শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫ হিজরী

আন্তর্জাতিক সংবাদ

বিশ্ব অর্থনীতি নিয়ে হতাশ আইএমএফ

নিষেধাজ্ঞা সত্তেও ধারণার চেয়ে ভালো করছে রাশিয়া

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২৮ জুলাই, ২০২২, ১২:০৩ এএম

বিশ্ব অর্থনীতি নিয়ে হতাশার কথা জানিয়েছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)। মঙ্গলবার প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এমন হতাশার কথা জানিয়েছে সংস্থাটি। আইএমএফ বলছে, বিশ্ব অর্থনীতির প্রবৃদ্ধি মন্থর হচ্ছে। এ থেকে দ্রæত পুনরুদ্ধারের সম্ভাবনা ক্ষীণ। গত বছর বিশ্ব অর্থনীতি ৬ দশমিক ১ শতাংশ প্রবৃদ্ধি দেখলেও এবার সেটি ৩ দশমিক ২ শতাংশে নেমে আসার আশঙ্কার কথাও জানিয়েছে সংস্থাটি। আইএমএফ বলছে, ২০২১ সালের অস্থায়ী পুনরুদ্ধারের পর ২০২২ সালেও ক্রমবর্ধমান হতাশার ধারা অব্যাহত রয়েছে। কারণ ঝুঁকিগুলি বাস্তবায়িত হতে শুরু করেছে। এছাড়া চীন ও রাশিয়ার মন্দার কারণে এই বছরের দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকে বৈশ্বিক উৎপাদন সংকুচিত হয়েছে। ফলে যুক্তরাষ্ট্রের ভোক্তাদের ব্যয় প্রত্যাশার চেয়ে কম হয়েছে।’ ওয়াশিংটনভিত্তিক আন্তর্জাতিক এই সংস্থাটি বলছে, ‘বেশ কিছু বড় বড় ধাক্কা বিশ্ব অর্থনীতিতে আঘাত করেছে। এরমধ্যেই আবার মহামারির আঘাতে সেটি আরও দুর্বল হয়ে পড়েছে। বিশ্বব্যাপী ধারণার চেয়েও বেশি মূল্যস্ফীতি ঘটেছে। বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপের বৃহৎ অর্থনীতির দেশগুলোতেও এর নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। এছাড়া কোভিডের প্রাদুর্ভাব এবং লকডাউনের কারণে চীনে যতটা আশঙ্কা করা হয়েছিল তার চেয়েও মারাত্মক মন্দার দেখা দেয়। অপর দিকে, আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল বলেছে, ইউক্রেন যুদ্ধকে কেন্দ্র করে মস্কোর ওপর পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞা সত্তে¡ও রাশিয়ার অর্থনীতি ধারণার চেয়ে ভালো করছে। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল বা আইএমএফ মঙ্গলবার সর্বশেষ বিশ্ব অর্থনীতির যে পর্যালোচনামূলক রিপোর্ট প্রকাশ করেছে তাতে এই কথা বলা হয়েছে। যুদ্ধ শুরুর পর নানা ধরনের নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে যাতে মস্কো আন্তর্জাতিক মুদ্রা ব্যবস্থা থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। এই পদক্ষেপের মূল লক্ষ্য ছিল- যুদ্ধে রাশিয়ার তহবিল যোগানোর পথ বন্ধ করা। কিন্তু নিষেধাজ্ঞাকে উপেক্ষা করে রাশিয়ার অর্থনীতি শক্তিশালী হয়েছে এবং দেশটির জিডিপি প্রবৃদ্ধির হার পুনঃনির্ধারিত হয়েছে শতকরা ২.৫ ভাগে। অর্থাৎ যুদ্ধ এবং নিষেধাজ্ঞার পরও রাশিয়ার এ বছরের জিডিপি প্রবৃদ্ধির হার শতকরা ২.৫ ভাগ। আইএমএফ তাদের সর্বশেষ অর্থনৈতিক রিপোর্টে এ তথ্য জানিয়েছে। রিপোর্টে বলা হয়েছে, যুদ্ধ এবং নিষেধাজ্ঞার কারণে রাশিয়ার অপরিশোধিত তেল এবং জ্বালানি-বহির্ভ‚ত পণ্য রপ্তানির ব্যাপারে যা ধারণা করা হয়েছিল রাশিয়া তার চেয়ে ভালো করেছে। বিপরীত দিকে রাশিয়ার জ্বালানি খাতের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে ইউরোপ এখন বিপদের মুখে পড়েছে। রাশিয়া যদি ইউরোপে গ্যাস রপ্তানি বন্ধ করে দেয় তাহলে পরিস্থিতি নাটকীয়ভাবে খারাপ হবে। এই রিপোর্টে আইএমএফ বলেছে, আমেরিকার সামনে নানা ধরনের অর্থনৈতিক ঝুঁকি তৈরি হয়েছে এবং এসব ঝুঁকি আমেরিকা জন্য এড়ানোর সম্ভাবনা খুবই কম। ভিওএ, এএফপি।

 

 

 

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন