শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

সহযোগিতার মাধ্যমে বৈশ্বিক সঙ্কট নিরসন সম্ভব

ডি-৮ সিসিআই রজতজয়ন্তীতে সালমান এফ রহমান

অর্থনৈতিক রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৭ জুলাই, ২০২২, ১২:০১ এএম

করোনাভাইরাসের পর রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বৈশ্বিক সঙ্কট তৈরি করেছে। তবে ডি-৮ ভুক্ত দেশগুলো একে অপরকে সহযোগিতা করলে এই সঙ্কট নিরসন সম্ভব। এতে করে সবাই একটি উইন উইন সিচুয়েশনে থাকতে পারবে। গতকাল মঙ্গলবার ডি-৮ চেম্বারস অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ (ডি-৮ সিসিআই) প্রতিষ্ঠার রজতজয়ন্তী উদযাপন উপলক্ষে রাজধানীর একটি হোটেলে একথা বলেন প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান।

এই উপদেষ্টা বলেন, ডি-৮ ভুক্ত দেশগুলোর একই মূল্যবোধ, একই ধর্ম, বিশাল কর্মক্ষম তরুণ জনগোষ্ঠী রয়েছে। একসঙ্গে কাজ করলে চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় সবাই লাভবান হতে পারবে। এছাড়া করোনাকালীন সময়ে বাংলাদেশ সরকারের দুরদর্শী সিদ্ধান্তের ফলে শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলো নিয়মিত উৎপাদন অব্যাহত রাখতে সক্ষম হয়েছে বলে জানান তিনি।

সালমান এফ রহমান বলেন, ১৬৫ মিলিয়নের বেশি মানুষ বসবাস করে বাংলাদেশে। জনসংখ্যার ঘনত্ব অনেক বেশি। তবুও বাংলাদেশ আজ খাদ্যে সয়ংসম্পূর্ণ। চাল, মাছসহ নানাবিধ পণ্য রফতানিও করছি আমরা। বাংলাদেশকে একটি বিনিয়োগবান্ধব দেশ উল্লেখ করে নির্দিধায় বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।

একই অনুষ্ঠানে বৈশ্বিক সঙ্কট নিরসনে একসঙ্গে কাজ করার প্রতি গুরুত্ব আরোপ করেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশী। তিনি বলেন, ডি-৮ সদস্য দেশসমূহের মধ্যকার ভ্যালু চেইন ইন্টিগ্রেশনে সক্ষম একটি কৌশলগত রোডম্যাপ গঠন এবং সম্ভাব্য অর্থনৈতিক বাণিজ্যিক অগ্রগতি বিস্তারে বিশেষ জোর দেয়া প্রয়োজন। বাংলাদেশ ১০০টি ইকোনমিক জোন আছে। প্রয়োজনে ডি-৮ ভুক্ত দেশগুলোর জন্য বিশেষ ইকোনমিক জোন তৈরি করা হবে। বাংলাদেশ ২০২৬ সালে উন্নয়নশীল দেশের কাতারে নাম লেখাবে এবং প্রবৃদ্ধির হার উর্ধ্বমুখী বলে জানান তিনি।

ডি-৮ ভুক্ত দেশগুলোর আন্তঃবাণিজ্য আগামী ১০ বছরের মধ্যে আরও ১০ শতাংশ বাড়ানোর আহ্বান জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. আব্দুল মোমেন। তিনি বলেন, কোন ধরনের এফটিএ (ফ্রি ট্রেড এগ্রিমেন্ট) ছাড়াই বর্তমানে আমরা নিজেদের মধ্যে বাণিজ্য করে যাচ্ছি। আমাদের প্রতিটি দেশের প্রচুর যোগ্য মানুষ আছে, বিপুল তরুণ জনগোষ্ঠী আছে আমাদের লক্ষ্য অর্জণে সহায়ক হবে। তাই ডি-৮ আরও সামনে এগিয়ে যাবে বলে মনে করেন তিনি।
এছাড়া বক্তারা অর্থনৈতিক খাতের সাইবার সিকিউরিটি, চতুর্থ শিল্প বিপ্লব, ইন্টারনেট অব থিংস (আইওটি) আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স (এআই), ডেটা অ্যানালিটিক্স এবং ইন্ডাস্ট্রিয়াল আইওটিতে প্রযুক্তির ব্যবহার এবং টেকসইতা, সার্কুলার ইকোনোমি, শি-ট্রেডস এমএসএমই, স্টার্ট-আপ ইকোসিস্টেম, ইনোভেশন, গ্রিন টেকনোলজি, ক্লাইমেট চেঞ্জ এবং ব্লু ইকোনমিকে ভ্যালু চেইন ইন্টিগ্রেশন বাস্তবায়নের জন্য অগ্রাধিকার ক্ষেত্র হিসেবে চিহ্নিত করার দিকে গুরুত্ব আরোপ করেন।

পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো: শাহরিয়ার আলম এবং ডি-৮-এর সেক্রেটারি জেনারেল রাষ্ট্রদূত ইসিয়াকা আব্দুল তাদির ইমাম ছাড়াও দুইদিন ব্যাপী অনুষ্ঠেয় এই আয়োজনের প্রথম দিনে বাংলাদেশ, মিশর, ইন্দোনেশিয়া, ইরান, মালয়েশিয়া, নাইজেরিয়া, পাকিস্তান ও তুররে চেম্বারস অব কমার্সের সভাপতিবৃন্দ, প্রতিনিধি দল, গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ এবং ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন। ৮ সদস্য দেশের পক্ষ থেকে ৪০ জনেরও অধিক প্রতিনিধি অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করছেন। আগত দর্শনার্থীদের জন্য এক্সপো জোন-এ ‘বিল্ড ইন বাংলাদেশ প্যাভিলিয়ন’-এ বাংলাদেশের স্থানীয় প্রতিষ্ঠানসমূহের স্টল স্থাপন করা হয়েছে। আজ বুধবার দুইদিন ব্যাপী অনুষ্ঠানের শেষদিন।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন