শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫ হিজরী

সম্পাদকীয়

ভর্তিযুদ্ধে হেরে গেলেই সব শেষ হয়ে যায় না

| প্রকাশের সময় : ৫ আগস্ট, ২০২২, ১২:০০ এএম

বন্ধুদের আড্ডায় টপিক যখন নিজেদের ভার্সিটি ক্যাম্পাস, অনেকেই তখন নীরব দর্শক। দীর্ঘ শিক্ষা জীবনে প্রিয় বন্ধুটিও অচেনা এক আগন্তুক মনে হয়। কারণ, প্রিয় বন্ধুটি বিশ্ববিদ্যালয়ে চান্স পেয়েছে। প্রতিবছর উচ্চ মাধ্যমিকের পর পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির স্বপ্ন দেখে দেশের প্রায় ১৪-১৫ লক্ষ শিক্ষার্থী। তবে স্বপ্নের বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যায়নের সুযোগ মেলে মাত্র ৪৮ হাজার শিক্ষার্থীর। বাকিদের জীবনে নেমে আসে চরম মানসিক বিপর্যয়। একদিকে নিজের স্বপ্ন ভঙ্গের তীব্র যন্ত্রণা, সেই সাথে পরিবারের চাপ, সব মিলিয়ে নিজেদের অপদার্থ মনে হয়। আর যদি পরিবারের একমাত্র ছেলে হয় তাহলে তো কথায় নেই। মেয়েদের ক্ষেত্রে পরিণাম হয়ে দাঁড়ায় বিয়ের কনে রূপে নিজেকে আবিষ্কার করা। অনেকে সবার সাথে যোগাযোগ বন্ধ করে নিজেকে আড়াল করে রাখে। এমন দুর্বিসহ মানসিক অবস্থায় আবির্ভূত হয় পাশের বাড়ির আন্টি খ্যাত শুভাকাক্সক্ষীরা! তার ওমুকের তমুকের বিয়াইয়ে নাত-জামাইয়ে ছেলে-মেয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে চান্স পেয়েছে উল্লেখ করে যে খোঁচা দেয়, তা হয়তো আমাদের মায়েদের হৃদয়কে ক্ষত বিক্ষত করে দেয়। এই সকল মানসিক যন্ত্রণা মুখ বুজে সহ্য করতে না পেরে অনেকে বেছে নেয় আত্মহত্যার মতো কঠিন পথ। প্রায় প্রতিবছরই বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ না পেয়ে আত্মহত্যার এমন খরব মেলে জাতীয় দৈনিক ও গণমাধ্যমগুলোতে। যারা কোনো মতে নিজেকে সামাল দিয়ে ভাগ্য আর পরিস্থিতিকে মানিয়ে নিতে শুরু করে তারাও প্রতিনিয়ত সম্মুখীন হয় বিভিন্ন রকম প্রশ্নের। তোমার ওই বন্ধু তো ঢাকা বিশ্ববিদ্যায়ে চান্স পেয়েছে, তুমি পাওনি? এমন প্রশ্নের পর মাথা নিচু করে ঐ স্থান ত্যাগ করা ছাড়া কোনো উপায় থাকে না। কিন্তু আমাদের বুঝতে হবে, সব জায়গা থেকেই কঠোর পরিশ্র্রম করে সফল হওয়া সম্ভব। অভিভাবক, আত্মীয়-স্বজনসহ সবাইকে এই সময় আরো দায়িত্বশীল আচরণ করতে হবে। আপনাদের একটু ইতিবাচক ভূমিকা দূর করতে পারে আপনার সন্তানের মানসিক বিপর্যয়।

মেহেদী হাসান নাঈম
শিক্ষার্থী, সরকারি আজিজুল হক কলেজ, বগুড়া।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন