শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

নির্বাচনের প্রতি ভোটাররা অনেকটাই নিরুৎসাহিত হয়ে পড়েছে

সংলাপে সিইসি

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৫ জুলাই, ২০২২, ১২:০২ এএম

প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল বলছেন, ভোটাররা অনেকটাই নির্বাচনের প্রতি নিরুৎসাহিত হয়ে পড়েছে। গণতন্ত্রকে যদি বাঁচিয়ে রাখতে হয়, তাহলে ভোটারদেরকে কেন্দ্রে আসতে হবে। আর যদি ওনারা কেন্দ্রে না আসেন, তাহলে বোঝা যাবে গণতন্ত্রে অসুস্থতা রয়েছে বা গণতন্ত্রের অপমৃত্যু হচ্ছে। তিনি জনগণকে আবার ভোট কেন্দ্রে আসার আহ্বান জানান। নির্বাচন কমিশন ভবনে গতকাল রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সংলাপের সময় তিনি এ কথা বলেন।

সিইসি বলেন, আমাদের কী কী ক্ষমতা আছে-সেগুলো আমরা দেখছি। আপনাদের আশ্বস্ত করতে চাই, যে ক্ষমতা আমাদের আছে, তার মধ্যেই দায়িত্ব পালন করতে হবে। সেই দায়িত্ব পালন করার জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করব।
তিনি বলেন, ডিপলোম্যাটদের সঙ্গে আমাদের আলোচনা হয়েছে। একটি গ্রুপ এখানে এসেছে, এছাড়াও পরে দুজন এসেছেন। তারা কিন্তু নির্বাচনের বিষয়ে কোনও পরামর্শ দেননি। বাইরে থেকে মনে হতে পারে। একটা বড় গ্রুপ এসেছিল, তারা আমাদের নির্বাচন বিষয়ে শুধু অবহিত হয়েছেন। কিন্তু উনারা উনাদের পক্ষ থেকে কোনও পরামর্শ দেননি।

সিইসি বলেন, আমরা প্রথম থেকে বলেছি, সবাইকে আহ্বান করে যাবো। কিন্তু আমরা সুস্পষ্টভাবে বলেছি কাউকে নির্বাচনে আসতে আমরা বাধ্য করতে পারবো না। এটা আমাদের দায়িত্বও নয়। আমাদের দায়িত্ব সুষ্ঠু, সুন্দর ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য সবাইকে আহ্বান করা। এখনো আমরা অংশগ্রহণমূলক একটি নির্বাচনের জন্য সব দলকে সহায়তার অনুরোধ করছি।

হাবিুল আউয়াল বলেন, নির্বাচনের প্রচারণা নিয়ন্ত্রণ করতে পারলে অনেক দায়িত্ব কমে যায়। অনেক দল থেকে একই মঞ্চ থেকে বক্তব্য দেওয়ার প্রস্তাব এসেছে। বিদেশে এ ধরনের বিষয়টি দেখা যায়। এই প্রস্তাবটি আমার কাছে ভালো লেগেছে। অবশ্য আমাদের আইনে এই বিষয়টি নেই।

নির্বাচনের ক্ষেত্রে দেশের প্রচলিত আইনে নির্বাচন কমিশন কোনও ঘাটতি দেখছে না উল্লেখ করে কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, সংবিধান ও গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশে আমাদের পর্যাপ্ত ক্ষমতা দেওয়া আছে। তারপরও কোনও ফাঁকফোকর থাকলে সেটা নিয়ে আমরা কাজ করছি। এছাড়াও নির্বাচন পরিচালনা বিধিমালা ও আচরণ বিধিমালা রয়েছে। আমাদের ক্ষমতার খুব একটা অভাব আছে, সেটা ফিল করছি না। সবার সহযোগিতায় ক্ষমতাগুলো আইনানুগভাবে প্রয়োগ করতে পারি। আপনারা আইনের প্রয়োগে সহযোগিতা না করে বিরুদ্ধাচরণ করলে আমাদের জন্য কঠিন হয়ে যাবে। আমরা আরোপিত ক্ষমতাগুলো ব্যবহার করতে চাই। আমরা সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের জন্য আইন ও বিধিবিধান কঠোরভাবে প্রয়োগ করবো।

সিইসি বলেন, বিভিন্ন কারণে আমাদের দেশে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ডটা থাকে না। কেউ একটু বাড়তি সুবিধা ভোগ করেন। কেউ একটু কম বা কোনও দিক থেকে আমরা হয়তো পক্ষপাতদুষ্ট হয়ে পড়ি। কোনও দিক থেকে আমরা পক্ষপাত দুষ্ট নই, বরং নিপীড়নমূলক হয়ে পড়ি। অথবা ফিল্ড লেভেলে যে বিষয়টি সহায়ক হওয়া দরকার সেটা সেভাবে আসছে না।

তিনি বলেন, আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে লক্ষ্য করে আমরা রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে সংলাপের আয়োজন করেছি। সকল রাজনৈতিক দলকে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে গ্রহণযোগ্য করতে অনুরোধ করে যাচ্ছি। আপনাদের প্রতি আমাদের একটাই অনুরোধ থাকছে, অবাধ ও অংশগ্রহণমূলক জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আমাদের করণীয় নির্ধারণে আপনারাও ভূমিকা রাখবেন। অবাধ, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন সকলেরই প্রত্যাশা। সে লক্ষ্যে আমাদের চেষ্টা অব্যাহত আছে এবং থাকবে। আপনাদের সমর্থন ও সহযোগিতা প্রয়োজন। আমরা সবার পরামর্শ ও মতামত জানার জন্য চেষ্টা করছি।

আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের কর্মপদ্ধতি ঠিক করতে ৩৯টি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সংলাপের সময় নির্ধারণ করেছ সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান ইসি। সংলাপের ৬ষ্ঠ দিন গতকাল চারটি দলের সঙ্গে সংলাপ করেছে। এ দলগুলো হলো বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন, জাতীয় পার্টি (জেপি), জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ) ও ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশ।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন