হেক্টর ফসলের ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছে।
সদর উপজেলার ঘোগাদহ ইউনিয়নের শোভনদহ গ্রামের মফিজল হক বলেন, আমরা কৃষক মানুষ। রোপা আমন ধান করার জন্য যে বীজতলা করেছিলাম এবারের বন্যায় সেগুলো তলিয়ে নষ্ট হয়ে গেছে। আবার নতুন বীজতলা করছি। কয়েক দিনের মধ্য রোপন করবো। আবার যদি বন্যা আসে তাহলে আমার সর্বনাশ হবে।
ওই এলাকার নিখিল চন্দ্র বলেন, হামরা হইছি চাষা লোক। জমি আবাদ করে সংসার চলাই। কয়দিন আগোত বানে হামার বিচন (বীজতলা) নষ্ট হইছি। যতই কষ্ট হোন না ক্যান ধার দেনা করে আবার ধান রোপন করা লাগবে। ফের বন্যা হলে আমার মারাত্মক ক্ষতি হয়ে যাবে। কুড়িগ্রাম কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) মো. সামছুদ্দিন মিয়া বলেন, বন্যায় কুড়িগ্রামে ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এই ক্ষতি পুষিয়ে নিতে কৃষকদের পরামর্শ দিচ্ছি। বিশেষ করে আমন মৌসুমে কৃষকরা যাতে নির্ভিঘ্নে আমন চাষ করতে পারে এবং সঠিক সময়ে বীজতলা তৈরি করতে পারে সে অনুযায়ী মাঠ পর্যায়ে কৃষকদের পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। এর পাশাপাশি কৃষি বিভাগ থেকে সরকারের মাধ্যমে প্রণোদনার বীজ ও সার প্রদান করেছি। যা ইতোমধ্যে তারা মাঠে ফেলছে। কেউ কেউ চারাগুলো মাঠে লাগাচ্ছে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন