মিয়ানমারের বেসামরিক নাগরিকদের বিরুদ্ধে যুদ্ধবিমান ব্যবহার করছে জান্তা সরকার। মিয়ানমার উইটনেসের প্রকাশিত প্রতিবেদনে এসেছে, দেশটিতে চলা দমন-পীড়নে ইয়াক-১৩০ যুদ্ধ বিমান ব্যবহার করছে মিয়ানমার সামরিক বাহিনী। গত মাসে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে শেয়ার হওয়া ভিডিওতে, একটি ইয়াক-১৩০ চক্কর দিতে দেখা গেছে। এই যুদ্ধ বিমানের মাধ্যমে দক্ষিণ-পূর্ব কারেন রাজ্যের মায়াওয়াদ্দি শহরের দক্ষিণে হামলা হয়েছিল বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে। অঞ্চলটিতে জাতিগত সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলো দীর্ঘদিন ধরে স্বায়ত্তশাসনের জন্য লড়াই করে আসছে। আর ২০২১ সালে অং সান সু চি’র সরকার ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর জান্তা সরকারের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে স্থানীয়দের গোপনে সামরিক প্রশিক্ষণ দিয়ে সহায়তা করছে সশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলো। ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে থাইল্যান্ড সীমান্তবর্তী কায়াহ রাজ্যের লোইকাওয়ের পশ্চিমে অভিযান চলাকালে একটি ইয়াক-১৩০ যুদ্ধবিমান শনাক্ত হয়েছিল। এদিকে চলতি মাসেই মিয়ানমারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম ইরাবতি জানিয়েছে, রাশিয়ার কাছ থেকে কেনা ছয়টি সুখোই এসইউ-৩০এসএমই যুদ্ধবিমানের প্রথম দুটি গ্রহণ করেছে মিয়ানমার। এসব বিমান যুদ্ধক্ষেত্রে একাধিক ভূমিকায় অংশ নিতে সক্ষম। এই বছরের মার্চে বিমান দুটি গ্রহণ করা হলেও এই খবরটি তখন প্রকাশ হয়নি। ইউক্রেনে যুদ্ধের শুরুর পর রাশিয়ার সঙ্গে সম্পর্ক আরও ঘনিষ্ঠ করছে নেপিদো। জান্তাবিরোধীদের আন্দোলন মোকাবিলায় কঠোর অবস্থানে সামরিক সরকার। জাতিসংঘের তথ্য অনুযায়ী, গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে সু চি ক্ষমতাচ্যুতের পর সামরিক বাহিনীর হাতে এ পর্যন্ত ২ হাজারের বেশি বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছেন। বাস্তচ্যুত হয়েছেন ৭ লাখের বেশি মানুষ। আল-জাজিরা।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন