মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ০৩ বৈশাখ ১৪৩১, ০৬ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

কয়রার ৬শ’ বছরের পূরাতন মসজিদকুড় পরিদর্শনে সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী

খুলনা ব্যুরো | প্রকাশের সময় : ২ আগস্ট, ২০২২, ৬:১০ পিএম

আনুমানিক ৬শ’ বছর পূর্বের ঐতিয্যবাহী খুলনার কয়রা উপজেলার আমাদী ইউনিয়নে অবস্থিত পীর খানজাহান আলী (রাঃ) এর নির্মিত ঐতিহাসিক মসজিদকুড়ের মসজিদ পরিদর্শন করেছেন বাংলাদেশ সরকারের সাংস্কৃতিক বিষয়ক মন্ত্রনালয়ের প্রতিমন্ত্রী কে.এম খালিদ এমপি।
আজ মঙ্গলবার দুপুর ১২টায় আমাদী ইউনিয়নের আয়োজনে মসজিদকুড়ের মসজিদের ঈদগাহ ময়দানে মত বিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি সাংস্কৃতিক বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে.এম খালিদ এমপি দেশের প্রত্যন্ত দক্ষিণ অঞ্চলে অতীতের ঐতিহ্যবাহী অনেক নিদর্শন ও স্থাপনা রয়েছে সেগুলো রক্ষাণাবেক্ষণসহ মসজিদ সংস্কারের জন্য আর্থিক অনুদান ও দুটি সংস্কৃতি ভবন তৈরী করে দেওয়ার ও আশ্বাস দেন। মতবিনিময় সভা শেষে পীর খানজাহান আলী খনন কৃত আমাদী দীঘি ও কাবাড়ী পাড়ার কালী মন্দির পরিদর্শন করেন।
আমাদী ইউনিয়ন চেয়ারম্যান জিয়াউর রহমান জুয়েলের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য প্রদান করেন খুলনা-৬ আসনের সংসদ আক্তারুজ্জামান বাবু।
এসময় উপস্থিত ছিলেন খুলনা জেলার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) এসএম মুনিম লিংকন, স্থানীয় সরকারের উপ-পরিচালক মোঃ ইউসুফ আলী, মহারাজপুর ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ, চাঁদখালী ইউপি চেয়ারম্যান শাহাজাদা আবু ইলিয়াস সহ উপজেলার সকল ইউপি চেয়ারম্যান, কয়রা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এ.বি.এম.এস. দোহা (বিপিএম), খান সাহেব ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ ড. চয়ন কুমার রায়সহ উপজেলা আওয়ামীলীগ, যুবলীগ, সেচ্ছাসেবকলীগ, ছাত্রলীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ ও বিভিন্ন পেশার লোকজন উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য যে, ঐতিহাসিক এই মসজিদকুঁড় মসজিদটি ১৯৪৭ সালে ভারত বিভক্তির পর মসজিদটি আবিষ্কৃত হয়। পূর্বে এ অঞ্চলটি বন ও বিভিন্ন গাছ-পালায় ভরপুর ছিলো। পরবর্তীতে খনন কার্য সম্পাদনা করে মাটির নিচের এই মসজিদটি আবিষ্কার করা হয়। মসজিদটি আবিষ্কারের সময় সেখানে কোন শিলালিপি পাওয়া যায়নি বলে এর নির্মাণের সময় সম্পর্কেও সঠিক ধারণা পাওয়া যায় না। মাটির নিচ থেকে খুঁড়ে মসজিদটি আবিষ্কৃত হয় বলে একে মসজিদকুঁড় নামে নামকরণ করা হয়েছিল। আকারে প্রতিটি দেয়াল প্রায় ৭ ফুট প্রশস্ত। এছাড়াও এটি বর্গাকারে নির্মাণ করা হয়েছিল যার বাইরে ও ভেতরের দৈর্ঘ্য যথাক্রমে ৫৪ ও ৩৯ ফুট। মসজিদটির সামনে রয়েছে তিনটি দরজা ও অভ্যন্তরে রয়েছে পাথরের তৈরি চারটি স্তম্ভ। দেয়াল ও স্তম্ভ মিলিয়ে তিনটি সারিতে তিনটি করে মোট ৯টি গম্বুজ রয়েছে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন