গত সপ্তাহে হাউসা ও বেরটি গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। জাতিসংঘ জানিয়েছে, এ সংঘর্ষে ৯৭ জন মারা গেছেন, ঘরছাড়া ১৭ হাজার তিনশ মানুষ। এর পর মঙ্গলবার সুদানের বিভিন্ন শহরে হাজার হাজার হাউসা আন্দোলনকারী রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ দেখালেন।
বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ কাঁদানে গ্যাসের শেল ফাটায়। খার্তুমে সবচেয়ে বেশি কাঁদানে গ্যাস ব্যবহার করেছে পুলিশ। দুই গোষ্ঠীর মধ্যে জমিদখলের লড়াই চলছিল। তার জেরেই এই সংঘর্ষ বলে মনে করা হচ্ছে। বিক্ষোভকারীরা মঙ্গলবার দাবি করেছেন, হাউসাদের উপর নির্যাতন বন্ধ করতে হবে। ব্লু নাইল প্রভিন্সে এই সংঘর্ষ হয়েছে। কিন্তু এখান থেকে পালিয়ে অনেকে অন্য অঞ্চলে চলে গেছেন। ফলে সেই সব এলাকাতেও উত্তেজনা বেড়েছে।
নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক গুরুত্বপূর্ণ এক হাউসা নেতা সংবাদসংস্থা এএফপি-কে বলেছেন, একজন কৃষকের মৃত্যুকে ঘিরে বিরোধের সূত্রপাত। তারপর বারটিরা জমির তত্ত্বাবধান করার জন্য স্থানীয় কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপও মানেনি। কিন্তু স্থানীয় এক বারটি নেতা বলেছেন, হাউসারা জমি নিয়ে সিদ্ধান্ত-ভঙ্গ করেছে। তার জেরেই সহিংসতা হয়েছে। অনেক বিশ্লেষকের মতে, গত অক্টোবরে সেনা প্রধান আব্দেল ফতাহ আল-বুরহান ক্ষমতাদখল করে নেয়ার পর থেকে জমি, পশুচারণ ক্ষেত্র, জল ও পশু নিয়ে জাতিগত দাঙ্গা বাড়ছে।
এমনিতেই সুদানে আর্থিক সঙ্কট চলছে। তারপর বুরহান ক্ষমতা দখল করার পর পরিস্থিতি আরো খারাপ হয়েছে। তারপর থেকে প্রতিবাদ হচ্ছে এবং কর্তৃপক্ষ কড়াহাতে তা নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছে। গত এপ্রিলে দারফুরে সংঘর্ষে দুইশর বেশি মানুষ মারা গেছেন। সূত্র: ডয়চে ভেলে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন