চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই’র ঢাকা সফর চূড়ান্ত করেছে বেইজিং। আগামী ৬ই আগস্ট দু’দিনের সফরে আসছেন তিনি। কূটনৈতিক সূত্র জানিয়েছে, জরুরি ওই সফরে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আব্দুল মোমেনের সঙ্গে আনুষ্ঠানিক বৈঠক ছাড়াও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন তিনি। কর্মকর্তারা বলছেন, নানা কারণে চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর আসন্ন ঢাকা সফরটি অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। প্রথমত: সফরটি বেইজিংয়ের আগ্রহে হচ্ছে। ফলে দ্বিপক্ষীয় স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয় ছাড়াও এতে আঞ্চলিক এবং বৈশ্বিক রাজনীতির আলোচনা গুরুত্ব পাবে। বাংলাদেশের কৌশলগত উন্নয়ন অংশীদার চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সফরে অবধারিতভাবে অর্থনৈতিক সংকটের সমাধান সূত্র খুঁজে পাওয়ার চেষ্টা হবে। দেশটির সঙ্গে সম্পাদিত ২৭টি চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক বাস্তবায়নের অগ্রগতি পর্যালোচনায় আসবে।
বাণিজ্যিক ঋণ চুক্তি ও প্রকল্প সহায়তার বিষয়টিও গুরুত্ব পাবে। চলতি মাসে মিয়ানমার সফর করা চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ঢাকা সফরে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের বিষয়টি জোরালোভাবে আলোচনায় উত্থাপন করবে বাংলাদেশ।
ঢাকা চাইছে যত দ্রুত সম্ভব পাইলট প্রজেক্টের আওতায় ভেরিফাইড ১৫০০ রোহিঙ্গাকে টেস্ট কেস হিসেবে রাখাইনে ফেরত পাঠাতে। যা চীনের মধ্যস্থতাতেই এতদূর এগিয়েছে।
এছাড়া মার্কিন নেতৃত্বাধীণ অর্থনৈতিক জোটে বাংলাদেশের যোগদান নিয়ে কথা তুলবে বেইজিং। এর আগে গত বছর জুলাইতে চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই’র সঙ্গে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আব্দুল মোমেনের সর্বশেষ মুখোমুখি বৈঠক হয় উজবেকিস্তানের রাজধানী তাসখন্দে। সেই বৈঠকে চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী স্বপ্রণোদিত হয়ে বলেন, বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব, স্বাধীনতা এবং অখণ্ডতা রক্ষায় চীন সর্বাত্মক সহায়তা দিয়ে যাবে। বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে বিদেশি কোনো সংস্থা বা রাষ্ট্রের অযাচিত হস্তক্ষেপ চীন পছন্দ করে না জানিয়ে সেদিন মন্ত্রী মোমেনকে চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী যেকোনো সংকটে ঢাকার পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছিলেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন