প্রশ্নের বিবরণ : বিগত ১৯৮০ ইংরেজীতে আমার বাবা বাংলাদেশ সরকারের নিকট থেকে ১.০৭ একর (এক একর সাত শতক) জমি বন্দোবস্ত গ্রহন করেন, তখন থেকে এই পর্যন্ত উক্ত ১.০৭ একর জমির মধ্যে ৬৭ শতক আমার বাবার দখলে এবং ৪০ শতক জমি সরকারী খাস দখলি জমি হিসেবে অন্যজনের দখলে আছে। তবে জমির দলিল এবং খতিয়ানের দিক থেকে আমরা সম্পূর্ণ জমির বৈধ মালিক। কারন সরকার আমার বাবা ব্যতিত অন্য কাউকে উক্ত জমির লিজ বা বন্দোবস্ত দেয় নাই। এখন আমার প্রশ্ন হল, বর্তমানে আমরা উক্ত ৪০ শতক জমির দখলদারের বিরুদ্ধে আদালতে উচ্ছেদ মামলা রুজু করলে শরীয়তের দৃষ্টিতে কোন গুনাহ হবে কিনা? উল্লেখ্য যে, উক্ত ৪০ শতক জমির দখলদার যদিও আগে থেকেই এই জমির দখলে আছে, কিন্তু তার কোন কাগজপত্র নেই বা সরকার তাকে কোন মালিকানা প্রদান করে নি।
উত্তর : জমির মূল মালিক যাকে বন্দোবস্ত দিয়েছে, জমি ভোগ দখলের অধিকার তারই। আপোষ-সমঝোতার মাধ্যমে কোনো সুরাহা হয়ে গেলে ভালো, না হয় আইনের আশ্রয় নেওয়া যাবে। তবে, প্রতিপক্ষের সাথে অন্যায় আচরণ না করে সমঝোতার মাধ্যমে মিমাংসা করাই উত্তম।
উত্তর দিয়েছেন : আল্লামা মুফতি উবায়দুর রহমান খান নদভী
সূত্র : জামেউল ফাতাওয়া, ইসলামী ফিক্হ ও ফাতওয়া বিশ্বকোষ।
প্রশ্ন পাঠাতে নিচের ইমেইল ব্যবহার করুন।
inqilabqna@gmail.com
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন