ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, ল্যান্ডফোনে মানুষের কথা বলা কমে যাওয়ার কারনে এর গ্রাহক কমে যাওয়ায় বাংলাদেশে টেলিযোগাযোগ কোম্পানি লিমিটেড (বিটিসিএল) ৪/৫ বছর আগেও বছরে ৪০০ কোটি টাকা লস করেছে। আর এখন লাভের মুখ দেখছে। মানুষ এখন আমাকে বলছে তার এলাকায় টেলিফোন সংযোগ দরকার, সাথে একটা জিপন ইন্টারনেট চাই। প্রযুক্তি ও পরিবর্তনের সাথে খাপ খাওয়াতে পারায় বিটিসিএল আজ ঘুরে দাড়াতে সক্ষম হয়েছে। মঙ্গলবার (২৬ জুলাই) ইস্কাটনে বিটিসিএলের প্রধান কার্যালয়ে বিটিসিএল এবং বাংলালিংকের মধ্যে টাওয়ার শেয়ারিং সংক্রান্ত সার্ভিস লেভেল এগ্রিমেন্ট অনুষ্ঠানে তিনি প্রধান অতিথিল বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব মো. খলিলুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ সংস্থার (বিটিআরসি) চেয়ারম্যান শ্যাম সুন্দর সিকদার। বিটিসিএল এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. মো. রফিকুল মতিন এবং বাংলালিংক-এর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এরিক অস নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে এ চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন।।
এই চুক্তির আওতায় বিটিসিএল-এর নেটওয়ার্ক অবকাঠামো ব্যবহার করবে বাংলালিংক। উদ্যোগটি বাংলালিংক-এর ফোরজি নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণে সহায়তা করে প্রতিষ্ঠানটির সেবার মান বৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখবে। এছাড়া, এর ফলে শক্তি সাশ্রয়ের পাশাপাশি জাতীয় সম্পদের উপযুক্ত ব্যবহারও নিশ্চিত করা সম্ভব হবে।
বিটিসিএল-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. মো. রফিকুল এ চুক্তির বিষয়ে জানান, গত বছর থেকে আমরা বাংলালিংক-এর সাথে আমাদের ফাইবারও শেয়ার করে আসছি। উভয় প্রতিষ্ঠানের জন্য এটি ইতিবাচক ফলাফল বয়ে এনেছে। এখন দেশ এমন একটি সময় পার করছে যখন জাতীয় ও বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় অবকাঠামো ভাগাভাগি একটি কার্যকর সমাধান হতে পারে।
বাংলালিংক-এর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এরিক অস তার প্রতিক্রিয়ায় জানান আমরা সবসময় নেটওয়ার্ক শেয়ারিংয়ের সুযোগকে স্বাগত জানাই। এর মাধ্যমে যেমন গ্রাহকদের উন্নত সেবা দেওয়া সম্ভব, তেমন সম্পদ ও অবকাঠামোর উপযুক্ত ব্যবহার নিশ্চিত করা সম্ভব। গত এক বছরে আমরা নেটওয়ার্কে ৩৩০০টিরও বেশি বেইজ স্টেশন যোগ করেছি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন