বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

ব্যবসা বাণিজ্য

ভারসাম্য রক্ষায় আইএমএফ’র কাছে ঋণের আবেদন করেছি- অর্থমন্ত্রী

অর্থনৈতিক রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৭ জুলাই, ২০২২, ৪:৪৬ পিএম | আপডেট : ৭:৫১ পিএম, ২৭ জুলাই, ২০২২

বৈদেশিক মুদ্রার লেনদেনের ভারসাম্য রক্ষায় আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) কাছে ঋণের আবেদন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। এই ঋণের অঙ্ক কত, তা জানাননি তিনি। ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষে বুধবার (২৭ জুলাই) ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী এসব কথা জানান।

আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, এখন আমাদের ঋণ দরকার। সে জন্য আমরা আইএমএফের কাছে আবেদন করেছি। আইএমএফের প্রতিনিধিদের সঙ্গে সাম্প্রতিক আলোচনা শেষে আপনি বলেছিলেন, আমরা আইএমএফের কাছ থেকে এখন কোনো ঋণ নেব না। আমাদের অর্থনীতি ভালো অবস্থানে আছে। এরই মধ্যে এমন কী পরিস্থিতি হলো যে আপনি আবার আইএমএফের কাছে ঋণ চেয়েছেন? এক সাংবাদিক উল্লিখিত প্রশ্ন করলে জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, তখন আমরা যদি টাকা চাইতাম, আইএমএফ নানা শর্ত দিত; দর-কষাকষির জন্য আমরা সুযোগ পেতাম না। সে জন্য তখন চাইনি। তখন আমরা একটু ভাব দেখাইছি। এটা দেশের স্বার্থে করা হয়েছে। ঋণ নিলে সবার জানার অধিকার আছে। আমার কাজ হচ্ছে তার ব্যাখ্যা দেয়া।

ডলার সঙ্কট মোকাবিলায় অনেক উদ্যোগ নেয়ার পরও কোনো কাজে আসছে না কেন, সে প্রশ্নের জবাবে আ হ ম মোস্তফা কামাল বলেন, কাজ হবে, একটু সময় লাগবে। এক্সপোর্ট বাড়ছে, রেমিট্যান্সও বাড়ছে। গত বছর রেমিট্যান্স কিছুটা কম হলেও চলতি অর্থবছর আশা করছি ভালো রেমিট্যান্স পাব। রেমিট্যান্স ও এক্সপোর্টের মাধ্যমেই ডলারের চাহিদা মেটানো হবে। তিনি বলেন, কিছু আমদানিকারক মূল্যবৃদ্ধির কারসাজি করে আমদানি করছে। আমরা এসব অনিয়ম খতিয়ে দেখছি, তবে ডলারের মূল্য নির্ধারিত হবে চাহিদার ও জোগানের ভিত্তিতেই।

ব্যাংক খাতে ৯-৬ সুদহার উঠিয়ে দেয়ার কথা বলেছে আইএমএফ। এ বিষয়ে অর্থমন্ত্রী বলেন, দেশের অর্থনীতি এখন ভালো অবস্থানে আছে। যদি ৯-৬ নির্ধারিত না করা হতো তাহলে কোভিডের সময় ছোট, বড়, মাঝারি কোনো ব্যবসা প্রতিষ্ঠানই টিকে থাকতে পারত না। ভয়াবহ বেকারত্ব সৃষ্টি হতো। আমি মনে করি ব্যাংক খাতে আমানত ও সুদের হার ৯-৬ করার উদ্যোগটি ভালো। আইএমএফ যা বলছে, তা ঠিক নয়।

তিনি বলেন, সুদহার ৯-৬ করার কারণে ব্যাংকিং খাতে স্থিতিশীলতা ফিরে এসেছে। বেসরকারি খাতও চাঙা হয়েছে। সুতরাং আইএমএফ যে কথা বলেছে, তা সঠিক নয়।

আইএমএফের পাশাপাশি দাতা সংস্থা ও উন্নয়ন সহযোগীদের কাছে ঋণ চাওয়া হবে জানিয়ে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, আমরা শুধু আইএমএফ নয়; বিশ্বব্যাংক, জাইকা, এডিবিসহ সব দাতা সংস্থা ও উন্নয়ন সহযোগীদের কাছে ঋণ সহায়তা চাইব। আমাদের প্রতি তাদের পূর্ণ বিশ্বাস আছে। ঋণ দেয়ার জন্য তারা আমাদের পিছে পিছে আছে। কারণ বাংলাদেশ একটি ভালো দেশ, ঋণ পরিশোধের সক্ষমতা আছে। উন্নয়ন সহযোগীদের বাংলাদেশের ওপর পূর্ণ আস্থা আছে। তারা জানে, বাংলাদেশ সময়মতো ঋণ পরিশোধ করতে পারবে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন