প্রখ্যাত সঙ্গীতজ্ঞ আলম খান ও শর্মিলী আহমেদের স্মরণে চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতি এবং চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতি গত শনিবার এফডিসির জহির রায়হান অডিটরিয়ামে এক স্মরণ সভার আয়োজন করে। স্মরণ সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। স্মরণ সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি তার স্কুল জীবনের স্মৃতিচারণ করেন। তিনি বলেন, আইয়ুব বাচ্চু ছিলেন আমার স্কুল ফ্রেন্ড। আমরা এক স্কুলে পড়েছি। একসাথে বেড়ে উঠেছি। আমরা চট্টগ্রামের সন্তান। একসাথে আড্ডা দেওয়ার একটি জায়গা ছিল আমাদের। প্রায়ই আড্ডায় এসে বাচ্চু বলতো, আজ ফেরদৌস ওয়াহিদ এসেছিলেন। উনার সঙ্গে আমি গিটার বাজিয়েছি। একদিন বলল, আজ আজম খান এসেছেন। উনার সঙ্গে গিটার বাজালাম। আমরা তার কথা শুনে বিশ্বাস করতাম না। কোথায় আজম খান, তার সঙ্গে নাকি সে গিটার বাজিয়েছে। ভাবতাম চাপাবাজি করছে। কিন্তু সেটা সত্যি ছিল। মেধা ও সাধনায় আইয়ুব বাচ্চু বিশ্বখ্যাত গিটারিস্ট হয়েছিল। দেশ কাঁপানো ব্যান্ড তারকা হয়েছিল। সেই আইয়ূব বাচ্চুরা গুরু বলতেন আজম খানকে। আমি তাঁর ফ্যান ছিলাম। আমরা বড় হয়েছি, তার গান শুনতে শুনতে। সেই আজম খানের বড় ভাই আলম খান। যার স্মরণে আজ এই সভায় এলাম। আজম খানের ভাই হিসেবে আলম খানের পরিচিত হওয়ার দরকার নেই। কথাগুলো বললাম এ কারণে, আমি প্রায়ই ভাবতাম, আজম খান কি করে এত চমৎকার সুর করেন, গানগুলো কেন এত সুন্দর হয়! যাই শুনি প্রাণে লেগে যায়। পরে জানলাম, তিনি আলম খানের ভাই। তখন উপলব্ধি করলাম, আলম খানের মতো সঙ্গীতজ্ঞ যার বড় ভাই তার গান ও সুর তো ভালো হবেই। মন্ত্রী বলেন, আলম খানের সঙ্গে আমার ব্যক্তিগত সম্পর্ক ছিল না। জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারের মঞ্চে কয়েকবার আলোচনা হয়েছে। অতি সজ্জন আর বিনয়ী মানুষ ছিলেন। তিনি কাল জয় করে গেছেন সুরে সুরে, গান দিয়ে। শর্মিলী আহমেদের স্মরণে মন্ত্রী বলেন, দেশের কিংবদন্তী অভিনেত্রী ছিলেন শর্মিলী আহমেদ। তাকে সেই ছোটবেলা থেকেই পর্দায় দেখে দেখে বড় হয়েছি। উনার সঙ্গে আমার ব্যক্তিগত সম্পর্ক ছিল না। তবে তাঁর সঙ্গে মায়ের মতো একটা সম্পর্ক অনুভব করতাম পর্দার মাধ্যমে। তারা চলে গেছেন। আজ আর আমাদের মাঝে নেই। তাদের স্মৃতি ধরে রাখা প্রয়োজন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন