পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ইনোভেশন ও ই-গভর্ন্যান্স কার্যক্রমের মাধ্যমে দ্রুত ও উন্নত সেবা নিশ্চিত করতে কাজ করে যাচ্ছে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আয়োজিত ইনোভেশন ও ই-গভর্ন্যান্স কার্যক্রম নিয়ে এক পর্যালোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন এ কথা বলেন। গতকাল বুধবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ তথ্য জানায়।
পররাষ্ট্র সচিব এ সময় মন্ত্রণালয়ে চলমান ইনোভেশন ও ই-গভর্ন্যান্স বিষয়ক কার্যক্রম সংক্রান্ত গৃহীত উদ্যোগ ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা তুলে ধরে বলেন, তার মন্ত্রণালয় সেবা সহজীকরণ, কর্মদক্ষতা বৃদ্ধি ও স্বচ্ছতা নিশ্চিতকরণে মন্ত্রণালয় ও মিশনে ই-নথি, ডি-নথি চালুকরণ, জিআরপি চালুকরণ, অনলাইনভিত্তিক আর্কাইভ তৈরি এবং ডাটাভিত্তিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ নিশ্চিতকরণের উদ্দেশ্যে নিউরাল নেটয়ার্ক তৈরির জন্য তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ, এটুআই ও বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের সঙ্গে কাজ করছে। ৭ জুলাই সকল বাংলাদেশ মিশনের জন্য ইউনিফাইড ওয়েবসাইট উদ্বোধনের কথা উল্লেখ করে পররাষ্ট্র সচিব বলেন, ইউনিফাইড ওয়েবসাইট চালুর ফলে ৮১টি বাংলাদেশ মিশন ও মন্ত্রণালয়ের একই রকম আউটলুকের ওয়েবসাইটে সংশ্লিষ্ট মিশনগুলোর ভিন্ন ভিন্ন তথ্য পাওয়া যাবে।
পররাষ্ট্র সচিব বাংলাদেশের পণ্যের বাজার সম্প্রসারণ, সাম্পদায়িক সম্প্রীতি, মানব পাচার, পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপ, শরণার্থী ইস্যু নিয়ে কথা বলেন। তিনি পরিবর্তনশীল বিশ্বের নতুন নতুন চ্যালেঞ্জ বিশেষ করে ইউক্রেন ক্রাইসিস, অ্যানার্জি সংকট, কোভিড মোকাবিলায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সক্রিয় ভূমিকা রয়েছে বলেও জানান।
পররাষ্ট্র সচিব মন্ত্রণালয়ের তরুণ কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে বলেন, বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সক্ষমতায় ও দক্ষতায় বিশ্বের কোনো দেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে পিছিয়ে থাকার কারণ নেই। মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের জ্ঞান, প্রজ্ঞা, দেশপ্রেম, কর্মস্পৃহা ও ত্যাগই ভবিষ্যৎ বাংলাদেশের স্বরূপ নির্ধারণ করবে। সভায় মন্ত্রণালয়ের নবীন কূটনীতিকরা বিশেষ করে সিনিয়র সহকারী সচিব ও সহকারী সচিব পর্যায়ের কর্মকর্তারা মত বিনিময় করেন।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক (আন্তর্জাতিক বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও প্রযুক্তি) ড. সৈয়দ মুনতাসির মামুনের সঞ্চালনায় সভায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক ডি এম সালাহ উদ্দিন মাহমুদ, মহাপরিচালক মোহাম্মদ হজরত আলী খান ও অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন